Ajker Patrika

ভারতে নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, কেরালায় সতর্কতা জারি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮: ০৭
Thumbnail image

নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভারতের কেরালা রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কেরালায় সংক্রমণ বাড়ার পেছনে নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট দায়ী। 

আজ বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট মানুষ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা কম হলেও মৃত্যুহার বেশি। কেরালায় এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই দুজনের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে একজন শিশু এবং অন্যজন বয়স্ক ব্যক্তি। 

গত সোমবার কেরালার বেসরকারি কোঝিকোড হাসপাতালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। বর্তমানে ওই হাসপাতালে আরও দুজন আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও মূলত এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো বাদুড়, শূকর কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর শরীর থেকে নিঃসৃত তরল মানুষের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণের সূত্রপাত ঘটায়। 

প্রাথমিকভাবে রাজ্যের কোঝিকোড জেলার সাতটি গ্রামকে ভাইরাসটির সংক্রমণের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির একটি দল আজ বুধবার কেরালায় পৌঁছার কথা রয়েছে। শুরুতে এই দলটি কোঝিকোড মেডিকেল কলেজে একটি অস্থায়ী ল্যাবরেটরি স্থাপন করবে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মধ্যে নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না পরীক্ষা করবে। এ ছাড়া দলটি ওই অঞ্চলে বসবাস করা বাদুড়ের ওপরও একটি জরিপ চালাবে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ফল খাওয়া বাদুড় থেকেই সাধারণত নিপাহ ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। খেজুরের কাঁচা রস থেকেই বেশির ভাগ সময় এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এই রসে অনেক সময় আক্রান্ত বাদুড়ের মূত্র কিংবা মুখের লালা মিশ্রিত থাকে। আক্রান্ত হলে এই ভাইরাস মানুষ কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সাধারণত আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে গেলে এটি অন্য মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটায়। 

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। এসব উপসর্গের মধ্যে শ্বাসনালির সংক্রমণ, জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, পেশিতে ব্যথা, মাথা ঘোরাসহ অনেকের ক্ষেত্রে বমিভাবও হয়। এসব উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এই ভাইরাসের জন্য এখন পর্যন্ত বিশেষায়িত কোনো ওষুধ, চিকিৎসা কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। 

এই ভাইরাসকে জরুরি মহামারি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত