ফিলিপাইনের দক্ষিণের একটি পার্বত্য অঞ্চলে মর্মান্তিক ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মিন্দানাও দ্বীপের দাভাও দে ওরো প্রদেশের খনিসমৃদ্ধ গ্রাম মাসারোয় গত মঙ্গলবারের ভূমিধসে অন্তত ১১ জন মারা গেছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৩১ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা যখন জীবিত কাউকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন, তখন ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় এক মেয়েশিশুকে খুঁজে পান তাঁরা। এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলছেন অনেকেই। শিশুটির বয়স এখনো জানানো হয়নি।
দাভাও দে ওরো প্রদেশের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি এএফপিকে বলেছেন, দক্ষিণ মিন্দানাও দ্বীপের মাসারা গ্রামে জীবিতদের সন্ধানের জন্য উদ্ধারকারীরা তাদের খালি হাত ও বেলচা ব্যবহার করে শিশুটিকে পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকারীরা ভেবেছিলেন, শিশুটি মৃত। তাকে জীবিত পাওয়া এক অলৌকিক ঘটনা। এতে আশা খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এ অবস্থায় শিশুদের টিকে থাকার ক্ষমতা বড়দের তুলনায় কম। তবু শিশুটি বেঁচে আছে।’
কাঁদতে থাকা কাদামাখা শিশুটিকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন এক উদ্ধারকর্মী—এমন এক ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে। সেই ভিডিওর ব্যাপারে ম্যাকাপিলি বলেন, ‘আমরা সামাজিক প্ল্যাটফর্মের পোস্টগুলোতে দেখতে পাচ্ছি যে, শিশুটির শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাত ছিল না।’ তিনি বলেন, মেয়েটিকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছে। এর আগে মেয়েটির সঙ্গে তার বাবার দেখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবারের ভূমিধসের ঘটনায় সোনার খনিসমৃদ্ধ গ্রামটিতে খনিশ্রমিকদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত তিনটি বাস এবং জিপ গাড়ি কাদায় আটকে যায়। বাসগুলোতে থাকা ২৮ শ্রমিকের মধ্যে ৮ জন বের হতে সক্ষম হন। ধ্বংস হয়েছে গ্রামটির অনেক বাড়িঘর।
এরপর সময় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যান উদ্ধারকর্মীরা। বৃষ্টিতে পুরু কাদার মধ্যে কেউ আটকে থাকলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাটি সরানোর ভারী সরঞ্জাম ও বেলচার সঙ্গে খালি হাতেও কাজ করা হচ্ছে। কাদা ও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজে লাগানো হচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে অঞ্চলটিতে। আরও ভূমিধসের আশঙ্কায় মাসারা এবং আশপাশের চারটি গ্রামের শত শত পরিবারকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে জরুরি কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়েছে। পৌরসভাজুড়ে স্থগিত রাখা হয়েছে স্কুলগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম।
এর আগে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ভূমিধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটিকে ‘নো বিল্ড জোন’ (কোনো স্থাপনা তৈরি করা হবে না এমন স্থান) ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানান ম্যাকাপিলি। তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসীকে এই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। তাদের জন্য পুনর্বাসন এলাকাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লোকজন আবারও এখানেই ফিরে এসেছে।’
ফিলিপাইনের দক্ষিণের একটি পার্বত্য অঞ্চলে মর্মান্তিক ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মিন্দানাও দ্বীপের দাভাও দে ওরো প্রদেশের খনিসমৃদ্ধ গ্রাম মাসারোয় গত মঙ্গলবারের ভূমিধসে অন্তত ১১ জন মারা গেছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৩১ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা যখন জীবিত কাউকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন, তখন ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় এক মেয়েশিশুকে খুঁজে পান তাঁরা। এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলছেন অনেকেই। শিশুটির বয়স এখনো জানানো হয়নি।
দাভাও দে ওরো প্রদেশের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি এএফপিকে বলেছেন, দক্ষিণ মিন্দানাও দ্বীপের মাসারা গ্রামে জীবিতদের সন্ধানের জন্য উদ্ধারকারীরা তাদের খালি হাত ও বেলচা ব্যবহার করে শিশুটিকে পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকারীরা ভেবেছিলেন, শিশুটি মৃত। তাকে জীবিত পাওয়া এক অলৌকিক ঘটনা। এতে আশা খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এ অবস্থায় শিশুদের টিকে থাকার ক্ষমতা বড়দের তুলনায় কম। তবু শিশুটি বেঁচে আছে।’
কাঁদতে থাকা কাদামাখা শিশুটিকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন এক উদ্ধারকর্মী—এমন এক ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে। সেই ভিডিওর ব্যাপারে ম্যাকাপিলি বলেন, ‘আমরা সামাজিক প্ল্যাটফর্মের পোস্টগুলোতে দেখতে পাচ্ছি যে, শিশুটির শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাত ছিল না।’ তিনি বলেন, মেয়েটিকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছে। এর আগে মেয়েটির সঙ্গে তার বাবার দেখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবারের ভূমিধসের ঘটনায় সোনার খনিসমৃদ্ধ গ্রামটিতে খনিশ্রমিকদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত তিনটি বাস এবং জিপ গাড়ি কাদায় আটকে যায়। বাসগুলোতে থাকা ২৮ শ্রমিকের মধ্যে ৮ জন বের হতে সক্ষম হন। ধ্বংস হয়েছে গ্রামটির অনেক বাড়িঘর।
এরপর সময় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যান উদ্ধারকর্মীরা। বৃষ্টিতে পুরু কাদার মধ্যে কেউ আটকে থাকলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাটি সরানোর ভারী সরঞ্জাম ও বেলচার সঙ্গে খালি হাতেও কাজ করা হচ্ছে। কাদা ও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজে লাগানো হচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে অঞ্চলটিতে। আরও ভূমিধসের আশঙ্কায় মাসারা এবং আশপাশের চারটি গ্রামের শত শত পরিবারকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে জরুরি কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়েছে। পৌরসভাজুড়ে স্থগিত রাখা হয়েছে স্কুলগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম।
এর আগে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ভূমিধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটিকে ‘নো বিল্ড জোন’ (কোনো স্থাপনা তৈরি করা হবে না এমন স্থান) ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানান ম্যাকাপিলি। তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসীকে এই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। তাদের জন্য পুনর্বাসন এলাকাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লোকজন আবারও এখানেই ফিরে এসেছে।’
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
৯ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে