Ajker Patrika

শ্রীলঙ্কায় ধানের উৎপাদন ব্যাহত, বাড়ছে খাদ্য সংকট

শ্রীলঙ্কায় ধানের উৎপাদন ব্যাহত, বাড়ছে খাদ্য সংকট

শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা কিলোনোচ্চি। জেলাটির একটি গ্রামের কৃষক নল্লাথাম্বি মাহেন্দ্রা। নিজের চার একর জমিতে ধান রোপণ করেছেন তিনি। জমির আইল ধরে হেঁটে যেতে যেতে কৃষক নল্লাথাম্বি মহেন্দ্রা ধানের চারার বেড়ে ওঠা নিয়ে প্রকাশ করছেন হতাশা। এই সময়ে ধান গাছ যত বড় হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে কয়েক ফুট ছোটই রয়ে গেছে এখনো। তাঁর আশঙ্কা এবার ধান উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হবে না।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার জেলাগুলোর মধ্যে কিলোনোচ্চি জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয়। কিন্তু এবার টানা দ্বিতীয় মৌসুমের মতো এই জেলায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দেখা যাচ্ছে না সোনালি ধানের উৎপাদন। প্রয়োজনীয় সারের স্বল্পতার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন কৃষক, ইউনিয়ন নেতা এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা। এতে দেশটির বিদ্যমান খাদ্য সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

কিলোনোচ্চি জেলায় এবার ১০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করা হয়েছে। এবার প্রতি হেক্টর থেকে গড়ে ২.৩ মেট্রিক টন ধান পাওয়া যাবে বলে অনুমান স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের। তবে সংকট শুরুর আগে এখানে প্রতি হেক্টর থেকে পাওয়া যেত এর দ্বিগুণ অর্থাৎ ৪.৫ মেট্রিক টন করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার প্রায় সব ফসলই আগের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণে উৎপাদন হবে। শ্রীলঙ্কার পেরাদেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞানের অধ্যাপক বুদ্ধি মারাম্বে বলেন, ‘প্রতি বছর গ্রীষ্মে গড়ে ২০ লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়। এবার কমে অর্ধেক হবে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে সংকটে থাকা অর্থনীতিতেও।’

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক দশক ধরে শ্রীলঙ্কা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হলেও গত বছর দেশটি ১ লাখ ৪৯ হাজার টন চাল আমদানি করেছে। চলতি বছর এরই মধ্যে ৪ লাখ ২৪ হাজার টন ধান আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত