Ajker Patrika

দায়িত্ব নিয়েই ভারতীয় সেনাদের ‘তাড়ানোর’ কথা বললেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০: ৩৯
দায়িত্ব নিয়েই ভারতীয় সেনাদের ‘তাড়ানোর’ কথা বললেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও চীনপন্থী নেতা মোহাম্মদ মুইজ্জো বলেছেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিনই ভারতীয় সেনাদের দেশ থেকে তাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করব।’ গতকাল সোমবার রাতে মালেতে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

মোহাম্মদ মুইজ্জো বলেন, ‘যারা বিদেশি সেনাদের এনেছে তাঁরা তাঁদের ফেরত পাঠাতে চায় না। কিন্তু বিদেশি সেনাদের দেশের ভেতরে থাকার অনুমতি আর মিলবে না। মালদ্বীপের জনগণ এটাই ঠিক করেছে। আমরা আইন অনুযায়ী মালদ্বীপে অবস্থানরত ভারতেরে সামরিক বাহিনীকে ফেরত পাঠাব এবং নিশ্চিতভাবেই আমরা সেটি করব।’

নির্বাচনের আগে ইশতেহারে চীনপন্থী নেতা মোহাম্মদ মুইজ্জো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশে আর ভারতীয় সেনা রাখবেন না। এবার সেই কথা রাখবেন বলে জানিয়েছেন মালদ্বীপের রাজধানী মালের সাবেক এ মেয়র।

গত শনিবার মালদ্বীপে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বিরোধী দল প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপের (পিপিএম) প্রার্থী মোহাম্মদ মুইজ্জো। অন্যদিকে ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। 

মালদ্বীপের রাজধানী মালের মেয়র ছিলেন মোহামেদ মইজ্জু। তিনি ‘ভারতকে বিদায় করো’ স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন। কারণ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত। 

মালদ্বীপের রাজধানী মালের বর্তমান মেয়রও মুইজ্জো। চীনপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি বলেছেন, এখন থেকে তিনি মালদ্বীপপন্থী হবেন। 

মুইজ্জু বলেন, ‘আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হবে মালদ্বীপ। আমাদের মালদ্বীপপন্থী নীতিকে যেসব দেশ সম্মান করবে এবং মেনে চলবে তাঁদের মালদ্বীপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’ 

এর আগে গত রোববার নির্বাচনে জেতার পর মুইজ্জুকে অভিনন্দন জানানো প্রথম নেতাদের মধ্যে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদী সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, ‘নয়াদিল্লি দীর্ঘদিনের ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

এদিকে চীনও গতকাল সোমবার মুইজ্জোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলে, চীন মালদ্বীপের জনগণের নির্বাচনকে সম্মান করে। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এএফপিকে এক বিবৃতিতে জানায়, চীন দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকে সুসংহত করতে, পারস্পরিক সহযোগিতাকে গভীর করতে এবং অগ্রগতির জন্য মালদ্বীপের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত