দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুমোদন দেয় আদালত। দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসিত হওয়া এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সামরিক আইন আরোপের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা অফিস ফর হাই-র্যাঙ্কিং অফিশিয়ালও (সিআইও) নিশ্চিত করেছে যে, সিউলের পশ্চিম জেলা আদালত তদন্তকারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে বর্তমান কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটি প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
সিআইওকে উদ্ধৃত করে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং এটি কার্যকর হলে, প্রেসিডেন্ট ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে বা বন্দীশিবিরে আটকে রাখা হবে। তবে আদালত কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করেছে সে বিষয়ে সিআইও কোনো মন্তব্য করেনি। আদালতও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুসারে, বিদ্রোহ একটি গুরুতর অভিযোগ। এই অভিযোগে অভিযুক্ত হলে দেশটির প্রেসিডেন্ট কোনো ধরনের অভিশংসন সুরক্ষা পান না।
ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কখন বা কীভাবে কার্যকর হবে তা এখনো অস্পষ্ট। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতকারী কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরিচালনা করবে। সিআইও জানিয়েছে, আদালত ইউনের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর পরোয়ানাও অনুমোদন করেছে।
এর আগে, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তল্লাশি চালানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ, কিন্তু প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা পরিষেবা প্রবেশে বাধা দেওয়ায় তারা সফল হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টির ভারপ্রাপ্ত নেতা কেওন সিওং-ডং মঙ্গলবার বলেছেন, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে আটক করার চেষ্টা করা অনুচিত।
বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সংসদ সদস্য কিম ইয়ং-মিন বলেছেন, ‘পরোয়ানা কার্যকর করা এবং তদন্ত প্রক্রিয়া খুবই কঠিন হতে পারে।’ এ সময় তিনি তদন্তকারীদের দ্রুত পরোয়ানা কার্যকর করার আহ্বান জানান।
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর অভিশংসিত হন ইউন সুক ইওল। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের ৩০০ আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন এবং ৮৫ জন বিপক্ষে। তিনজন ভোটদানে বিরত থাকেন এবং আটটি ভোট বাতিল করা হয়। অভিশংসনের কারণে ইউন তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত এখন এই ভোট নিয়ে পর্যালোচনা করবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে সামরিক বাহিনীকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ উৎখাত এবং বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাধা দূর করার জন্য জরুরি ক্ষমতা আইনে অধ্যাদেশ জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তীব্র বিক্ষোভের মুখে আদেশ প্রত্যাহার করতে হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুমোদন দেয় আদালত। দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসিত হওয়া এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সামরিক আইন আরোপের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা অফিস ফর হাই-র্যাঙ্কিং অফিশিয়ালও (সিআইও) নিশ্চিত করেছে যে, সিউলের পশ্চিম জেলা আদালত তদন্তকারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে বর্তমান কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটি প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
সিআইওকে উদ্ধৃত করে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং এটি কার্যকর হলে, প্রেসিডেন্ট ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে বা বন্দীশিবিরে আটকে রাখা হবে। তবে আদালত কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করেছে সে বিষয়ে সিআইও কোনো মন্তব্য করেনি। আদালতও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুসারে, বিদ্রোহ একটি গুরুতর অভিযোগ। এই অভিযোগে অভিযুক্ত হলে দেশটির প্রেসিডেন্ট কোনো ধরনের অভিশংসন সুরক্ষা পান না।
ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কখন বা কীভাবে কার্যকর হবে তা এখনো অস্পষ্ট। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতকারী কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরিচালনা করবে। সিআইও জানিয়েছে, আদালত ইউনের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর পরোয়ানাও অনুমোদন করেছে।
এর আগে, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তল্লাশি চালানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ, কিন্তু প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা পরিষেবা প্রবেশে বাধা দেওয়ায় তারা সফল হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টির ভারপ্রাপ্ত নেতা কেওন সিওং-ডং মঙ্গলবার বলেছেন, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে আটক করার চেষ্টা করা অনুচিত।
বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সংসদ সদস্য কিম ইয়ং-মিন বলেছেন, ‘পরোয়ানা কার্যকর করা এবং তদন্ত প্রক্রিয়া খুবই কঠিন হতে পারে।’ এ সময় তিনি তদন্তকারীদের দ্রুত পরোয়ানা কার্যকর করার আহ্বান জানান।
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর অভিশংসিত হন ইউন সুক ইওল। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের ৩০০ আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন এবং ৮৫ জন বিপক্ষে। তিনজন ভোটদানে বিরত থাকেন এবং আটটি ভোট বাতিল করা হয়। অভিশংসনের কারণে ইউন তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত এখন এই ভোট নিয়ে পর্যালোচনা করবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে সামরিক বাহিনীকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ উৎখাত এবং বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাধা দূর করার জন্য জরুরি ক্ষমতা আইনে অধ্যাদেশ জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তীব্র বিক্ষোভের মুখে আদেশ প্রত্যাহার করতে হয়।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১২ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৪ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে