আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফের উত্তেজিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত। বিতর্কিত তা মোন থম মন্দির ঘিরে আরেক দফা সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশের সেনারা। এ ঘটনায় থাইল্যান্ডের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। দুই সেনাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময় সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জেরে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ সীমান্তবর্তী ৮৬টি সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। থাই সেনাবাহিনীর বরাতে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষের আগে কম্বোডীয় বাহিনী একটি নজরদারি ড্রোন পাঠায়। পরে ভারী অস্ত্র—বিশেষ করে দূরপাল্লার বিএম২১ রকেট ব্যবহার করে হামলা চালায়। থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের জেলা প্রশাসক সুতিরোত চারোয়েনথানাসাক জানান, কম্বোডীয় গোলাবর্ষণে দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, কম্বোডীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, প্রথমে গুলি চালিয়েছে থাই সেনারাই। পরে, আত্মরক্ষার জন্য জবাব দিয়েছে কম্বোডিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, থাই সেনাবাহিনী ওদ্দার মিনচেই ও প্রেইয়া বিহার—এই দুই প্রদেশে গোলাবর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে কম্বোডীয় সেনাবাহিনী। আতঙ্কিত না হয়ে দেশের জনগণকে সাধারণ জীবনযাপন বজায় রাখতে অনুরোধ করছি। সীমান্ত অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য জায়গায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।’
সংঘর্ষের পরপরই থাইল্যান্ডের ফুঁচাই পার্টি ঘোষণা করেছে, দেশটির রাষ্ট্রদূতকে কম্বোডিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং কম্বোডীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটি এখন থেকে কম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ‘সর্বনিম্ন পর্যায়ে’ নামিয়ে আনছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কম্বোডিয়াও তাদের সমস্ত কূটনীতিককে থাইল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে এবং থাই কূটনীতিকদেরও দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড। প্রয়োজন হলে বিমান হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
এর আগে, গত বুধবারও এই অঞ্চলে একটি ল্যান্ডমাইনে বিস্ফোরণে পা হারিয়েছেন এক থাই সেনা। এর আগে গত ১৬ জুলাইও ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে আরও তিন থাই সেনা আহত হন। থাইল্যান্ড এসব বিস্ফোরণের জন্য কম্বোডিয়াকে দায়ী করলেও, নমপেন বলছে এসব মাইন দেশটির গৃহযুদ্ধকালীন সময়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল এবং থাই সেনারা পূর্ব নির্ধারিত চলাচলের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিস্ফোরণের শিকার হয়েছেন।
সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের বিবাদ শত বছরের পুরোনো। ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্তের বেশ কিছু অংশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত না হওয়ায় প্রায়শই উত্তেজনা তৈরি হয়। গত মে মাসেও এমন এক সংঘর্ষে এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন।
বর্তমানে সীমান্তে থাই-কম্বোডীয় সম্পর্ক চরম উত্তেজনায়। বন্ধ রয়েছে কিছু সীমান্ত ক্রসিং ও বাণিজ্যপথ, যার মধ্যে জ্বালানি, ফলমূল ও খাদ্যপণ্য আমদানিও রয়েছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই সংঘর্ষ দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্বে রূপ নিতে পারে।
ফের উত্তেজিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত। বিতর্কিত তা মোন থম মন্দির ঘিরে আরেক দফা সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশের সেনারা। এ ঘটনায় থাইল্যান্ডের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। দুই সেনাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময় সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জেরে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ সীমান্তবর্তী ৮৬টি সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। থাই সেনাবাহিনীর বরাতে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষের আগে কম্বোডীয় বাহিনী একটি নজরদারি ড্রোন পাঠায়। পরে ভারী অস্ত্র—বিশেষ করে দূরপাল্লার বিএম২১ রকেট ব্যবহার করে হামলা চালায়। থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের জেলা প্রশাসক সুতিরোত চারোয়েনথানাসাক জানান, কম্বোডীয় গোলাবর্ষণে দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, কম্বোডীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, প্রথমে গুলি চালিয়েছে থাই সেনারাই। পরে, আত্মরক্ষার জন্য জবাব দিয়েছে কম্বোডিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, থাই সেনাবাহিনী ওদ্দার মিনচেই ও প্রেইয়া বিহার—এই দুই প্রদেশে গোলাবর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে কম্বোডীয় সেনাবাহিনী। আতঙ্কিত না হয়ে দেশের জনগণকে সাধারণ জীবনযাপন বজায় রাখতে অনুরোধ করছি। সীমান্ত অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য জায়গায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।’
সংঘর্ষের পরপরই থাইল্যান্ডের ফুঁচাই পার্টি ঘোষণা করেছে, দেশটির রাষ্ট্রদূতকে কম্বোডিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং কম্বোডীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটি এখন থেকে কম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ‘সর্বনিম্ন পর্যায়ে’ নামিয়ে আনছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কম্বোডিয়াও তাদের সমস্ত কূটনীতিককে থাইল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে এবং থাই কূটনীতিকদেরও দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড। প্রয়োজন হলে বিমান হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
এর আগে, গত বুধবারও এই অঞ্চলে একটি ল্যান্ডমাইনে বিস্ফোরণে পা হারিয়েছেন এক থাই সেনা। এর আগে গত ১৬ জুলাইও ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে আরও তিন থাই সেনা আহত হন। থাইল্যান্ড এসব বিস্ফোরণের জন্য কম্বোডিয়াকে দায়ী করলেও, নমপেন বলছে এসব মাইন দেশটির গৃহযুদ্ধকালীন সময়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল এবং থাই সেনারা পূর্ব নির্ধারিত চলাচলের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিস্ফোরণের শিকার হয়েছেন।
সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের বিবাদ শত বছরের পুরোনো। ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্তের বেশ কিছু অংশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত না হওয়ায় প্রায়শই উত্তেজনা তৈরি হয়। গত মে মাসেও এমন এক সংঘর্ষে এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন।
বর্তমানে সীমান্তে থাই-কম্বোডীয় সম্পর্ক চরম উত্তেজনায়। বন্ধ রয়েছে কিছু সীমান্ত ক্রসিং ও বাণিজ্যপথ, যার মধ্যে জ্বালানি, ফলমূল ও খাদ্যপণ্য আমদানিও রয়েছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই সংঘর্ষ দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্বে রূপ নিতে পারে।
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে ফরাসি রাজপরিবারের অমূল্য গয়না চুরির ঘটনায় ফ্রান্সজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এই দুঃসাহসিক চুরিতে চোরেরা আটটি মহামূল্যবান গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।
৪০ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপ থেকে যেসব জিনিসপত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে সেসব সংগ্রহ করছেন আর পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে এই নতুন শুরুর চেষ্টার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে ইসরায়েলিদের বিস্ফোরকবাহী রোবট।
৩ ঘণ্টা আগেগোয়া ও কর্ণাটকের করওয়ার উপকূলে ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের সঙ্গে ‘আলোক উৎসব’ উদ্যাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এই বিমানবাহী রণতরি ‘পাকিস্তানিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে’।
৩ ঘণ্টা আগেবলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রান অফ) ৯৭ শতাংশের বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
৪ ঘণ্টা আগে