জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র পৌঁছাতে গিয়েই ধরা পড়েছিলেন মিয়ানমারের বিখ্যাত গণতন্ত্রপন্থী অধিকারকর্মী মা-নোবল-আই। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে ইরাবতী জানিয়েছে, দেশটির বাগো অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর হাতে এক সঙ্গীসহ প্রাণ হারিয়েছেন নোবল-আই। তিনি ‘এইটটিএইট জেনারেশন’ নামে একটি ছাত্র আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৯ জানুয়ারি মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের বোও শহরের একটি চেকপোস্টে কো লাই খুইন নামের এক সঙ্গীসহ জান্তা সেনাদের হাতে ধরা পড়েছিলেন নোবল-আই। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়।
জান্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর নোবল-আই ও লাই খুইনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়, তা কেউ জানত না। গত বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী ছায়া সরকারের পক্ষ থেকে নোবল-আইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি তাঁর পরিবারকে নিশ্চিত করা হয়।
নোবল-আইয়ের ভাই কো টেট মিয়াত ইরাবতীকে বলেছেন, ‘সূত্র নিশ্চিত করেছে, আমার বোনকেও হত্যা করা হয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি বলেও জানান টেট মিয়াত।
এ বিষয়ে বোও শহরের জনপ্রতিরোধ বাহিনী (পিডিএফ) ইরাবতীকে জানিয়েছে, অস্ত্র, গোলাবারুদসহ আটকের পর নোবল-আই ও লাই খুইন জান্তা বাহিনীর ৯০১ আর্টিলারি কমান্ডের অধীনে ছিলেন। ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে দুজনকেই গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে সেদিনই শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় মরদেহ দুটি। হাসপাতালের একটি সূত্র পিডিএফকে নিশ্চিত করেছে, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ওই মরদেহ দুটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
একজন পিডিএফ প্রতিনিধি ইরাবতীকে জানান, কিয়াইক লাত গ্রামের কাছেই তাঁদের দুজনকে গুলি করে মারা হয়।
ইরাবতী জানিয়েছে, ৪৯ বছর বয়সী নোবল-আই সারা জীবন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। অন্তত দুবার তিনি দীর্ঘদিনের জন্য কারাগারে গেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে তাঁকে ৪২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যদিও সাত বছর কারাভোগের পর ২০০৫ সালে সাধারণ ক্ষমার অধীনে নোবল-আইকে মুক্তি দেওয়া হয়। দুই বছর পর ২০০৭ সালে তথাকথিত ‘স্যাফ্রোন অভ্যুত্থানে’ জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে আবারও কারাগারে যেতে হয়।
২০২১ সালে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী আবারও ক্ষমতা দখল করলে শারীরিক নানা অসুস্থতার মধ্যেও এই বাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন শুরু করেছিলেন নোবল-আই। ধরা পড়ার আগপর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে থেকে নানা ধরনের জান্তাবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন।
নোবল-আই সম্পর্কে তাঁর ভাই কো টেট মিয়াত বলেন, ‘আমার বোন মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সারা জীবন লড়াই করেছেন। সে ছিল একজন নায়ক। আমি আমার দুঃখ বোঝাতে পারব না।’
১৯৯৮ সালে নোবল-আইয়ের সঙ্গে কারাগারের একই সেলে ছিলেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী ছায়া সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা-জিন মার অং। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার বন্ধুর জন্য গর্বিত। তাঁর আত্মদানকে কুর্নিশ জানাই।’
জান্তা বাহিনী দাবি করেছিল, গত ২৯ জানুয়ারি নোবল-আই ও তাঁর সঙ্গীর কাছ থেকে পাঁচটি বন্দুক, একটি পিস্তল, একটি স্নাইপার রাইফেল এবং ২ হাজার ৬০০ গুলি পাওয়া গেছে।
জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র পৌঁছাতে গিয়েই ধরা পড়েছিলেন মিয়ানমারের বিখ্যাত গণতন্ত্রপন্থী অধিকারকর্মী মা-নোবল-আই। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে ইরাবতী জানিয়েছে, দেশটির বাগো অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর হাতে এক সঙ্গীসহ প্রাণ হারিয়েছেন নোবল-আই। তিনি ‘এইটটিএইট জেনারেশন’ নামে একটি ছাত্র আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৯ জানুয়ারি মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের বোও শহরের একটি চেকপোস্টে কো লাই খুইন নামের এক সঙ্গীসহ জান্তা সেনাদের হাতে ধরা পড়েছিলেন নোবল-আই। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়।
জান্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর নোবল-আই ও লাই খুইনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়, তা কেউ জানত না। গত বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী ছায়া সরকারের পক্ষ থেকে নোবল-আইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি তাঁর পরিবারকে নিশ্চিত করা হয়।
নোবল-আইয়ের ভাই কো টেট মিয়াত ইরাবতীকে বলেছেন, ‘সূত্র নিশ্চিত করেছে, আমার বোনকেও হত্যা করা হয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি বলেও জানান টেট মিয়াত।
এ বিষয়ে বোও শহরের জনপ্রতিরোধ বাহিনী (পিডিএফ) ইরাবতীকে জানিয়েছে, অস্ত্র, গোলাবারুদসহ আটকের পর নোবল-আই ও লাই খুইন জান্তা বাহিনীর ৯০১ আর্টিলারি কমান্ডের অধীনে ছিলেন। ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে দুজনকেই গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে সেদিনই শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় মরদেহ দুটি। হাসপাতালের একটি সূত্র পিডিএফকে নিশ্চিত করেছে, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ওই মরদেহ দুটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
একজন পিডিএফ প্রতিনিধি ইরাবতীকে জানান, কিয়াইক লাত গ্রামের কাছেই তাঁদের দুজনকে গুলি করে মারা হয়।
ইরাবতী জানিয়েছে, ৪৯ বছর বয়সী নোবল-আই সারা জীবন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। অন্তত দুবার তিনি দীর্ঘদিনের জন্য কারাগারে গেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে তাঁকে ৪২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যদিও সাত বছর কারাভোগের পর ২০০৫ সালে সাধারণ ক্ষমার অধীনে নোবল-আইকে মুক্তি দেওয়া হয়। দুই বছর পর ২০০৭ সালে তথাকথিত ‘স্যাফ্রোন অভ্যুত্থানে’ জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে আবারও কারাগারে যেতে হয়।
২০২১ সালে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী আবারও ক্ষমতা দখল করলে শারীরিক নানা অসুস্থতার মধ্যেও এই বাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন শুরু করেছিলেন নোবল-আই। ধরা পড়ার আগপর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে থেকে নানা ধরনের জান্তাবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন।
নোবল-আই সম্পর্কে তাঁর ভাই কো টেট মিয়াত বলেন, ‘আমার বোন মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সারা জীবন লড়াই করেছেন। সে ছিল একজন নায়ক। আমি আমার দুঃখ বোঝাতে পারব না।’
১৯৯৮ সালে নোবল-আইয়ের সঙ্গে কারাগারের একই সেলে ছিলেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী ছায়া সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা-জিন মার অং। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার বন্ধুর জন্য গর্বিত। তাঁর আত্মদানকে কুর্নিশ জানাই।’
জান্তা বাহিনী দাবি করেছিল, গত ২৯ জানুয়ারি নোবল-আই ও তাঁর সঙ্গীর কাছ থেকে পাঁচটি বন্দুক, একটি পিস্তল, একটি স্নাইপার রাইফেল এবং ২ হাজার ৬০০ গুলি পাওয়া গেছে।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কোটেশ্বরে ভয়াবহ সহিংসতায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, আত্মসমর্পণের পরও আন্দোলনকারীরা তাঁদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেদোহায় ইসরায়েলি হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি হামাস নেতাদের। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেনেপালে চলমান বিক্ষোভ ও সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়—যদি সহিংস কর্মকাণ্ড, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ অব্যাহত থাকে, তবে রাত ১০টা (স্থানীয় সময়) থেকে সেনাসহ সব নিরাপত্তা সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বাধ্য হবে।
২ ঘণ্টা আগেনেপালে চলমান বিক্ষোভে আরও একজন নিহত হয়েছেন। এতে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২২-এ। এর মধ্যে গতকাল সোমবারের বিক্ষোভেই প্রাণ হারায় অন্তত ১৯ জন।
২ ঘণ্টা আগে