Ajker Patrika

দক্ষিন কোরিয়ায় নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছে আফগান শিশু-কিশোরেরা

দক্ষিন কোরিয়ায় নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছে আফগান শিশু-কিশোরেরা

আফগানিস্তান থেকে আসা প্রায় ৪শ শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়াতে। এদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশু–কিশোর। ছোটবেলা থেকেই যুদ্ধ আর ধ্বংসের গল্প শুনেছে এসব শিশু–কিশোরেরা। কিন্তু সিউলে তারা এখন পরিবারের সঙ্গে নিরাপদ ও স্থিতিশীল জীবন কাটাচ্ছে। তাই এখানেই নিজেদের জীবন নতুন করে সাজানোর স্বপ্ন দেখছে তারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথোপকথনে এক আফগান কিশোরী বলেন, আফগানিস্তানে নারীদের কোন স্বাধীনতা নেই। সেখানে যেকোনো কাজে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয় নারীরা। অথচ পুরুষেরা অবলীলায় সব কাজ করতে পারেন।

কিশোরী আরও বলেন, এখানে এসে আমি স্বাধীনতার নতুন সংজ্ঞা খুঁজে পেয়েছি। কোন হিজাব ছাড়াই তায়কোয়ান্দো শিখতে পারছি। আফগানিস্তানে এটি কল্পনাও করতে পারতাম না। সবকিছু মিলিয়ে জীবনকে নতুন করে উপভোগ করছি। এ ছাড়া আমার পরিবার এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।

আরেক কিশোর রয়টার্সকে জানায়, আফগানিস্তানে যুদ্ধই জীবন । আমার স্মৃতিতে যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই নেই। তা ছাড়া জন্মের পর থেকে বাবা মায়ের কাছেও যুদ্ধের ইতিহাস ছাড়া কিছু শুনিনি। কিন্তু এখানে আমি মুক্ত।  এখানে নিজের মত জীবন গুছিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছি। 
 
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার আফগানিস্তান থেকে আসা এসব শরণার্থীদের সিউলে দীর্ঘ মেয়াদি আবাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া সোশ্যাল ইন্টিগ্রেশন প্রোগ্রামের আওতায় তাদের কোরিয়ান ভাষা শেখানো হচ্ছে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলা এসব শরণার্থীর নাম বা পরিচয় প্রকাশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সিউলের। দেশটির আইন মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, মুক্তভাবে চলার জন্য পরিচয়পত্র হিসেবে তাদের শরণার্থী রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে।


 

 

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনের সময় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা, উত্তর প্রদেশে নববধূর আত্মসমর্পণ

ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় খুন—কীভাবে এক নববধূ হয়ে উঠলেন হত্যাকারী

কানাডার লেকে বোট উল্টে বাংলাদেশের পাইলট ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

এআই যুগে চাকরি পেতে যে দক্ষতা লাগবেই, জানালেন মাইক্রোসফটের সিইও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত