২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপরেই ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে দ্রব্যমূল্য। সে সময় দারিদ্র্যের চাপে নিজের কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন জিয়া (ছদ্মনাম) নামে মিয়ানমারের এক কৃষক। জিয়া জানান, তাঁর ছোট পরিবারকে খাওয়াতে পারছিলেন না। ঋণের বোঝায় ছিলেন জর্জরিত।
বিবিসির কাছে তিনি বলেন, ‘থাকার জন্য শুধু একটা বাড়ি কিনতে চেয়েছিলাম আর ঋণ শোধ করতে চেয়েছিলাম—এ কারণেই কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই।’
ইয়াঙ্গুন শহর থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে একটি গ্রামে জিয়ার শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই মাটির রাস্তার পাশে খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘরে থাকতেন জিয়া ও তাঁর পরিবার।
ওই এলাকায় থাকাকালীন জিয়া জানতে পারেন, আশপাশের কয়েকজন কিডনি বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা ইতিমধ্যে কিডনি বিক্রি করেছে, তাদের সুস্থ দেখাচ্ছিল। তাই আমিও কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই এবং দালালের খোঁজ করতে থাকি।’
যদিও মিয়ানমার ও ভারতে মানবদেহের অঙ্গ কেনাবেচা অবৈধ। কিন্তু এরপরও খুঁজে খুঁজে একজন দালাল বের করেন জিয়া।
দালাল তাঁর মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে দেন এবং কয়েক সপ্তাহ পর জানান, একজন বার্মিজ নারী রোগীর জন্য তাঁর কিডনি লাগবে। তখন দুজনকেই ভারতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ভারতের আইন অনুযায়ী কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা যদি নিকটাত্মীয় না হন, তবে তাদের আত্মিক বা পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ দিতে হয়।
জিয়া জানান, এই সমস্যার কারণে দালাল একটি ভুয়া নথি তৈরি করেন। যেখানে তাঁকে ওই নারীর পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখানো হয়। কাগজে উল্লেখ করা হয়, তিনি বিবাহসূত্রে ওই নারীর আত্মীয়।
ইয়াঙ্গুনে যেখানে জিয়া ও ওই নারী সাক্ষাৎ করানো হয়, সেখানে আরও একজন ছিলেন। জিয়া জানান, ওই ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন এবং আরও কিছু কাগজপত্র তৈরি করেন। তিনি জিয়াকে সতর্ক করে দেন, যদি কোনো কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, তবে বড় অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিবিসি পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁর কাজ কেবল রোগীর শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা করা। দাতা-গ্রহীতার সম্পর্ক যাচাই করা নয়।
জিয়া জানান, কিডনি দেওয়ার জন্য তাঁকে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মিয়ানমার কিয়েট (১,৭০০ থেকে ২,৭০০ মার্কিন ডলার) দেওয়ার কথা বলা হয়।
এরপর উত্তরে ভারতের একটি বড় হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার করানো হয়। অস্ত্রোপচারের আগে কর্তৃপক্ষ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন একজন দোভাষীর মাধ্যমে জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বেচ্ছায় কিডনি দান করছেন।’ তাঁর অনুমতি পাওয়ার পরেই অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
জিয়া বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর আমি প্রচণ্ড ব্যথায় ছিলাম। এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
অন্য এক দাতা, মিও উইন (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, তাঁকেও ভুয়া পরিচয় দিতে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘দালাল আমাকে একটি কাগজ ধরিয়ে দেন। সেখানে লেখা কিছু কথা আমাকে মুখস্থ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, গ্রহীতা আমার এক আত্মীয়ের স্ত্রী।’ এমনকি তাঁর মায়ের পরিচয় নিশ্চিত করতে একজন ভুয়া মায়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
২০২১ সালের পর মিয়ানমারের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, মিয়ানমারে ২০১৭ সালে ২৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।
মিও উইন বলেন, ‘দালাল আমাকে জানায়নি, কিডনি বিক্রি অবৈধ। আমি যদি জানতাম, তাহলে কিডনি বিক্রি করতাম না। আমি এখন জেলে যাওয়ার ভয়ে আছি।’
বিবিসি বিভিন্ন অনুসন্ধান থেকে একজন দালালের সন্ধান পায়। যিনি মিয়ানমারে অন্তত ১০টি কিডনি কেনাবেচার কাজে সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কিডনি বিক্রি করতে চাইলে আমি তাঁকে মান্ডালয়ের একটি সংস্থার কাছে পাঠাতাম। তারাই সব ব্যবস্থা করত।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় বিশ্বজুড়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করার হার ৫০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু বৈধভাবে প্রতিস্থাপনের জন্য দাতার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ২০০৭ সালে ডব্লিউএইচও অনুমান করেছিল, বিশ্বজুড়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কিডনি প্রতিস্থাপন অবৈধভাবে হয়। তবে বর্তমানে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
ভারতে মেডিকেল ট্যুরিজমের ব্যাপকতা থাকায় সেখানেও অবৈধ কিডনি বিক্রির অভিযোগ বাড়ছে। গত বছর ভারতীয় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে; যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও ছিলেন।
পুলিশ অভিযোগ করে, এই গ্রুপ জাল নথি ব্যবহার করে দরিদ্র বাংলাদেশিদের কিডনি বিক্রি করছিল।
ওই চিকিৎসকের নাম ডা. বিজয়া রাজকুমারী। তিনি ছিলেন দিল্লির প্রখ্যাত ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। তবে বিজয়ার আইনজীবী বিবিসিকে বলেন, অভিযোগগুলো ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’। তিনি শুধু অথরাইজেশন কমিটি দ্বারা অনুমোদিত সার্জারি করেছিলেন এবং আইন অনুযায়ীই কাজ করেন। জামিন আদেশ অনুযায়ী, তাঁকে জাল নথি প্রস্তুত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি।
এদিকে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের পর অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ডা. রাজকুমারী একজন ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট ছিলেন এবং ফি-ফর-সার্ভিস ভিত্তিতে করতেন। তাঁর সঙ্গে সব ক্লিনিক্যাল সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে।
এদিকে আদালতও ডা. রাজকুমারীকে কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করেননি।
ভারতের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, বিদেশিদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কঠোর তদারকি প্রয়োজন।
ভারত ও মিয়ানমার সরকারের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে বিবিসি যোগাযোগ করলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
অস্ত্রোপচারের কয়েক মাস পর বিবিসি জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে। জিয়া জানান, তিনি তাঁর ঋণ শোধ করেছেন। আর একখণ্ড জমি কিনেছেন। তবে বাড়ি বানানোর টাকা জোগাড় করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘আমাকে আবারও কাজে ফিরতে হবে। যদি শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটার সঙ্গেও লড়াই করতে হবে। আমি এর জন্য আফসোস করি না।’
তবে মিও উইন বলেন, ‘আমি আমার ঋণের বেশির ভাগ শোধ করতে পেরেছি। কিন্তু এখন আমার আর কোনো কাজ নেই। শরীরেও কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমি অন্যদের বলছি—এমনটা কেউ কোরো না। এটা ভালো কিছু নয়।’
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপরেই ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে দ্রব্যমূল্য। সে সময় দারিদ্র্যের চাপে নিজের কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন জিয়া (ছদ্মনাম) নামে মিয়ানমারের এক কৃষক। জিয়া জানান, তাঁর ছোট পরিবারকে খাওয়াতে পারছিলেন না। ঋণের বোঝায় ছিলেন জর্জরিত।
বিবিসির কাছে তিনি বলেন, ‘থাকার জন্য শুধু একটা বাড়ি কিনতে চেয়েছিলাম আর ঋণ শোধ করতে চেয়েছিলাম—এ কারণেই কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই।’
ইয়াঙ্গুন শহর থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে একটি গ্রামে জিয়ার শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই মাটির রাস্তার পাশে খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘরে থাকতেন জিয়া ও তাঁর পরিবার।
ওই এলাকায় থাকাকালীন জিয়া জানতে পারেন, আশপাশের কয়েকজন কিডনি বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা ইতিমধ্যে কিডনি বিক্রি করেছে, তাদের সুস্থ দেখাচ্ছিল। তাই আমিও কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই এবং দালালের খোঁজ করতে থাকি।’
যদিও মিয়ানমার ও ভারতে মানবদেহের অঙ্গ কেনাবেচা অবৈধ। কিন্তু এরপরও খুঁজে খুঁজে একজন দালাল বের করেন জিয়া।
দালাল তাঁর মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে দেন এবং কয়েক সপ্তাহ পর জানান, একজন বার্মিজ নারী রোগীর জন্য তাঁর কিডনি লাগবে। তখন দুজনকেই ভারতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ভারতের আইন অনুযায়ী কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা যদি নিকটাত্মীয় না হন, তবে তাদের আত্মিক বা পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ দিতে হয়।
জিয়া জানান, এই সমস্যার কারণে দালাল একটি ভুয়া নথি তৈরি করেন। যেখানে তাঁকে ওই নারীর পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখানো হয়। কাগজে উল্লেখ করা হয়, তিনি বিবাহসূত্রে ওই নারীর আত্মীয়।
ইয়াঙ্গুনে যেখানে জিয়া ও ওই নারী সাক্ষাৎ করানো হয়, সেখানে আরও একজন ছিলেন। জিয়া জানান, ওই ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন এবং আরও কিছু কাগজপত্র তৈরি করেন। তিনি জিয়াকে সতর্ক করে দেন, যদি কোনো কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, তবে বড় অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিবিসি পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁর কাজ কেবল রোগীর শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা করা। দাতা-গ্রহীতার সম্পর্ক যাচাই করা নয়।
জিয়া জানান, কিডনি দেওয়ার জন্য তাঁকে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মিয়ানমার কিয়েট (১,৭০০ থেকে ২,৭০০ মার্কিন ডলার) দেওয়ার কথা বলা হয়।
এরপর উত্তরে ভারতের একটি বড় হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার করানো হয়। অস্ত্রোপচারের আগে কর্তৃপক্ষ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন একজন দোভাষীর মাধ্যমে জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বেচ্ছায় কিডনি দান করছেন।’ তাঁর অনুমতি পাওয়ার পরেই অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
জিয়া বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর আমি প্রচণ্ড ব্যথায় ছিলাম। এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
অন্য এক দাতা, মিও উইন (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, তাঁকেও ভুয়া পরিচয় দিতে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘দালাল আমাকে একটি কাগজ ধরিয়ে দেন। সেখানে লেখা কিছু কথা আমাকে মুখস্থ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, গ্রহীতা আমার এক আত্মীয়ের স্ত্রী।’ এমনকি তাঁর মায়ের পরিচয় নিশ্চিত করতে একজন ভুয়া মায়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
২০২১ সালের পর মিয়ানমারের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, মিয়ানমারে ২০১৭ সালে ২৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।
মিও উইন বলেন, ‘দালাল আমাকে জানায়নি, কিডনি বিক্রি অবৈধ। আমি যদি জানতাম, তাহলে কিডনি বিক্রি করতাম না। আমি এখন জেলে যাওয়ার ভয়ে আছি।’
বিবিসি বিভিন্ন অনুসন্ধান থেকে একজন দালালের সন্ধান পায়। যিনি মিয়ানমারে অন্তত ১০টি কিডনি কেনাবেচার কাজে সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কিডনি বিক্রি করতে চাইলে আমি তাঁকে মান্ডালয়ের একটি সংস্থার কাছে পাঠাতাম। তারাই সব ব্যবস্থা করত।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় বিশ্বজুড়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করার হার ৫০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু বৈধভাবে প্রতিস্থাপনের জন্য দাতার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ২০০৭ সালে ডব্লিউএইচও অনুমান করেছিল, বিশ্বজুড়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কিডনি প্রতিস্থাপন অবৈধভাবে হয়। তবে বর্তমানে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
ভারতে মেডিকেল ট্যুরিজমের ব্যাপকতা থাকায় সেখানেও অবৈধ কিডনি বিক্রির অভিযোগ বাড়ছে। গত বছর ভারতীয় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে; যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও ছিলেন।
পুলিশ অভিযোগ করে, এই গ্রুপ জাল নথি ব্যবহার করে দরিদ্র বাংলাদেশিদের কিডনি বিক্রি করছিল।
ওই চিকিৎসকের নাম ডা. বিজয়া রাজকুমারী। তিনি ছিলেন দিল্লির প্রখ্যাত ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। তবে বিজয়ার আইনজীবী বিবিসিকে বলেন, অভিযোগগুলো ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’। তিনি শুধু অথরাইজেশন কমিটি দ্বারা অনুমোদিত সার্জারি করেছিলেন এবং আইন অনুযায়ীই কাজ করেন। জামিন আদেশ অনুযায়ী, তাঁকে জাল নথি প্রস্তুত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি।
এদিকে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের পর অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ডা. রাজকুমারী একজন ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট ছিলেন এবং ফি-ফর-সার্ভিস ভিত্তিতে করতেন। তাঁর সঙ্গে সব ক্লিনিক্যাল সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে।
এদিকে আদালতও ডা. রাজকুমারীকে কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করেননি।
ভারতের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, বিদেশিদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কঠোর তদারকি প্রয়োজন।
ভারত ও মিয়ানমার সরকারের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে বিবিসি যোগাযোগ করলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
অস্ত্রোপচারের কয়েক মাস পর বিবিসি জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে। জিয়া জানান, তিনি তাঁর ঋণ শোধ করেছেন। আর একখণ্ড জমি কিনেছেন। তবে বাড়ি বানানোর টাকা জোগাড় করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘আমাকে আবারও কাজে ফিরতে হবে। যদি শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটার সঙ্গেও লড়াই করতে হবে। আমি এর জন্য আফসোস করি না।’
তবে মিও উইন বলেন, ‘আমি আমার ঋণের বেশির ভাগ শোধ করতে পেরেছি। কিন্তু এখন আমার আর কোনো কাজ নেই। শরীরেও কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমি অন্যদের বলছি—এমনটা কেউ কোরো না। এটা ভালো কিছু নয়।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৮ ঘণ্টা আগে