থাইল্যান্ডের সাবেক রাজা আনন্দ মহিদোলের মৃত্যু আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত মামলাগুলোর একটি। ১৯৪৬ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সী রাজা আনন্দকে শয়নকক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ৭৮ বছর পর আবারও সেই মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একটি আবেদনের শুনানি চলছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাম অষ্টম নামে পরিচিত রাজা আনন্দ মাত্র ৯ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি থাইল্যান্ড শাসন করেছেন। তিনি ছিলেন বর্তমান রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের চাচা এবং আগের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের বড় ভাই।
১৯৪৬ সালের ৯ জুন মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল রাজা আনন্দকে। সরকারি তদন্ত এবং ১৯৫৪ সালে হওয়া একটি রায় অনুসারে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তিন প্রাসাদ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৯৫৫ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
অন্যদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে রাজা আনন্দের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রিদি ব্যানোমিয়ংয়ের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে নির্বাসনে পাঠানো হয় এবং ১৯৮৩ সালে ফ্রান্সে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর পর প্রিদিকে নির্দোষ ঘোষণা করেছিল থাই সরকার এবং ১৯৯৭ সালে বিংশ শতকের মহান ব্যক্তিত্বের তালিকায় তাঁকে মনোনীত করেছিল ইউনেসকো।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রথম আদালতের নির্দেশে রাজা আনন্দের হত্যা মামলাটির তদন্ত পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। আর এটি সচল করার জন্য পিটিশন দাখিল করেছিলেন কুঙ্গওয়াল বুদ্ধিভানিদ নামে ৬২ বছর বয়সী এক লেখক। ২০২০ সালে প্রশিক্ষিত এই রসায়নবিদ এবং প্রাক্তন ব্যবসায়ী রাজা আনন্দের মৃত্যু নিয়ে সরকারি ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি বইও লিখেছিলেন। বইয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, রাজা আনন্দকে কেউ হত্যা করেনি, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।
কুঙ্গওয়াল আদালতকে জানিয়েছেন—তিনি প্রমাণ করতে পারবেন যে, মরদেহের পাশে পাওয়া নিজ অস্ত্রেই নিহত হয়েছিলেন রাজা। ১৯৪০-এর দশকে এই ঘটনার মূল তদন্তকারীরা দাবি করেছিলেন, রাজার অস্ত্র দিয়ে তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগে গুলি করা হয়েছিল। আর যে অস্ত্র দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল, সেই অস্ত্র আর কখনোই পাওয়া যায়নি।
কুঙ্গওয়াল আদালতকে বলেছেন, ‘পুরোনো রায়গুলো রাজার আত্মহত্যার ধারণাকে খারিজ করে দিয়েছিল এবং এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে রায় দিয়েছিল। আমি যে নতুন প্রমাণ এনেছি, তা ঘটনাকে উল্টে দেবে।’
নিজের দাবির পক্ষে একটি ফরেনসিক পরীক্ষারও নথিপত্র হাজির করেছিলেন কুঙ্গওয়াল।
রাজা আনন্দের মৃত্যু নিয়ে বিগত দশকগুলোতে দুই ডজনেরও বেশি বই লেখা হয়েছে। কারণ অনেক পণ্ডিত মনে করেন, রাজার মৃত্যু নিয়ে তদন্তটি স্বচ্ছ ছিল না এবং সেই সময়ের রাজনীতির দ্বারা এটি নিমজ্জিত ছিল।
এ ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড ভোগ করা তিন প্রাসাদ কর্মকর্তার একজনের আত্মীয়দের পক্ষে গত অক্টোবরে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন কুঙ্গওয়াল।
থাইল্যান্ডের সাবেক রাজা আনন্দ মহিদোলের মৃত্যু আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত মামলাগুলোর একটি। ১৯৪৬ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সী রাজা আনন্দকে শয়নকক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ৭৮ বছর পর আবারও সেই মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একটি আবেদনের শুনানি চলছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাম অষ্টম নামে পরিচিত রাজা আনন্দ মাত্র ৯ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি থাইল্যান্ড শাসন করেছেন। তিনি ছিলেন বর্তমান রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের চাচা এবং আগের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের বড় ভাই।
১৯৪৬ সালের ৯ জুন মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল রাজা আনন্দকে। সরকারি তদন্ত এবং ১৯৫৪ সালে হওয়া একটি রায় অনুসারে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তিন প্রাসাদ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৯৫৫ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
অন্যদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে রাজা আনন্দের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রিদি ব্যানোমিয়ংয়ের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে নির্বাসনে পাঠানো হয় এবং ১৯৮৩ সালে ফ্রান্সে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর পর প্রিদিকে নির্দোষ ঘোষণা করেছিল থাই সরকার এবং ১৯৯৭ সালে বিংশ শতকের মহান ব্যক্তিত্বের তালিকায় তাঁকে মনোনীত করেছিল ইউনেসকো।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রথম আদালতের নির্দেশে রাজা আনন্দের হত্যা মামলাটির তদন্ত পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। আর এটি সচল করার জন্য পিটিশন দাখিল করেছিলেন কুঙ্গওয়াল বুদ্ধিভানিদ নামে ৬২ বছর বয়সী এক লেখক। ২০২০ সালে প্রশিক্ষিত এই রসায়নবিদ এবং প্রাক্তন ব্যবসায়ী রাজা আনন্দের মৃত্যু নিয়ে সরকারি ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি বইও লিখেছিলেন। বইয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, রাজা আনন্দকে কেউ হত্যা করেনি, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।
কুঙ্গওয়াল আদালতকে জানিয়েছেন—তিনি প্রমাণ করতে পারবেন যে, মরদেহের পাশে পাওয়া নিজ অস্ত্রেই নিহত হয়েছিলেন রাজা। ১৯৪০-এর দশকে এই ঘটনার মূল তদন্তকারীরা দাবি করেছিলেন, রাজার অস্ত্র দিয়ে তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগে গুলি করা হয়েছিল। আর যে অস্ত্র দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল, সেই অস্ত্র আর কখনোই পাওয়া যায়নি।
কুঙ্গওয়াল আদালতকে বলেছেন, ‘পুরোনো রায়গুলো রাজার আত্মহত্যার ধারণাকে খারিজ করে দিয়েছিল এবং এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে রায় দিয়েছিল। আমি যে নতুন প্রমাণ এনেছি, তা ঘটনাকে উল্টে দেবে।’
নিজের দাবির পক্ষে একটি ফরেনসিক পরীক্ষারও নথিপত্র হাজির করেছিলেন কুঙ্গওয়াল।
রাজা আনন্দের মৃত্যু নিয়ে বিগত দশকগুলোতে দুই ডজনেরও বেশি বই লেখা হয়েছে। কারণ অনেক পণ্ডিত মনে করেন, রাজার মৃত্যু নিয়ে তদন্তটি স্বচ্ছ ছিল না এবং সেই সময়ের রাজনীতির দ্বারা এটি নিমজ্জিত ছিল।
এ ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড ভোগ করা তিন প্রাসাদ কর্মকর্তার একজনের আত্মীয়দের পক্ষে গত অক্টোবরে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন কুঙ্গওয়াল।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২০ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আজ সোমবার বেলা ১টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্কুলের একটি ভবনের ওপর...
৪ ঘণ্টা আগেব্রিটেনে ভুয়া নথির মাধ্যমে পাকিস্তানি অভিবাসীদের প্রবেশের একটি চাঞ্চল্যকর চিত্র উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে অবস্থিত ‘মিরপুর ভিসা কনসালট্যান্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে ভিসার জন্য জাল কাগজপত্র সরবরাহ করছে, যা
৫ ঘণ্টা আগেঢাকার উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আজ সোমবার (২১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এই শোকবার্তা প্রকাশ করেন।
৮ ঘণ্টা আগেমোদি তাঁর শোকবার্তায় বলেন, ‘ঢাকায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষের, বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের হৃদয় শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থন ও
৮ ঘণ্টা আগে