আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভবিষ্যৎ সরকারের একটি সম্ভাব্য কাঠামো সম্পর্কে এরই মধ্যে ধারণা দিয়েছে তালেবান। গত মঙ্গলবার ডাকা প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র সম্ভাব্য সরকারে নারীসহ বিভিন্ন পক্ষের যোগ দেওয়ার সুযোগের কথা বলেছেন। সঙ্গে ছেলেমেয়ে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ থাকবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু মানুষ এতে আস্থা পাচ্ছে না এখনো। গতকাল বুধবারও আফগানিস্তান ছেড়ে গেছেন ৫ হাজার মানুষ। দেশ ছাড়তে যে ঢল নেমেছিল বিমানবন্দরে, তাতে পদদলিত হয়ে ১৭ জন মারা গেছে।
মূলত ১৯৯৬-২০০১ সময়ের তালেবান শাসনের স্মৃতি ভয় দেখাচ্ছে সাধারণ আফগানদের। তারা তালেবান নিয়ে যেমন আশা দেখছে, তেমনি শঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছে না। বিশেষত আফগানিস্তানে এখন পতাকার প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। আজ দেশটির ১০১তম স্বাধীনতা দিবস। তার আগেই তারা তাদের চেনা পতাকাটি ফেরত চায়। কিন্তু তালেবান যত শহর বা প্রদেশ দখল করেছে, সব জায়গায় সরকারি সব ভবন থেকে এই সিংহ চিহ্নিত পতাকা নামিয়ে দিয়েছে। এর বদলে তারা নিজেদের সাদা পতাকা উড়িয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশের পর সেখানকার জাতীয় পতাকাও সরিয়ে নেয় তালেবান সদস্যরা। তখন থেকেই দেশটির নাগরিকেরা ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের পতাকা যেন বহাল রাখা হয়, সে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে তালেবান পক্ষ থেকে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনেই জানানো হয়েছে, তারা পতাকার বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পতাকা অপরিবর্তিত রাখার দাবি নিয়ে তারা সুস্পষ্ট কোনো কথা বলেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু পতাকা প্রশ্নেই জালালাবাদসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশে উত্তেজনা বাড়ছে। এই একটি বিষয়ে তালেবানের বিরোধিতা করতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ ক্ষেত্রে তালেবানের অবস্থান বলে দেবে, তারা আদতে কতটা সহনশীল হবে। যদিও জালালাবাদের ঘটনা বলে দেয়, যেসব প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছে, তা রক্ষা করাটা তাদের জন্য বেশ কঠিন হবে।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো নারী ও মেয়ে শিশু প্রশ্নে তালেবান অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। এতে স্বাক্ষর করেছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, গুয়াতেমালা, নিউজিল্যান্ড, সেনেগাল ও সুইজারল্যান্ড। তারা বলেছে, ‘আমরা নারী ও মেয়ে শিশু, তাদের শিক্ষা, কাজ ও চলাচলের অধিকার নিয়ে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। আফগানিস্তানের ক্ষমতা বা নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা লোকেদের প্রতি আমরা তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানাই।’
তালেবান শেষ পর্যন্ত তাদের প্রতিশ্রুতি রাখবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলও। এ ধরনের বিবৃতি তারই প্রমাণ। এ বিষয়ে তারা কিছু পদক্ষেপও নিয়ে রেখেছে। কোনো ঘোষণা সেভাবে না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে থাকা আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তালেবানকে দেওয়া হবে না বলে জানা গেছে। এর জেরে আফগান সরকারের রিজার্ভ জব্দ করে রেখেছে মার্কিন সরকার। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ফলে প্রায় ৯৪০ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাচ্ছে না তালেবান।
এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের জন্য দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের জ্যেষ্ঠ নেতা আনাস হাক্কানির যে আলোচনা চলছে, তার ইতিবাচক ফল আসতে হবে। আফগানিস্তানের স্বার্থেই তালেবানকে এ ক্ষেত্রে সহনশীল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। তা না হলে আন্তর্জাতিক যে চাপের মুখে দেশটি পড়বে, তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে তালেবানের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে চীন, পাকিস্তানের সমর্থন দিয়ে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।
ভবিষ্যৎ সরকারের একটি সম্ভাব্য কাঠামো সম্পর্কে এরই মধ্যে ধারণা দিয়েছে তালেবান। গত মঙ্গলবার ডাকা প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র সম্ভাব্য সরকারে নারীসহ বিভিন্ন পক্ষের যোগ দেওয়ার সুযোগের কথা বলেছেন। সঙ্গে ছেলেমেয়ে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ থাকবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু মানুষ এতে আস্থা পাচ্ছে না এখনো। গতকাল বুধবারও আফগানিস্তান ছেড়ে গেছেন ৫ হাজার মানুষ। দেশ ছাড়তে যে ঢল নেমেছিল বিমানবন্দরে, তাতে পদদলিত হয়ে ১৭ জন মারা গেছে।
মূলত ১৯৯৬-২০০১ সময়ের তালেবান শাসনের স্মৃতি ভয় দেখাচ্ছে সাধারণ আফগানদের। তারা তালেবান নিয়ে যেমন আশা দেখছে, তেমনি শঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছে না। বিশেষত আফগানিস্তানে এখন পতাকার প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। আজ দেশটির ১০১তম স্বাধীনতা দিবস। তার আগেই তারা তাদের চেনা পতাকাটি ফেরত চায়। কিন্তু তালেবান যত শহর বা প্রদেশ দখল করেছে, সব জায়গায় সরকারি সব ভবন থেকে এই সিংহ চিহ্নিত পতাকা নামিয়ে দিয়েছে। এর বদলে তারা নিজেদের সাদা পতাকা উড়িয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশের পর সেখানকার জাতীয় পতাকাও সরিয়ে নেয় তালেবান সদস্যরা। তখন থেকেই দেশটির নাগরিকেরা ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের পতাকা যেন বহাল রাখা হয়, সে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে তালেবান পক্ষ থেকে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনেই জানানো হয়েছে, তারা পতাকার বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পতাকা অপরিবর্তিত রাখার দাবি নিয়ে তারা সুস্পষ্ট কোনো কথা বলেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু পতাকা প্রশ্নেই জালালাবাদসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশে উত্তেজনা বাড়ছে। এই একটি বিষয়ে তালেবানের বিরোধিতা করতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ ক্ষেত্রে তালেবানের অবস্থান বলে দেবে, তারা আদতে কতটা সহনশীল হবে। যদিও জালালাবাদের ঘটনা বলে দেয়, যেসব প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছে, তা রক্ষা করাটা তাদের জন্য বেশ কঠিন হবে।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো নারী ও মেয়ে শিশু প্রশ্নে তালেবান অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। এতে স্বাক্ষর করেছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, গুয়াতেমালা, নিউজিল্যান্ড, সেনেগাল ও সুইজারল্যান্ড। তারা বলেছে, ‘আমরা নারী ও মেয়ে শিশু, তাদের শিক্ষা, কাজ ও চলাচলের অধিকার নিয়ে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। আফগানিস্তানের ক্ষমতা বা নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা লোকেদের প্রতি আমরা তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানাই।’
তালেবান শেষ পর্যন্ত তাদের প্রতিশ্রুতি রাখবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলও। এ ধরনের বিবৃতি তারই প্রমাণ। এ বিষয়ে তারা কিছু পদক্ষেপও নিয়ে রেখেছে। কোনো ঘোষণা সেভাবে না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে থাকা আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তালেবানকে দেওয়া হবে না বলে জানা গেছে। এর জেরে আফগান সরকারের রিজার্ভ জব্দ করে রেখেছে মার্কিন সরকার। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ফলে প্রায় ৯৪০ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাচ্ছে না তালেবান।
এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের জন্য দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের জ্যেষ্ঠ নেতা আনাস হাক্কানির যে আলোচনা চলছে, তার ইতিবাচক ফল আসতে হবে। আফগানিস্তানের স্বার্থেই তালেবানকে এ ক্ষেত্রে সহনশীল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। তা না হলে আন্তর্জাতিক যে চাপের মুখে দেশটি পড়বে, তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে তালেবানের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে চীন, পাকিস্তানের সমর্থন দিয়ে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরীতে হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। এক সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, যুদ্ধজাহাজটিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।
২ ঘণ্টা আগেভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন একটি আদালত কয়েক ঘণ্টা আগেই জোর করে অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এর পরেও ২০০-এর বেশি ভেনেজুয়েলান নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৪ ঘণ্টা আগেভ্রমণ মানেই আনন্দ। তবে বিমানবন্দরে যাতায়াতের ঝামেলা অনেকের জন্যই বেশ ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, ফ্লাইটের সময় যদি খুব ভোরে হয়, তাহলে যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হলে মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়, দীর্ঘ চেক-ইন এবং নিরাপত্তা পরীক্ষার ধাপ পেরোতে হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে