Ajker Patrika

চীনের সবচেয়ে উঁচু ঝরনাটি নকল, পানি পড়ছে পাইপে—ফাঁস করলেন অভিযাত্রী

আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ২৩: ৫৪
চীনের সবচেয়ে উঁচু ঝরনাটি নকল, পানি পড়ছে পাইপে—ফাঁস করলেন অভিযাত্রী

চীনের হেনান প্রদেশে অবস্থিত ইয়ুনতাই ফলকে দেশের সর্বোচ্চ বিরামহীন ঝরনা হিসেবে আখ্যায়িত করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ১ হাজার ৩০ ফুট ওপর থেকে পড়ছে এর পানি। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন মানুষের সমাগম হয় ইয়ুনতাই মাউন্টেন টুরিজম পার্কে। নামকরা এই ঝরনা নিয়ে হঠাৎ করেই বোমা ফাটালেন এক পাহাড়চারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও সহ এক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, ঝরনাটি প্রাকৃতিক নয়। এটির পানি পড়ছে আসলে পাইপ দিয়ে। ঝরনাটির উৎস খুঁজতে গিয়েই এমন চাঞ্চল্যকর বিষয় তিনি আবিষ্কার করেছেন। 

ফ্যারিসভভ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হয়—‘ইয়ুনতাই ঝরনার উৎস খুঁজতে অনেক কষ্ট করে এখানে এসে দেখি একটি পাইপ!’ 

বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝরনাটির ভিডিওসহ পাহাড়চারীর ওই পোস্ট এখন চীনজুড়ে ভাইরাল হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। আলাদা আলাদাভাবে ভিডিওটি একাধিক মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই অতি পরিচিত এই ঝরনার আসল রহস্য জানতে পেরে বিস্ময় প্রকাশ করছেন। গত সোমবার প্রথমবারের মতো পোস্ট করা ওই ভিডিওটির ভিউয়ের সংখ্যা চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে ইতিমধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর চীনা ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ডুয়িনে এই ভিডিওটি ১ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে। 

ঝরনা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় এই বিষয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ইয়ুনতাই টুরিজম পার্কের পরিচালকেরা বিষয়টিকে একটি ‘ছোট সংস্কার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী—পাহাড়ের ফাঁক গলে সেখানে একটি ঝরনার অস্তিত্ব সত্যিই রয়েছে। তবে শুকনো মৌসুমে পর্যটকদের আকর্ষণ ধরে রাখা এবং তাঁদের সন্তুষ্টির জন্য পাইপ দিয়ে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

ছবি: সংগৃহীতপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়ুনতাই মাউন্টেন জিওপার্ক ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত। ১০০ কোটি বছরেরও বেশি সময় আগে এই অঞ্চলটি পাহাড়ি প্রকৃতির রূপ নিয়েছিল। পার্কের কর্মকর্তারা চীনা গণমাধ্যম সিসিটিভিকে জানিয়েছেন, সাধারণত তারা বসন্ত মৌসুমে পাইপ দিয়ে পানি পাম্প করেন। তবে এই বিষয়টি ওই স্থানের প্রাকৃতিক পরিবেশকে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না। 

ভাইরাল এই ইস্যুটিকে অসংখ্য চীনা ইতিবাচকভাবেও দেখেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমি মনে করি, কাজটি ভালোই হয়েছে। তা না হলে দর্শনার্থীরা সেখানে কিছু না দেখে হতাশ হয়ে যেতেন।’ 

তবে এই বিষয়টির সমালোচনাই হয়েছে সবচেয়ে বেশি। একজন লিখেছেন, ‘এটির মাধ্যমে প্রকৃতির স্বাভাবিক গতি এবং পর্যটকদের অসম্মান করা হয়েছে।’ 
আরেকজন লিখেছেন, ‘কীভাবে আমরা এখন থেকে এটিকে এক নম্বর ঝরনা হিসেবে বিবেচনা করব!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত