Ajker Patrika

চীনের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হলেন উইলিয়াম লাই

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ০৮
চীনের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হলেন উইলিয়াম লাই

এশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিল চীন। কাঠখড়ও পুড়িয়েছে বেশ। এই নির্বাচনই যুদ্ধ বা শান্তির নির্ধারক বলেও জানিয়ে দিয়েছিল দেশটি। আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন। নির্বাচনের শুরুতে ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) ও বিরোধী দল কেমটির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাসও দেখা দিয়েছিল। 

তবে নির্বাচন শেষে একের পর এক কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হতে থাকলে ফিকে হয়ে আসতে থাকে চীনের আশা। এই নির্বাচনে চীনের আশায় গুড়ে বালি দিয়েছেন ডিপিপি প্রার্থী উইলিয়াম লাই। যাকে চীন আগেই ট্রাবলমেকার বা সমস্যা সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

সর্বশেষ খবর পাওয়া অবধি, চীনবিরোধী উইলিয়াম লাই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে ন্যূনতম ৫০ লাখ ভোট পাওয়ার কোটা পূরণ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রায় ১০ লাখ ভোটে পিছিয়ে আছেন। চীনের নানা চেষ্টায় গুড়ে বালি দিয়ে তৃতীয়বারের মতো  দলটি থেকে বড় ব্যবধানেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন কোনো নেতা।

এটি একটি ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে তাইওয়ানের ইতিহাসে স্থান নিতে যাচ্ছে বলে অভিমত দিয়েছেন অনেক বিশ্লেষক। 

এদিকে উইলিয়াম লাইয়ের প্রধান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী দল কুমিংতাংয়ের প্রার্থী হো ইই-ইহ নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইলিয়াম লাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন কুমিংতাংয়ের হো ইহ-ইহ এবং রাজধানী তাইপের সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে। তিনি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত তাইওয়ান্স পিপলস (টিপিপি) পার্টির হয়ে নির্বাচন করেছেন।

নির্বাচনের আগে থেকেই উইলিয়াম লাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছিল চীন। এরপরও বড় এই জয় ইঙ্গিত দিচ্ছে—চীনের চাপকে পাত্তা দেননি তাইওয়ানের সাধারণ ভোটাররা। তাঁরা চীনবিরোধী উইলিয়াম লাইকেই ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন। নতুন প্রেসিডেন্ট ছাড়াও তাইওয়ানের সাধারণ মানুষ আজ এমপি নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন। 

লাই নির্বাচনের আগে জানিয়েছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে তাইওয়ান প্রণালির স্থিতিশীলতা এবং এটির প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করবেন। 

তাইওয়ানের নির্বাচন ঘিরে সরব ছিল চীন। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ জানিয়েছে, নির্বাচনের দিনও তাঁদের ভূখণ্ডে বেলুন উড়িয়েছে বেইজিং। 

তাইওয়ান নিজেকে স্বায়ত্তশাসিত বললেও, চীন দাবি করে থাকে এটি তাদের অংশ। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীন বলেছিল এটি ‘শান্তি অথবা যুদ্ধের’ নির্বাচন। 

চীন হুমকি দিয়েছে, তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একীভূত করার চেষ্টা করা হবে। আর যদি এটি সম্ভব না হয়—তাহলে শক্তি প্রয়োগ করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণভাবে একীভূত করার জন্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে একাধিকবার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত