বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করায় তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্সের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ওই তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। একই অভিযোগে আরও তিন ব্রিগেডিয়ারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জান্তাবাহিনীর একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যের কোকাংয়ে প্রায় ২ হাজার ৪০০ সেনা ও দুই শতাধিক কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি বা এমএনডিএএর কাছে। পরে এমএনডিএএ সেই সব সেনা ও কর্মকর্তা এবং তাঁদের ১ হাজার ৬০০ আত্মীয়স্বজনসহ জান্তাবাহিনীর কাছে ফেরত পাঠায়।
তাঁদের মধ্যে লাউক্কাই সেনাঘাঁটির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়ে কায়াও থু, কোকাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুন তুন মিন্ত এবং কোকাংয়ের ৫৫তম ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জও মায়ো উইনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই তিন জেনারেল বর্তমানে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারে বন্দী।
এ ছাড়া, অপর তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন ও, দও জিন ও এবং অং জও লিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তিনজন মিয়ানমারে জান্তাবাহিনীর ১৪, ১৬ ও ১২তম ব্রিগেডের চিফস অব অপারেশনস ছিলেন। এই ছয় জেনারেলের বিরুদ্ধে ‘লজ্জাজনকভাবে’ নিজেদের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, বেশ কিছুদিন আগেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি (এএ) জানিয়েছিল, তারা রাখাইনের অধিকাংশ অংশেরই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এবার আরাকান আর্মি ও অপর দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, এবার তারা পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এই লক্ষ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরও তীব্র লড়াইয়ে নামবে।
এই অবস্থায় মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী শীর্ষ জেনারেলদের পদে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছে। নতুন উদ্যমে জান্তাবাহিনী রাখাইনে বিদ্রোহী জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই রাখাইনে আরও অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে। তার পর থেকেই দেশটিতে বিদ্রোহ-আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। জান্তাবাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো শুরু করলে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।
সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবর উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মি (এএ) জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে। মাঝে চীনের মধ্যস্থতায় এই তিন গোষ্ঠীর সঙ্গে একবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করায় তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্সের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ওই তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। একই অভিযোগে আরও তিন ব্রিগেডিয়ারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জান্তাবাহিনীর একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যের কোকাংয়ে প্রায় ২ হাজার ৪০০ সেনা ও দুই শতাধিক কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি বা এমএনডিএএর কাছে। পরে এমএনডিএএ সেই সব সেনা ও কর্মকর্তা এবং তাঁদের ১ হাজার ৬০০ আত্মীয়স্বজনসহ জান্তাবাহিনীর কাছে ফেরত পাঠায়।
তাঁদের মধ্যে লাউক্কাই সেনাঘাঁটির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়ে কায়াও থু, কোকাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুন তুন মিন্ত এবং কোকাংয়ের ৫৫তম ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জও মায়ো উইনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই তিন জেনারেল বর্তমানে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারে বন্দী।
এ ছাড়া, অপর তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন ও, দও জিন ও এবং অং জও লিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তিনজন মিয়ানমারে জান্তাবাহিনীর ১৪, ১৬ ও ১২তম ব্রিগেডের চিফস অব অপারেশনস ছিলেন। এই ছয় জেনারেলের বিরুদ্ধে ‘লজ্জাজনকভাবে’ নিজেদের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, বেশ কিছুদিন আগেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি (এএ) জানিয়েছিল, তারা রাখাইনের অধিকাংশ অংশেরই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এবার আরাকান আর্মি ও অপর দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, এবার তারা পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এই লক্ষ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরও তীব্র লড়াইয়ে নামবে।
এই অবস্থায় মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী শীর্ষ জেনারেলদের পদে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছে। নতুন উদ্যমে জান্তাবাহিনী রাখাইনে বিদ্রোহী জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই রাখাইনে আরও অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে। তার পর থেকেই দেশটিতে বিদ্রোহ-আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। জান্তাবাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো শুরু করলে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।
সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবর উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মি (এএ) জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে। মাঝে চীনের মধ্যস্থতায় এই তিন গোষ্ঠীর সঙ্গে একবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, গাজা থেকে জিম্মিদের মরদেহ ফেরাতে সময় লাগতে পারে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়া এসব মরদেহ খুঁজে বের করা কঠিন। এদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে—তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জিম্মিদের মরদেহের অবস্থানের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে আবারও বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তাঁর ও পুতিনের মধ্যে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ টেলিফোন আলাপের...
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আরব দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় তাঁর সরকার গাজার পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের জন্য তিন ধাপের একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই পরিকল্পনার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন—হামাস যদি গাজায় গ্যাং ও অভিযুক্ত ইসরায়েলি সহযোগীদের লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে, তাহলে তিনি হামাসের বিরুদ্ধে হামলা সমর্থন করবেন। এতে কার্যত ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটবে।
৪ ঘণ্টা আগে