Ajker Patrika

তুরস্ক থেকে হাইতি: যেসব বিধ্বংসী ভূমিকম্প বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে

তুরস্ক থেকে হাইতি: যেসব বিধ্বংসী ভূমিকম্প বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে

তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে পর পর দুটি ভয়ানক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে। ধসে পড়ে বহু ভবন। ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। এ দুর্যোগে দুই হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক দুর্যোগ আগের ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলোর স্মৃতি নাড়া দিচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে সর্বশেষ মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ধসে পড়া স্থাপনার স্তূপ থেকে এখনো হতাহতদের বের করে আনা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প গাজিয়ানটেপ শহরের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমন সোয়লু বলেছেন, ‘ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালটিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিসের ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ 

প্রথম ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত বাসিন্দারা অন্ধকার রাস্তায় জড়ো হন। 

প্রথম আঘাতের কয়েক ঘণ্টা পরই আরেকটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিস্তান এলাকায়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। তবে কোনো আফটার শক ছিল না। 

বিশ্বে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলো একটু স্মরণ করা যাক: 

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের আঘাত মানুষের ভোগান্তি বহু গুনে বাড়িয়ে দেয়। ফাইল ছবিআফগানিস্তান, জুন ২০২২ 
 ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে পূর্ব আফগানিস্তান কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পটি পাকতিকা প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে সাড়ে ৪ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হয় কমপক্ষে ১ হাজার মানুষ। আহত হয় দেড় হাজারেরও বেশি। 

হাইতি, আগস্ট ২০২১ 
২০২১ সালের ১৪ আগস্ট ভোরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এ ভূমিকম্প হাইতিকে কাঁপিয়ে দেয়। এতে দেশটির হাসপাতাল, স্কুল এবং বাড়িঘর ধসে পড়ে। প্রাণ হারায় ২ হাজার ২০০–এর বেশি মানুষ। ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়ে দেশ। 

নেপাল, এপ্রিল ২০১৫ 
নেপালে ২০১৫ সালের এ ভূমিকম্প দেশটিতে ১৯৩৪ সালের পর সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি বলে ধরা হয়। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এতে ৮ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। আহতের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার। কাঠমাণ্ডুর ৮০ শতাংশ মন্দির এবং ঐতিহাসিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাটিতে মিশে যায় ৯৮ শতাংশ ঘরবাড়ি। 

পাকিস্তানের ভূমিকম্পে নিহত হয় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ। ফাইল ছবিপাকিস্তান, সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
পাকিস্তানের প্রত্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বেলুচিস্তানের আওয়ারান জেলার প্রায় সব গ্রামের বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। নিহত হয় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ। 

এ ভূমিকম্প করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ, লারকানা এবং লাহোরসহ পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতেও অনুভূত হয়েছিল। ভূমিকম্পটি ভারতের দিল্লিতেও অনুভূত হয়, সেখানে কিছু ভবন কেঁপে উঠেছিল। এ ছাড়া কেন্দ্রস্থল থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে ওমানের রাজধানী মাস্কটেও হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছিল। 
 
জাপান, মার্চ ২০১১ 
জাপানের তোহোকুতে ২০১১ সালের এ ভূমিকম্প ও সুনামিকে একুশ শতকের দুর্যোগগুলোর মধ্য দ্বিতীয় বৃহত্তম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটির মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৯। এতে ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায় বা নিখোঁজ হয়। আহত হন আরও ৬ হাজার জন। 
 
ভূমিকম্পটি জাপানের উপকূলে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি করে। এর ক্ষয়ক্ষতি ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিপর্যয়ের সমপর্যায়ের ছিল। ফুকুশিমার ঘটনাকে ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিপর্যয় বলে বিবেচনা করা হয়। 

হাইতির এ ভূমিকম্পে ২ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ছবি: এএফপিহাইতি, জানুয়ারি ২০১০ 
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাইতির রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সের চারপাশে ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ২ লাখ ৩০ হাজার লোক মারা যায় এবং অসংখ্য ভবন ভেঙে পড়ে। ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে কিউবা এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। 

ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ভূমিকম্পগুলোর একটি এটি। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২টি আফটার শক হাইতিকে লন্ডভন্ড করে দেয়। আফটার শকগুলোরও মাত্রা ছিল গড়ে ৪ দশমিক ৫। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আনুমানিক নিহত ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার। সরকারি হিসাবে নিহত ২ লাখ ২০ হাজার থেকে ৩ লাখ ১৬ হাজার। অবশ্য পরে সরকারি হিসাব নিয়ে বিতর্ক ওঠে। 

এ ছাড়া সরকারি হিসাবে, আড়াই লাখ আবাসিক ভবন এবং ৩০ হাজার বাণিজ্যিক ভবন ধসে গেছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভূমিকম্পে চীনে প্রায় ১০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ফাইল ছবিচীন, মে ২০০৮ 
চীনের ২০০৮ সালে মারাত্মক এ ভূমিকম্পে ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান। এ ছাড়া ১ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। ৭ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্প পশ্চিম চীনের পাহাড়ি প্রদেশ সিচুয়ানে আঘাত হানে। লক্ষাধিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আনুমানিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। 

এ ভূমিকম্পে প্রায় ১০ হাজার শিশু বিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছিল। যা দেশটিতে জনরোষ সৃষ্টি করে। পরে সরকারি তদন্তে দেখা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রায় ২০ শতাংশই ছিল অনিরাপদ। 

কাশ্মীর, মে ২০০৫ 
কাশ্মীরে ২০০৫ সালে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এ ভূমিকম্পে ৭৫ হাজার মানুষ মারা যায়। গৃহহীন হয়ে পড়ে লক্ষাধিক। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এ ভূমিকম্প হওয়ায় উদ্ধারকাজে জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ে। 

আফগানিস্তান, ১৯৯৮ 
 ১৯৯৮ সালে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে দুটি ভূমিকম্প হয়েছিল। হিন্দুকুশের তাখার প্রদেশে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ভূমিকম্পে প্রায় ২ হাজার ৩০০ লোক নিহত হয়। যদিও অনেকের অনুমান প্রকৃত সংখ্যা ৪ হাজার। মে মাসে একই অঞ্চলে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্পে প্রায় ৪ হাজার লোক নিহত হয়। 

চিলি, মে ১৯৬০ 
রিখটার স্কেলে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার এ ভূমিকম্প চিলির ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। এতে ৩০ ফুট উচ্চতার সুনামির সৃষ্টি হয়। ধ্বংস হয় অসংখ্য গ্রাম। এ দুর্যোগে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে নানা মত রয়েছে। তবে কমপক্ষে ২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। 

২০২২ সালের মার্চে জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ছবি: এএফপিজাপান, সেপ্টেম্বর ১৯২৩ 
জাপানে ১৯২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর এক মনোরম বিকেলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্প টোকিও-ইয়োকোহামা শহরকে তছনছ করে দিয়েছিল। সর্বনাশা এ ভূমিকম্প শহর দুটির দু–একটি ভবন ছাড়া সব ভবন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল। ৪০ ফুট উচ্চতার সুনামি হয়েছিল।

ভূমিকম্পের পরে অগ্নিকাণ্ড এবং টর্নেডো আঘাত হানে। সরকারি কর্মকর্তারা মৃতের সংখ্যা জানিয়েছিলেন ১ লাখ ৪৩ হাজার। কর্মকর্তারা আরও বলেছিলেন যে, ইয়োকোহামার ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আর টোকিওর প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিলিস্তিন সংকট: অবশেষে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মত হামাস

এএফপি, কায়রো
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। পাত্র নিয়ে পানির খোঁঁজে বেরিয়েছে শিশুরা। গতকাল গাজার খান ইউনিস এলাকায়। ছবি: এএফপি
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। পাত্র নিয়ে পানির খোঁঁজে বেরিয়েছে শিশুরা। গতকাল গাজার খান ইউনিস এলাকায়। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।

হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।

গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।

এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।

এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।

ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তির সমর্থক, অভিযোগ অ্যান্ড্রু কুমোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’

কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।

তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’

কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’

কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফ্রান্সে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এই প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অভিযুক্ত বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ছবি: এএফপি
অভিযুক্ত বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ছবি: এএফপি

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।

রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।

প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।

তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৪১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।

ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।

ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত