Ajker Patrika

২০১১–২৪: সিরিয়ার যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ যত ঘটনা

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

সিরিয়ায় ১৩ বছরের যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আক্ষরিক অর্থেই দেশটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এই দীর্ঘ সংঘাতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জেনে নেওয়া যাক:

মার্চ, ২০১১: দামেস্ক ও দারায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু হয়। আল-আসাদ সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস দমন-পীড়ন চালায়, যা এক সশস্ত্র বিপ্লবের জন্ম দেয়।

জুলাই, ২০১২: আলেপ্পোতে সংঘর্ষ তীব্র হয়ে ওঠে। সেখানে বিরোধী বাহিনী শহরের বড় অংশ দখল করে নেয়। চার বছর পর সিরীয় সেনারা শহরটি পুনরুদ্ধার করে।

আগস্ট, ২০১৩: পূর্ব ঘৌতায় এক রাসায়নিক হামলায় শত শত নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। এই হামলার পর আন্তর্জাতিক মহল তীব্র নিন্দা জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

জুন, ২০১৪: আইএসআইএল সিরিয়া ও ইরাক জুড়ে খিলাফত ঘোষণা করে, বিশাল অঞ্চল দখল করে নেয় তারা। রাকা শহরটি সিরিয়ায় তাদের কার্যত রাজধানী হয়ে ওঠে। তাদের নিয়ন্ত্রণ ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

সেপ্টেম্বর, ২০১৫: রাশিয়া সরাসরি আল-আসাদ সরকারের পক্ষে সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করে। রুশ বিমান হামলা সরকারি বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধের গতি পরিবর্তন করে দেয়।

এপ্রিল, ২০১৭: যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। সিরিয়ার সরকারি স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। খান শেখুনে রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অভিযান শুরু করার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র। এটি ছিল সিরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ।

নভেম্বর, ২০২৪: গত চার বছরে এই সংঘাত মূলত এক স্থিতিশীল অবস্থায় পরিণত হয়। গত সপ্তাহে ইদলিব থেকে সশস্ত্র গ্রুপগুলো হঠাৎ করেই অভিযান শুরু করে। আকস্মিক আঘাতে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে সরকারি বাহিনী। একের পর এক শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে আসাদ বাহিনী। শেষ পর্যন্ত আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক পতনের আগেই প্রেসিডেন্ট আসাদ দেশ ছাড়েন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত