দ্য গার্ডিয়ান
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের উপর চাপ বাড়ছে। আসছে জুনে যুক্তরাষ্ট্রে এক সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য যেন ফ্রান্সকে অনুসরণ করে— এই দাবি পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে তুলে ধরেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির এমপিরা। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এতথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক ফ্রান্স ও সৌদি আরব। মাখোঁ এরই মধ্যে বলেছেন, এই সম্মেলন একটি নির্ধারক মুহূর্ত হওয়া উচিত।
যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক বাছাই কমিটির চেয়ার এমিলি থর্নবেরি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের জন্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এখনই সময়। আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে, ফরাসিদের সঙ্গে মিলে এটা করতে হবে। অনেক দেশ আমাদের পথ চেয়ে বসে আছে; তাঁরা অপেক্ষা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব শিগগির পদক্ষেপ না নিলে, একদিন হয়তো স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কোনো ফিলিস্তিন আর অবশিষ্ট থাকবে না।’
আরব-ব্রিটিশ সমঝোতা পরিষদের (সিএএবিইউ) চেয়ার ক্রিস ডয়েল এই উদ্যোগকে সমর্থন করে বলেছেন, এটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্যের এমন পদক্ষেপ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা দেবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য এখনই পদক্ষেপ না নিলে দেরি হয়ে যেতে পারে। কারণ ইসরায়েল স্পষ্টই পশ্চিম তীরকে কার্যত সংযুক্ত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনেক লেবার এমপি সিএএবিইউয়ের সমর্থক। তাঁদের অনেকেই গাজায় ইসরায়েলের আচরণে ক্ষুব্ধ। এছাড়াও গত সপ্তাহে দুজন লেবার এমপিকে পশ্চিম তীরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইসরায়েলবিরোধী তৈরি করেছে।
তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের আনুষ্ঠানিক অবস্থান হলো— তারা ‘সবচেয়ে প্রভাব ফেলতে’ সক্ষম এমন ‘উপযুক্ত সময়ে’ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তবে ডেভিড ক্যামেরন যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তিনি এই নীতিতে কিছুটা অগ্রগতি ঘটান। ক্যামেরন বলেন, স্বীকৃতির জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের চূড়ান্ত পরিণতির অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। ইসরায়েলের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কোনো রাষ্ট্রেরই যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তে ভেটো দেওয়ার অধিকার নেই।
গত সপ্তাহে সবাইকে চমকে দিয়ে মাখোঁ বলেন, জুনের সম্মেলন অনেক রাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে উদ্বুদ্ধ করবে। ফ্রান্স ৫ টিভিকে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং আগামী কয়েক মাসে আমরা তা করব।’
সৌদি আরবসহ কিছু উপসাগরীয় দেশের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি যৌথ গতিশীলতায় অংশ নিতে চাই, যা ফিলিস্তিনের সমর্থক সবাইকে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে উৎসাহিত করবে, অনেকে এখনো যেটার বিরুদ্ধে।’
ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যার অভিযোগ তুলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেছেন, সৌদি আরব কেবল তখনই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে, যখন অপরিবর্তনযোগ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করবে।
ইসরায়েলকে কতটা চাপে ফেলতে পারবেন মাখোঁ, তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের কিছু মহলে সন্দেহ আছে। তবু কিয়ার স্টারমার ও মাখোঁর মধ্যে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ়। তাই ফ্রান্স জোরালোভাবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির পক্ষ নিলে পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষে সেই চাপ উপেক্ষা করা কঠিন হবে। বিশেষ করে এটি ইউরোপ-উপসাগরীয় শান্তি উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখা হলে, ঠেকানো কঠিন।
গত বছরের মে মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ব্যাপক সমর্থনের পরও স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে যোগ দেয়নি ফ্রান্স। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৮টি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখনো জি-২০ জোটভুক্ত কোনো পশ্চিমা দেশ— যেমন কানাডা, ইতালি বা জার্মানি— এই পদক্ষেপ নেয়নি।
গত মাসে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেট দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিপক্ষে প্রস্তাব পাস করে। তবে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ মনে করেন, হামাস ফিলিস্তিন সরকারের অংশ না হলে মাঝারি মেয়াদে সমাধানের পথ এখনো খোলা।
ইউরোপ যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়, তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করবে। তবে ফরাসিরা বলছে, উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া ট্রাম্প প্রশাসনকেও নেতানিয়াহুর প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করতে পারে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন: ‘একটি কাল্পনিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে একতরফাভাবে স্বীকৃতি দেওয়া... সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা এবং হামাসকে উৎসাহিত করা।’
এর প্রতিক্রিয়ায় মাখোঁ সামাজিক মাধ্যম এক্সে হিব্রু ভাষায় লিখেছেন যে, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফ্রান্সের অবস্থান হলো ‘শান্তির পক্ষে; ইসরায়েলের নিরাপত্তার পক্ষে এবং হামাস ছাড়া একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে।’
তিনি লেখেন, ‘এর জন্য সকল জিম্মির মুক্তি, টেকসই যুদ্ধবিরতি, জরুরি মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু এবং দ্বি-রাষ্ট্রিভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমি যেমন ফিলিস্তিনিদের একটি আইনি রাষ্ট্র ও শান্তির অধিকারকে সমর্থন করি, তেমনই ইসরায়েলিদের শান্তিতে ও নিরাপত্তায় বসবাসের অধিকারকেও সমর্থন করি এবং দুই রাষ্ট্রকে তাদের প্রতিবেশীরা স্বীকৃতি দিক, আমি তা চাই।’
মাখোঁ আরো বলেন, ‘জুনে অনুষ্ঠেয় দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সম্মেলনটিকে নির্ধারক ভূমিকা রাখতে হবে। আমি এই শান্তির লক্ষ্যে আমার অংশীদারদের সঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের এই শান্তি খুব প্রয়োজন।’
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের উপর চাপ বাড়ছে। আসছে জুনে যুক্তরাষ্ট্রে এক সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য যেন ফ্রান্সকে অনুসরণ করে— এই দাবি পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে তুলে ধরেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির এমপিরা। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এতথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক ফ্রান্স ও সৌদি আরব। মাখোঁ এরই মধ্যে বলেছেন, এই সম্মেলন একটি নির্ধারক মুহূর্ত হওয়া উচিত।
যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক বাছাই কমিটির চেয়ার এমিলি থর্নবেরি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের জন্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এখনই সময়। আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে, ফরাসিদের সঙ্গে মিলে এটা করতে হবে। অনেক দেশ আমাদের পথ চেয়ে বসে আছে; তাঁরা অপেক্ষা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব শিগগির পদক্ষেপ না নিলে, একদিন হয়তো স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কোনো ফিলিস্তিন আর অবশিষ্ট থাকবে না।’
আরব-ব্রিটিশ সমঝোতা পরিষদের (সিএএবিইউ) চেয়ার ক্রিস ডয়েল এই উদ্যোগকে সমর্থন করে বলেছেন, এটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্যের এমন পদক্ষেপ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা দেবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য এখনই পদক্ষেপ না নিলে দেরি হয়ে যেতে পারে। কারণ ইসরায়েল স্পষ্টই পশ্চিম তীরকে কার্যত সংযুক্ত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনেক লেবার এমপি সিএএবিইউয়ের সমর্থক। তাঁদের অনেকেই গাজায় ইসরায়েলের আচরণে ক্ষুব্ধ। এছাড়াও গত সপ্তাহে দুজন লেবার এমপিকে পশ্চিম তীরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইসরায়েলবিরোধী তৈরি করেছে।
তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের আনুষ্ঠানিক অবস্থান হলো— তারা ‘সবচেয়ে প্রভাব ফেলতে’ সক্ষম এমন ‘উপযুক্ত সময়ে’ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তবে ডেভিড ক্যামেরন যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তিনি এই নীতিতে কিছুটা অগ্রগতি ঘটান। ক্যামেরন বলেন, স্বীকৃতির জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের চূড়ান্ত পরিণতির অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। ইসরায়েলের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কোনো রাষ্ট্রেরই যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তে ভেটো দেওয়ার অধিকার নেই।
গত সপ্তাহে সবাইকে চমকে দিয়ে মাখোঁ বলেন, জুনের সম্মেলন অনেক রাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে উদ্বুদ্ধ করবে। ফ্রান্স ৫ টিভিকে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং আগামী কয়েক মাসে আমরা তা করব।’
সৌদি আরবসহ কিছু উপসাগরীয় দেশের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি যৌথ গতিশীলতায় অংশ নিতে চাই, যা ফিলিস্তিনের সমর্থক সবাইকে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে উৎসাহিত করবে, অনেকে এখনো যেটার বিরুদ্ধে।’
ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যার অভিযোগ তুলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেছেন, সৌদি আরব কেবল তখনই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে, যখন অপরিবর্তনযোগ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করবে।
ইসরায়েলকে কতটা চাপে ফেলতে পারবেন মাখোঁ, তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের কিছু মহলে সন্দেহ আছে। তবু কিয়ার স্টারমার ও মাখোঁর মধ্যে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ়। তাই ফ্রান্স জোরালোভাবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির পক্ষ নিলে পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষে সেই চাপ উপেক্ষা করা কঠিন হবে। বিশেষ করে এটি ইউরোপ-উপসাগরীয় শান্তি উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখা হলে, ঠেকানো কঠিন।
গত বছরের মে মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ব্যাপক সমর্থনের পরও স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে যোগ দেয়নি ফ্রান্স। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৮টি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখনো জি-২০ জোটভুক্ত কোনো পশ্চিমা দেশ— যেমন কানাডা, ইতালি বা জার্মানি— এই পদক্ষেপ নেয়নি।
গত মাসে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেট দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিপক্ষে প্রস্তাব পাস করে। তবে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ মনে করেন, হামাস ফিলিস্তিন সরকারের অংশ না হলে মাঝারি মেয়াদে সমাধানের পথ এখনো খোলা।
ইউরোপ যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়, তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করবে। তবে ফরাসিরা বলছে, উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া ট্রাম্প প্রশাসনকেও নেতানিয়াহুর প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করতে পারে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন: ‘একটি কাল্পনিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে একতরফাভাবে স্বীকৃতি দেওয়া... সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা এবং হামাসকে উৎসাহিত করা।’
এর প্রতিক্রিয়ায় মাখোঁ সামাজিক মাধ্যম এক্সে হিব্রু ভাষায় লিখেছেন যে, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফ্রান্সের অবস্থান হলো ‘শান্তির পক্ষে; ইসরায়েলের নিরাপত্তার পক্ষে এবং হামাস ছাড়া একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে।’
তিনি লেখেন, ‘এর জন্য সকল জিম্মির মুক্তি, টেকসই যুদ্ধবিরতি, জরুরি মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু এবং দ্বি-রাষ্ট্রিভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমি যেমন ফিলিস্তিনিদের একটি আইনি রাষ্ট্র ও শান্তির অধিকারকে সমর্থন করি, তেমনই ইসরায়েলিদের শান্তিতে ও নিরাপত্তায় বসবাসের অধিকারকেও সমর্থন করি এবং দুই রাষ্ট্রকে তাদের প্রতিবেশীরা স্বীকৃতি দিক, আমি তা চাই।’
মাখোঁ আরো বলেন, ‘জুনে অনুষ্ঠেয় দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সম্মেলনটিকে নির্ধারক ভূমিকা রাখতে হবে। আমি এই শান্তির লক্ষ্যে আমার অংশীদারদের সঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের এই শান্তি খুব প্রয়োজন।’
কানাডার ভোটাররা ২৮ এপ্রিল জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছেন। এই নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অনুপস্থিতিতে কানাডার দুটি প্রধান দল কনজারভেটিভ ও লিবারেল পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চো রিয়ং-হে দেশটির সরকারের ভেতরে নিজস্ব একটি ক্ষমতার বলয় গড়ে তুলেছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গবেষণা শাখা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি রিসার্চ সার্ভিস (এনএআরএস)। এই ক্ষমতা বৃদ্ধি ভবিষ্যতে কিমের একচ্ছত্র কর্তৃত্বের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা
১ ঘণ্টা আগেএকটি ব্যতিক্রমধর্মী রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনায় বিশ্বের ২০০ কোটিরও বেশি মুসলিমের মাঝে ‘বক্তাশি’ নামে একটি ক্ষুদ্র সুফি সম্প্রদায় সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন এক্সামিনার দাবি করেছে, আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় বক্তাশিদের আধ্যাত্মিক সদর দপ্তরকে কেন্দ্র করে ওই স্বাধীন রাষ
২ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানের তালেবানের ওপর ২১ বছরের বেশি সময় থাকা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট। তালেবানকে রাশিয়া এর আগে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
৩ ঘণ্টা আগে