Ajker Patrika

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি একতরফা হতে পারে না: অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ৫১
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি একতরফা হতে পারে না: অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পদক্ষেপ একতরফা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি উয়োং। গাজাবাসী যাতে চিকিৎসাসেবা পেতে পারে সে জন্য ইসরায়েলকে হামলায় সংযম প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি আহ্বান জানান পেনি উয়োং।

গাজায় চলমান মানবিক সংকটের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও হামাস এখনো জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়ায় যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ যেন একতরফা না হয় সে ব্যাপারে জোর দিয়েছেন তিনি। হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তাদের কোনো সম্মান নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসির ইনসাইডারকে পেনি উয়োং বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমরা সবাই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আন্তরিক। কিন্তু সেটা একতরফা হওয়া চলবে না। কারণ, হামাস এখনো জিম্মিদের মুক্তি দেয়নি। তারা ইসরায়েলে হামলা করাও বন্ধ করেনি।’

পেনি উয়োং বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া গণতান্ত্রিক দেশ, ইসরায়েলও সেটাই। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমাদের প্রত্যাশিত মানদণ্ড অনেক উঁচুতে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মূলনীতিগুলো খুবই স্পষ্ট এবং ইসরায়েলের সেসব প্রয়োগ করা দরকার। সশস্ত্র ও বেসামরিক—এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য পরিষ্কার।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিশুসহ বহু বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর অবসান দরকার এবং চিকিৎসা সুবিধা নিয়ে যা ঘটছে, তাতে আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। কিন্তু তাই বলে আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনীয়তাকে এড়িয়ে গেলেও চলবে না। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রয়োগ হাসপাতাল, রোগী ও চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন।’

গত সপ্তাহেই দ্য গার্ডিয়ানে লেখা একটি কলামে পেনি উয়োং লিখেছিলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে ইসরায়েল কেবল নিজেদের সুরক্ষার হাতিয়ার হিসেবেই দেখে। দুই রাষ্ট্রের সহাবস্থানকেন্দ্রিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর আহ্বান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে বসবাস করাই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র পথ।

এর আগে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল অস্ট্রেলিয়া। তখন যুক্তি দেওয়া হয়,৭ অক্টোবরের হামলার অপরাধী হিসেবে হামাসকে উল্লেখ না করায় প্রস্তাবটি অসম্পূর্ণ। সে সম্পর্কে পেনি উয়োং বলেন, ‘ইহুদি সম্প্রদায়সহ সমস্ত অস্ট্রেলিয়ানেরই নিরাপদে থাকার এবং নিরাপদ বোধ করার অধিকার রয়েছে। নিজ বিশ্বাসের কারণে কারও অনিরাপদ বোধ করা উচিত নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেনানিবাস ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’, বরখাস্ত সৈনিকসহ গ্রেপ্তার ৩

এবার প্রশাসনিক কাজে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত কুয়েট শিক্ষক সমিতির

বন্দর-করিডর আপনার এখতিয়ারে নেই, বিদেশি উপদেষ্টাকে বিদায় করুন: ইউনূসকে সালাহউদ্দিন

জামায়াতের কেউ ইমাম-মুয়াজ্জিন হতে পারবে না: আটঘরিয়ায় হাবিব

ঢাকা সেনানিবাস ঘিরে মিছিল-সমাবেশ-বিক্ষোভ নিষিদ্ধ: আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত