Ajker Patrika

খাদ্য আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিতে ভুগছে দরিদ্র দেশগুলো: এফএও

খাদ্য আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিতে ভুগছে দরিদ্র দেশগুলো: এফএও

চলতি বছর বৈশ্বিক খাদ্য আমদানি ব্যয় বেড়ে রেকর্ড ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে। এ জন্য পণ্যের উচ্চ মূল্যহার ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে। খাদ্য আমদানি ব্যয় এরই মধ্যে অনেকটা বেড়েছে, যাতে বিপাকে পড়েছে দরিদ্র দেশগুলো। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সবশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। 

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) এফএও প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উদ্বেগজনকভাবে, দরিদ্র দেশগুলো বেশি অর্থ প্রদানের বিনিময়ে কম খাদ্য পাচ্ছে।’ ২০২১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য আমদানি ব্যয় ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধির যে আশঙ্কা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৪৯ বিলিয়ন ডলারই উচ্চ মূল্যের জন্য বাড়ছে। 

সারসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি কৃষকদের উৎপাদন থেকে বিরত রাখতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির সূচক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত বছর কিছু কিছু দেশে খাদ্যের দামের তুলনায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে বেশি। অনেক কৃষক উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় কম দামে পণ্য বিক্রি করেছেন। কৃষির উৎপাদনের এসব নেতিবাচক সূচক বাজার-নেতৃত্বাধীন সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক নয় বলে জানিয়েছে এফএও। সারসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি কৃষকদের উৎপাদন থেকে বিরত রাখতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এফএও খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল হিসেবে আমদানির ওপর নির্ভরশীল নিম্ন-আয়ের দেশগুলোকে ব্যালান্স অব পেমেন্ট সুবিধার প্রস্তাব করেছে। ২০২২ সালে পশু চর্বি এবং উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আর উন্নয়নশীল দেশগুলো সামগ্রিকভাবে, খাদ্যশস্য, তেলবীজ ও মাংসের আমদানি কমিয়ে দিচ্ছে, যা উচ্চমূল্যের সঙ্গে এক ধরনের ভারসাম্যের ইঙ্গিত দেয়। তবে ২০২২ সালে প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন গত চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আমদানিকারকদের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ব্যয়ে অর্থায়ন করা কঠিন হতে পারে। মূল্য বৃদ্ধির কারণে উন্নয়নশীল অনেক দেশ খাদ্য আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি অনুন্নত দেশগুলো তাদের খাদ্য আমদানি ব্যয় একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে এফএও। সংস্থাটি বলেছে, এসব লক্ষণ খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে আমদানিকারকদের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ব্যয়ে অর্থায়ন করা কঠিন হতে পারে। রেকর্ড আমদানি ব্যয়ের মুখোমুখি হওয়া দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত