আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় পানি নিয়ে এক প্রজেক্টে অংশ নিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের এলেইনা বেরেসফোর্ড। কাগজে একটি চিঠি লিখে কাচের বোতলে ভরে ভাসাতে হবে সাগরে—এমনই ছিল সেই প্রজেক্ট।
ক্লাসের অন্য সবার মতো এলেইনাও ছোট্ট একটি চিঠি লিখে তা বোতলে ঢুকিয়ে শিক্ষিকার হাতে দেন। শিক্ষিকার স্বামী তাঁদের সবার বোতলবন্দী চিঠি সাগরে ভাসিয়ে দেন।
১২ বছর বয়সে সেই চিঠি পাঠানোর পর স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের আরও বড় ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন এলেইনা। হয়ে পড়েন আরও ব্যস্ত।
তবে এর মধ্যে কখনোই তিনি তাঁর বোতলবন্দী চিঠির জবাব পাননি। চিঠির উত্তরের আশা অনেক আগেই ছেড়ে দেন।

সম্প্রতি এলেইনার নামে একটি পোস্টকার্ড আসে নরওয়ে থেকে। পড়ে দেখেন, সেটি আসলে সেই ১৯৯৪ সালে লেখা চিঠির জবাব!
এত বছর ধরে বোতলটি সাগরে ভেসে ছিল, আর তাতে থাকা চিঠি পানিতে ভেজেনি, উল্টো তা সহজে পড়া যাচ্ছে—এ যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না ৪২ বছর বয়সী এই স্কটিশ। তাঁর হাতে শুধু চিঠির জবাবই আসেনি, এসেছে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির একটি ছবিও।
এলেইনা বিবিসিকে বলেন, তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর লেখা চিঠি এতটা অক্ষত দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। বিশ্বাসই হচ্ছে না, এটি আসলে তাঁর সেই পুরোনো চিঠি।
স্কুলপড়ুয়া এলেইনা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় প্রাপক, আমার নাম এলেইনা স্টিফেন। আমার বয়স ১২ বছর। আমি পোর্টনকিতে থাকি। আমি পানির ওপর একটি প্রকল্প করছি। এ জন্য বোতলে করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আমার শিক্ষিকার স্বামী আমাদের চিঠিগুলো সমুদ্রের মাঝখানে ফেলে দিয়েছেন। যখন তুমি চিঠিটি পাবে, দয়া করে আমাকে চিঠি লিখো। তোমার নাম, শখ এবং এই চিঠি কোথায় ও কবে পেলে আর সম্ভব হলে তোমার এলাকা সম্পর্কে কিছু লিখো। ইতি, এলেইনা স্টিফেন। পুনশ্চ: আমি স্কটল্যান্ড থেকে লিখছি।’

এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের এক জার্মানের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।
‘আমি এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চার মাসের জন্য সৈকত পরিষ্কারের কাজে এসেছি। আজ আমরা দ্বীপটি পরিষ্কার করেছি। পোস্টকার্ডের সামনের দিকে তুমি দেখতে পাবে আমাদের কাজের নৌকা নেমো এবং পালতোলা নৌকা ফন। এখানেই আমরা এখন থাকছি। আমি তোমার শিক্ষিকার স্বামী কবে এবং কোথায় এই বোতলটা সমুদ্রে ফেলেছিলেন, তা জানতে আগ্রহী।
‘পুনশ্চ: আমার বয়স ২৭। আমি পাহাড়ে চড়তে ও পালতোলা নৌকায় ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসি!’ যোগ করেন পিয়া।

এলেইনা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি এখন আগের ঠিকানাতেই আছি। আগে স্কটল্যান্ডের বাকিতে থাকতাম। পোর্টনকির অন্য জায়গায়ও থেকেছি। পরে আমি মা-বাবার সঙ্গে শৈশবের বাড়িতে ফিরে আসি।’
চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়াকে খুঁজে বের করেন এলেইনা। তিনি তাঁকে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির ছবি পাঠানোর অনুরোধ করেন। পিয়া তাঁকে ছবি পাঠান।
ছবি দেখে এলেইনা বলেন, ‘পিয়ার পাঠানো ছবি দেখে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক। চিঠিটা স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। এ আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমার মনে ছিল না, চিঠিটায় ঠিক কী লিখেছিলাম। এটুকু মনে আছে, সেটি মোরে কাপ বোতলে রাখা ছিল। আমার শিক্ষিকার স্বামী সে সময় জেলের কাজ করতেন। তিনিই সেটি সমুদ্রে ফেলেছিলেন।’
এলেইনা বলেন, ‘পিয়া আর আমি এখন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।’

ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় পানি নিয়ে এক প্রজেক্টে অংশ নিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের এলেইনা বেরেসফোর্ড। কাগজে একটি চিঠি লিখে কাচের বোতলে ভরে ভাসাতে হবে সাগরে—এমনই ছিল সেই প্রজেক্ট।
ক্লাসের অন্য সবার মতো এলেইনাও ছোট্ট একটি চিঠি লিখে তা বোতলে ঢুকিয়ে শিক্ষিকার হাতে দেন। শিক্ষিকার স্বামী তাঁদের সবার বোতলবন্দী চিঠি সাগরে ভাসিয়ে দেন।
১২ বছর বয়সে সেই চিঠি পাঠানোর পর স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের আরও বড় ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন এলেইনা। হয়ে পড়েন আরও ব্যস্ত।
তবে এর মধ্যে কখনোই তিনি তাঁর বোতলবন্দী চিঠির জবাব পাননি। চিঠির উত্তরের আশা অনেক আগেই ছেড়ে দেন।

সম্প্রতি এলেইনার নামে একটি পোস্টকার্ড আসে নরওয়ে থেকে। পড়ে দেখেন, সেটি আসলে সেই ১৯৯৪ সালে লেখা চিঠির জবাব!
এত বছর ধরে বোতলটি সাগরে ভেসে ছিল, আর তাতে থাকা চিঠি পানিতে ভেজেনি, উল্টো তা সহজে পড়া যাচ্ছে—এ যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না ৪২ বছর বয়সী এই স্কটিশ। তাঁর হাতে শুধু চিঠির জবাবই আসেনি, এসেছে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির একটি ছবিও।
এলেইনা বিবিসিকে বলেন, তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর লেখা চিঠি এতটা অক্ষত দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। বিশ্বাসই হচ্ছে না, এটি আসলে তাঁর সেই পুরোনো চিঠি।
স্কুলপড়ুয়া এলেইনা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় প্রাপক, আমার নাম এলেইনা স্টিফেন। আমার বয়স ১২ বছর। আমি পোর্টনকিতে থাকি। আমি পানির ওপর একটি প্রকল্প করছি। এ জন্য বোতলে করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আমার শিক্ষিকার স্বামী আমাদের চিঠিগুলো সমুদ্রের মাঝখানে ফেলে দিয়েছেন। যখন তুমি চিঠিটি পাবে, দয়া করে আমাকে চিঠি লিখো। তোমার নাম, শখ এবং এই চিঠি কোথায় ও কবে পেলে আর সম্ভব হলে তোমার এলাকা সম্পর্কে কিছু লিখো। ইতি, এলেইনা স্টিফেন। পুনশ্চ: আমি স্কটল্যান্ড থেকে লিখছি।’

এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের এক জার্মানের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।
‘আমি এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চার মাসের জন্য সৈকত পরিষ্কারের কাজে এসেছি। আজ আমরা দ্বীপটি পরিষ্কার করেছি। পোস্টকার্ডের সামনের দিকে তুমি দেখতে পাবে আমাদের কাজের নৌকা নেমো এবং পালতোলা নৌকা ফন। এখানেই আমরা এখন থাকছি। আমি তোমার শিক্ষিকার স্বামী কবে এবং কোথায় এই বোতলটা সমুদ্রে ফেলেছিলেন, তা জানতে আগ্রহী।
‘পুনশ্চ: আমার বয়স ২৭। আমি পাহাড়ে চড়তে ও পালতোলা নৌকায় ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসি!’ যোগ করেন পিয়া।

এলেইনা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি এখন আগের ঠিকানাতেই আছি। আগে স্কটল্যান্ডের বাকিতে থাকতাম। পোর্টনকির অন্য জায়গায়ও থেকেছি। পরে আমি মা-বাবার সঙ্গে শৈশবের বাড়িতে ফিরে আসি।’
চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়াকে খুঁজে বের করেন এলেইনা। তিনি তাঁকে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির ছবি পাঠানোর অনুরোধ করেন। পিয়া তাঁকে ছবি পাঠান।
ছবি দেখে এলেইনা বলেন, ‘পিয়ার পাঠানো ছবি দেখে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক। চিঠিটা স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। এ আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমার মনে ছিল না, চিঠিটায় ঠিক কী লিখেছিলাম। এটুকু মনে আছে, সেটি মোরে কাপ বোতলে রাখা ছিল। আমার শিক্ষিকার স্বামী সে সময় জেলের কাজ করতেন। তিনিই সেটি সমুদ্রে ফেলেছিলেন।’
এলেইনা বলেন, ‘পিয়া আর আমি এখন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় পানি নিয়ে এক প্রজেক্টে অংশ নিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের এলেইনা বেরেসফোর্ড। কাগজে একটি চিঠি লিখে কাচের বোতলে ভরে ভাসাতে হবে সাগরে—এমনই ছিল সেই প্রজেক্ট।
ক্লাসের অন্য সবার মতো এলেইনাও ছোট্ট একটি চিঠি লিখে তা বোতলে ঢুকিয়ে শিক্ষিকার হাতে দেন। শিক্ষিকার স্বামী তাঁদের সবার বোতলবন্দী চিঠি সাগরে ভাসিয়ে দেন।
১২ বছর বয়সে সেই চিঠি পাঠানোর পর স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের আরও বড় ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন এলেইনা। হয়ে পড়েন আরও ব্যস্ত।
তবে এর মধ্যে কখনোই তিনি তাঁর বোতলবন্দী চিঠির জবাব পাননি। চিঠির উত্তরের আশা অনেক আগেই ছেড়ে দেন।

সম্প্রতি এলেইনার নামে একটি পোস্টকার্ড আসে নরওয়ে থেকে। পড়ে দেখেন, সেটি আসলে সেই ১৯৯৪ সালে লেখা চিঠির জবাব!
এত বছর ধরে বোতলটি সাগরে ভেসে ছিল, আর তাতে থাকা চিঠি পানিতে ভেজেনি, উল্টো তা সহজে পড়া যাচ্ছে—এ যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না ৪২ বছর বয়সী এই স্কটিশ। তাঁর হাতে শুধু চিঠির জবাবই আসেনি, এসেছে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির একটি ছবিও।
এলেইনা বিবিসিকে বলেন, তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর লেখা চিঠি এতটা অক্ষত দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। বিশ্বাসই হচ্ছে না, এটি আসলে তাঁর সেই পুরোনো চিঠি।
স্কুলপড়ুয়া এলেইনা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় প্রাপক, আমার নাম এলেইনা স্টিফেন। আমার বয়স ১২ বছর। আমি পোর্টনকিতে থাকি। আমি পানির ওপর একটি প্রকল্প করছি। এ জন্য বোতলে করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আমার শিক্ষিকার স্বামী আমাদের চিঠিগুলো সমুদ্রের মাঝখানে ফেলে দিয়েছেন। যখন তুমি চিঠিটি পাবে, দয়া করে আমাকে চিঠি লিখো। তোমার নাম, শখ এবং এই চিঠি কোথায় ও কবে পেলে আর সম্ভব হলে তোমার এলাকা সম্পর্কে কিছু লিখো। ইতি, এলেইনা স্টিফেন। পুনশ্চ: আমি স্কটল্যান্ড থেকে লিখছি।’

এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের এক জার্মানের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।
‘আমি এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চার মাসের জন্য সৈকত পরিষ্কারের কাজে এসেছি। আজ আমরা দ্বীপটি পরিষ্কার করেছি। পোস্টকার্ডের সামনের দিকে তুমি দেখতে পাবে আমাদের কাজের নৌকা নেমো এবং পালতোলা নৌকা ফন। এখানেই আমরা এখন থাকছি। আমি তোমার শিক্ষিকার স্বামী কবে এবং কোথায় এই বোতলটা সমুদ্রে ফেলেছিলেন, তা জানতে আগ্রহী।
‘পুনশ্চ: আমার বয়স ২৭। আমি পাহাড়ে চড়তে ও পালতোলা নৌকায় ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসি!’ যোগ করেন পিয়া।

এলেইনা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি এখন আগের ঠিকানাতেই আছি। আগে স্কটল্যান্ডের বাকিতে থাকতাম। পোর্টনকির অন্য জায়গায়ও থেকেছি। পরে আমি মা-বাবার সঙ্গে শৈশবের বাড়িতে ফিরে আসি।’
চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়াকে খুঁজে বের করেন এলেইনা। তিনি তাঁকে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির ছবি পাঠানোর অনুরোধ করেন। পিয়া তাঁকে ছবি পাঠান।
ছবি দেখে এলেইনা বলেন, ‘পিয়ার পাঠানো ছবি দেখে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক। চিঠিটা স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। এ আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমার মনে ছিল না, চিঠিটায় ঠিক কী লিখেছিলাম। এটুকু মনে আছে, সেটি মোরে কাপ বোতলে রাখা ছিল। আমার শিক্ষিকার স্বামী সে সময় জেলের কাজ করতেন। তিনিই সেটি সমুদ্রে ফেলেছিলেন।’
এলেইনা বলেন, ‘পিয়া আর আমি এখন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।’

ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় পানি নিয়ে এক প্রজেক্টে অংশ নিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের এলেইনা বেরেসফোর্ড। কাগজে একটি চিঠি লিখে কাচের বোতলে ভরে ভাসাতে হবে সাগরে—এমনই ছিল সেই প্রজেক্ট।
ক্লাসের অন্য সবার মতো এলেইনাও ছোট্ট একটি চিঠি লিখে তা বোতলে ঢুকিয়ে শিক্ষিকার হাতে দেন। শিক্ষিকার স্বামী তাঁদের সবার বোতলবন্দী চিঠি সাগরে ভাসিয়ে দেন।
১২ বছর বয়সে সেই চিঠি পাঠানোর পর স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের আরও বড় ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন এলেইনা। হয়ে পড়েন আরও ব্যস্ত।
তবে এর মধ্যে কখনোই তিনি তাঁর বোতলবন্দী চিঠির জবাব পাননি। চিঠির উত্তরের আশা অনেক আগেই ছেড়ে দেন।

সম্প্রতি এলেইনার নামে একটি পোস্টকার্ড আসে নরওয়ে থেকে। পড়ে দেখেন, সেটি আসলে সেই ১৯৯৪ সালে লেখা চিঠির জবাব!
এত বছর ধরে বোতলটি সাগরে ভেসে ছিল, আর তাতে থাকা চিঠি পানিতে ভেজেনি, উল্টো তা সহজে পড়া যাচ্ছে—এ যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না ৪২ বছর বয়সী এই স্কটিশ। তাঁর হাতে শুধু চিঠির জবাবই আসেনি, এসেছে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির একটি ছবিও।
এলেইনা বিবিসিকে বলেন, তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর লেখা চিঠি এতটা অক্ষত দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। বিশ্বাসই হচ্ছে না, এটি আসলে তাঁর সেই পুরোনো চিঠি।
স্কুলপড়ুয়া এলেইনা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় প্রাপক, আমার নাম এলেইনা স্টিফেন। আমার বয়স ১২ বছর। আমি পোর্টনকিতে থাকি। আমি পানির ওপর একটি প্রকল্প করছি। এ জন্য বোতলে করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আমার শিক্ষিকার স্বামী আমাদের চিঠিগুলো সমুদ্রের মাঝখানে ফেলে দিয়েছেন। যখন তুমি চিঠিটি পাবে, দয়া করে আমাকে চিঠি লিখো। তোমার নাম, শখ এবং এই চিঠি কোথায় ও কবে পেলে আর সম্ভব হলে তোমার এলাকা সম্পর্কে কিছু লিখো। ইতি, এলেইনা স্টিফেন। পুনশ্চ: আমি স্কটল্যান্ড থেকে লিখছি।’

এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের এক জার্মানের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।
‘আমি এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চার মাসের জন্য সৈকত পরিষ্কারের কাজে এসেছি। আজ আমরা দ্বীপটি পরিষ্কার করেছি। পোস্টকার্ডের সামনের দিকে তুমি দেখতে পাবে আমাদের কাজের নৌকা নেমো এবং পালতোলা নৌকা ফন। এখানেই আমরা এখন থাকছি। আমি তোমার শিক্ষিকার স্বামী কবে এবং কোথায় এই বোতলটা সমুদ্রে ফেলেছিলেন, তা জানতে আগ্রহী।
‘পুনশ্চ: আমার বয়স ২৭। আমি পাহাড়ে চড়তে ও পালতোলা নৌকায় ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসি!’ যোগ করেন পিয়া।

এলেইনা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি এখন আগের ঠিকানাতেই আছি। আগে স্কটল্যান্ডের বাকিতে থাকতাম। পোর্টনকির অন্য জায়গায়ও থেকেছি। পরে আমি মা-বাবার সঙ্গে শৈশবের বাড়িতে ফিরে আসি।’
চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়াকে খুঁজে বের করেন এলেইনা। তিনি তাঁকে তাঁর সেই বোতলবন্দী চিঠির ছবি পাঠানোর অনুরোধ করেন। পিয়া তাঁকে ছবি পাঠান।
ছবি দেখে এলেইনা বলেন, ‘পিয়ার পাঠানো ছবি দেখে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক। চিঠিটা স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। এ আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমার মনে ছিল না, চিঠিটায় ঠিক কী লিখেছিলাম। এটুকু মনে আছে, সেটি মোরে কাপ বোতলে রাখা ছিল। আমার শিক্ষিকার স্বামী সে সময় জেলের কাজ করতেন। তিনিই সেটি সমুদ্রে ফেলেছিলেন।’
এলেইনা বলেন, ‘পিয়া আর আমি এখন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।’

তুরস্কের প্রথম মানবহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রকেটচালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকে (বিভিআর) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত করে নতুন মাইলফলক গড়েছে এই যুদ্ধবিমান। গতকাল রোববার এই বিষয়টি জানায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
১৪ মিনিট আগে
২০২৫ সালের ফল সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের (আইআইই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৪০ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের প্রথম মানবহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রকেটচালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকে (বিভিআর) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত করে নতুন মাইলফলক গড়েছে এই যুদ্ধবিমান। গতকাল রোববার এই বিষয়টি জানায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে। তুর্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এন–সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বায়কার জানায়, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানবহীন যুদ্ধবিমান বিভিআর শ্রেণির এয়ার–টু–এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল।’
বায়কারের বিবৃতিতে বলা হয়, কিজিলেলমা স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘গোকদোয়ান’ নামে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং তা উচ্চগতির জেট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানে। লক্ষ্য শনাক্ত ও অনুসরণ করা হয় তুরস্কের স্থানীয় প্রযুক্তিতে আসেলসান নামক কোম্পানি নির্মিত মুরাদ অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে বা এইএসএ রাডার ব্যবহারের মাধ্যমে। এরপর কিজিলেলমার ডানার নিচে স্থাপিত পড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।

তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো যুদ্ধবিমান নিজস্ব রাডার ব্যবস্থাপনায় তৈরি দেশীয় আকাশ–থেকে–আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করল। এ সফলতায় কিজিলেলমা বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র মানবহীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আকাশযুদ্ধে সক্ষমতার স্বীকৃতি পেল। এ মাসে কিজিলেলমার ধারাবাহিক পরীক্ষার অংশ এটি। এর আগে একটি এফ–১৬ যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু করেও পরীক্ষামূলক অভিযান চালায় এটি।
রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় সিনোপ প্রদেশের আকাশে পরিচালিত এ পরীক্ষা ছিল ‘আরেকটি প্রথম’, যা তুরস্কের দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ–বিমান কৌশলের প্রতিফলন। পরীক্ষায় মেরজিফন এয়ার বেসের পাঁচটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিজিলেলমার সঙ্গে সমন্বিত বিন্যাসে উড্ডয়ন করে। মনুষ্যচালিত ও মানবহীন প্ল্যাটফর্মের এ যৌথ মিশন ভবিষ্যৎ আকাশযুদ্ধের নতুন ধারণা তুলে ধরে। মিশনে আকাশ থেকে দৃশ্য ধারণের জন্য বায়রাকতার আকিনচি নামক আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেলও।
বায়কারের বিশ্বখ্যাত ড্রোন–উৎপাদন প্রযুক্তির শীর্ষ প্রদর্শনই হলো কিজিলেলমা। কম রাডার সিগনেচার ও উন্নত সেন্সর প্রযুক্তির কারণে এটি দূর থেকে শত্রু উড়োজাহাজ শনাক্ত করতে পারে, অথচ নিজে ধরা পড়ে না। মুরাদ এইএসএ রাডার, তয়গুন টার্গেটিং সিস্টেমসহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এতে সংযোজিত। আগে পরিচালিত পরীক্ষায় এটি তোলুন ও তেবের–৮২ নামক গোলাবারুদ দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছিল।
বায়কারের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সেলচুক বায়রাকতার এ উপলক্ষে প্রচারিত ভিডিওতে বলেন, ‘আজ আমরা উড্ডয়ন–ইতিহাসের নতুন এক যুগের দ্বার খুললাম।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানবহীন যুদ্ধবিমান রাডার–নির্দেশিত এয়ার–টু–এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিখুঁতভাবে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আল্লাহর রহমতে এ অর্জনে এই প্রযুক্তিতে তুরস্ক বিশ্বের প্রথম দেশ হয়ে উঠল।’

বায়কারের সিইও হালুক বায়রাকতার ঘটনাটিকে এক বাঁক–পরিবর্তনকারী মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘নিজস্বভাবে তৈরি উড়োজাহাজ, রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র—এই তিনে গঠিত আকাশ–যুদ্ধ শৃঙ্খলের সমস্ত ধাপ আজ আমরা নিজেদের সক্ষমতায় সম্পন্ন করেছি।’ তাঁর ভাষায়, ‘এ গর্ব সমগ্র জাতির।’
তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মেহমেত ফাতিহ কাচির বলেন, এটি বৈশ্বিক প্রথম সাফল্য এবং প্রমাণ করে যে—দেশের জাতীয় প্রযুক্তি সক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে ‘এরিয়াল–সুপিরিয়রিটির নিয়ম নতুন করে লেখা সম্ভব।’

তুরস্কের প্রথম মানবহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রকেটচালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকে (বিভিআর) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত করে নতুন মাইলফলক গড়েছে এই যুদ্ধবিমান। গতকাল রোববার এই বিষয়টি জানায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে। তুর্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এন–সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বায়কার জানায়, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানবহীন যুদ্ধবিমান বিভিআর শ্রেণির এয়ার–টু–এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল।’
বায়কারের বিবৃতিতে বলা হয়, কিজিলেলমা স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘গোকদোয়ান’ নামে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং তা উচ্চগতির জেট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানে। লক্ষ্য শনাক্ত ও অনুসরণ করা হয় তুরস্কের স্থানীয় প্রযুক্তিতে আসেলসান নামক কোম্পানি নির্মিত মুরাদ অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে বা এইএসএ রাডার ব্যবহারের মাধ্যমে। এরপর কিজিলেলমার ডানার নিচে স্থাপিত পড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।

তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো যুদ্ধবিমান নিজস্ব রাডার ব্যবস্থাপনায় তৈরি দেশীয় আকাশ–থেকে–আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করল। এ সফলতায় কিজিলেলমা বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র মানবহীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আকাশযুদ্ধে সক্ষমতার স্বীকৃতি পেল। এ মাসে কিজিলেলমার ধারাবাহিক পরীক্ষার অংশ এটি। এর আগে একটি এফ–১৬ যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু করেও পরীক্ষামূলক অভিযান চালায় এটি।
রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় সিনোপ প্রদেশের আকাশে পরিচালিত এ পরীক্ষা ছিল ‘আরেকটি প্রথম’, যা তুরস্কের দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ–বিমান কৌশলের প্রতিফলন। পরীক্ষায় মেরজিফন এয়ার বেসের পাঁচটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিজিলেলমার সঙ্গে সমন্বিত বিন্যাসে উড্ডয়ন করে। মনুষ্যচালিত ও মানবহীন প্ল্যাটফর্মের এ যৌথ মিশন ভবিষ্যৎ আকাশযুদ্ধের নতুন ধারণা তুলে ধরে। মিশনে আকাশ থেকে দৃশ্য ধারণের জন্য বায়রাকতার আকিনচি নামক আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেলও।
বায়কারের বিশ্বখ্যাত ড্রোন–উৎপাদন প্রযুক্তির শীর্ষ প্রদর্শনই হলো কিজিলেলমা। কম রাডার সিগনেচার ও উন্নত সেন্সর প্রযুক্তির কারণে এটি দূর থেকে শত্রু উড়োজাহাজ শনাক্ত করতে পারে, অথচ নিজে ধরা পড়ে না। মুরাদ এইএসএ রাডার, তয়গুন টার্গেটিং সিস্টেমসহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এতে সংযোজিত। আগে পরিচালিত পরীক্ষায় এটি তোলুন ও তেবের–৮২ নামক গোলাবারুদ দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছিল।
বায়কারের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সেলচুক বায়রাকতার এ উপলক্ষে প্রচারিত ভিডিওতে বলেন, ‘আজ আমরা উড্ডয়ন–ইতিহাসের নতুন এক যুগের দ্বার খুললাম।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানবহীন যুদ্ধবিমান রাডার–নির্দেশিত এয়ার–টু–এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিখুঁতভাবে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আল্লাহর রহমতে এ অর্জনে এই প্রযুক্তিতে তুরস্ক বিশ্বের প্রথম দেশ হয়ে উঠল।’

বায়কারের সিইও হালুক বায়রাকতার ঘটনাটিকে এক বাঁক–পরিবর্তনকারী মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘নিজস্বভাবে তৈরি উড়োজাহাজ, রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র—এই তিনে গঠিত আকাশ–যুদ্ধ শৃঙ্খলের সমস্ত ধাপ আজ আমরা নিজেদের সক্ষমতায় সম্পন্ন করেছি।’ তাঁর ভাষায়, ‘এ গর্ব সমগ্র জাতির।’
তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মেহমেত ফাতিহ কাচির বলেন, এটি বৈশ্বিক প্রথম সাফল্য এবং প্রমাণ করে যে—দেশের জাতীয় প্রযুক্তি সক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে ‘এরিয়াল–সুপিরিয়রিটির নিয়ম নতুন করে লেখা সম্ভব।’

এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের একজনের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।’
২১ জুন ২০২৫
২০২৫ সালের ফল সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের (আইআইই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৪০ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলতি ফল সেশনে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। অভিবাসন নীতি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এমন পতন দেখা গেল। যার অর্থনৈতিক মূল্যও বেশ বড়। প্রায় ১১০ কোটি ডলার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফল সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের (আইআইই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আইআইই–এর ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা মোট প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে যুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে টিউশন ফি ও শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন খরচ।
এ বছর এই তীব্র হ্রাসের মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শিক্ষার্থী–ভিসা নীতির পরিবর্তন। আন্তর্জাতিক শিক্ষা সংগঠন নাফসার আলাদা এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই পতনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্ষতি হবে প্রায় ১.১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি ডলার।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ইমপ্ল্যানের আলাদা হিসাব অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের সরাসরি খরচ কমে যাওয়া এবং তার প্রভাব মিলিয়ে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি ধরা পড়েছে। ইমপ্ল্যানের অর্থনীতিবিদ বিয়র্ন মার্কেসন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা শুধু ক্লাসে যায় না, তারা স্থানীয় অর্থনীতিকে সক্রিয় রাখে। তাদের খরচ হাজারো চাকরি টিকিয়ে রাখে, স্থানীয় ব্যবসা সচল রাখে, আর সেই আয় থেকেই কমিউনিটি সার্ভিসের কর রাজস্ব গড়ে ওঠে।’
ট্রাম্প প্রশাসন আগামী বসন্তে নতুন ভিসা আবেদন অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিল। তাদের বেশির ভাগই ভারত ও চীন থেকে এসেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট উচ্চশিক্ষা শিক্ষার্থীর প্রায় ৬ শতাংশ, ওপেন ডোরসের তথ্য অনুযায়ী।
যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর প্রধান গন্তব্য। কিন্তু সেই পাইপলাইন আগে থেকেই চাপে ছিল। ২০২৪ সালের শরতেও নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছিল, যা ২০২০-২১ কোভিড-পরবর্তী সময়ের পর প্রথম বড় হ্রাস বলে ওপেন ডোরস জানায়। আরও কঠোর মার্কিন শিক্ষার্থী–ভিসা নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা নিয়ে বিদেশে পরিবর্তিত মনোভাব, এসব কারণেই এমন পতন ঘটেছে বলে অন্যান্য গবেষণায় পাওয়া যায়।
নাফসার নির্বাহী পরিচালক ও সিইও ফান্টা আউ বলেন, ‘গত বছর ও এ বছরের ভর্তি সংখ্যাগুলো গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের মেধা আসার পথ এখন অস্থির ও ঝুঁকির মধ্যে। এই নীতি পরিবর্তনের প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কমিউনিটিতে অনুভূত হচ্ছে।’
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমার বিস্তৃত অর্থনৈতিক প্রভাব থাকলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানকার শিক্ষার্থীদের। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কেবল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই আনেন না, তারা সাধারণত পূর্ণ টিউশন ফি দেন। ওপেন ডোরস ৮২৫ টির বেশি প্রতিষ্ঠানের জরিপ চালিয়ে বলেছে, এই অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় আয়ের উৎস।

যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলতি ফল সেশনে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। অভিবাসন নীতি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এমন পতন দেখা গেল। যার অর্থনৈতিক মূল্যও বেশ বড়। প্রায় ১১০ কোটি ডলার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফল সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের (আইআইই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আইআইই–এর ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা মোট প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে যুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে টিউশন ফি ও শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন খরচ।
এ বছর এই তীব্র হ্রাসের মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শিক্ষার্থী–ভিসা নীতির পরিবর্তন। আন্তর্জাতিক শিক্ষা সংগঠন নাফসার আলাদা এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই পতনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্ষতি হবে প্রায় ১.১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি ডলার।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ইমপ্ল্যানের আলাদা হিসাব অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের সরাসরি খরচ কমে যাওয়া এবং তার প্রভাব মিলিয়ে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি ধরা পড়েছে। ইমপ্ল্যানের অর্থনীতিবিদ বিয়র্ন মার্কেসন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা শুধু ক্লাসে যায় না, তারা স্থানীয় অর্থনীতিকে সক্রিয় রাখে। তাদের খরচ হাজারো চাকরি টিকিয়ে রাখে, স্থানীয় ব্যবসা সচল রাখে, আর সেই আয় থেকেই কমিউনিটি সার্ভিসের কর রাজস্ব গড়ে ওঠে।’
ট্রাম্প প্রশাসন আগামী বসন্তে নতুন ভিসা আবেদন অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিল। তাদের বেশির ভাগই ভারত ও চীন থেকে এসেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট উচ্চশিক্ষা শিক্ষার্থীর প্রায় ৬ শতাংশ, ওপেন ডোরসের তথ্য অনুযায়ী।
যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর প্রধান গন্তব্য। কিন্তু সেই পাইপলাইন আগে থেকেই চাপে ছিল। ২০২৪ সালের শরতেও নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছিল, যা ২০২০-২১ কোভিড-পরবর্তী সময়ের পর প্রথম বড় হ্রাস বলে ওপেন ডোরস জানায়। আরও কঠোর মার্কিন শিক্ষার্থী–ভিসা নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা নিয়ে বিদেশে পরিবর্তিত মনোভাব, এসব কারণেই এমন পতন ঘটেছে বলে অন্যান্য গবেষণায় পাওয়া যায়।
নাফসার নির্বাহী পরিচালক ও সিইও ফান্টা আউ বলেন, ‘গত বছর ও এ বছরের ভর্তি সংখ্যাগুলো গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের মেধা আসার পথ এখন অস্থির ও ঝুঁকির মধ্যে। এই নীতি পরিবর্তনের প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কমিউনিটিতে অনুভূত হচ্ছে।’
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমার বিস্তৃত অর্থনৈতিক প্রভাব থাকলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানকার শিক্ষার্থীদের। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কেবল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই আনেন না, তারা সাধারণত পূর্ণ টিউশন ফি দেন। ওপেন ডোরস ৮২৫ টির বেশি প্রতিষ্ঠানের জরিপ চালিয়ে বলেছে, এই অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় আয়ের উৎস।

এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের একজনের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।’
২১ জুন ২০২৫
তুরস্কের প্রথম মানবহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রকেটচালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকে (বিভিআর) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত করে নতুন মাইলফলক গড়েছে এই যুদ্ধবিমান। গতকাল রোববার এই বিষয়টি জানায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
১৪ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী রাষ্ট্রীয় বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। উত্তর হলো, হ্যাঁ, আমি কথা বলেছি।’ সোজা ভাষায়, ট্রাম্প বোঝাতে চাইলেন যে, মাদুরোর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে তা তিনি বলবেন না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে প্রথম জানানো হয়, চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। সেই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠক নিয়েও কথা হয়। ট্রাম্প বলেন, ফোনালাপটি ভালো বা খারাপ হয়েছে কিনা এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল কেবল একটি ফোন কল।’
ট্রাম্পের এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন তিনি ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে একদিকে উগ্র ভাষা ব্যবহার করছেন, অন্যদিকে আবার কূটনীতির সম্ভাবনাও উন্মুক্ত রাখছেন। গত শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ভেনেজুয়েলার ওপর ও আশপাশের আকাশপথ ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ’ বলে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এতে কারাকাসে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যখন তাঁর প্রশাসন মাদুরো সরকারকে চাপে ফেলতে পদক্ষেপ বাড়াচ্ছে।
আকাশপথ বন্ধ ঘোষণার অর্থ কি ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা আসন্ন—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘এ নিয়ে বেশি কিছু ভেবো না।’ মার্কিন প্রশাসন বহুদিন ধরে ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে নানা বিকল্প বিবেচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, মাদুরো অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে ভূমিকা রাখছেন, যা আমেরিকানদের হত্যা করছে। মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় থাকা বিকল্পগুলোর মধ্যে মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ক্যারিবিয়ান সাগরে বিশাল সামরিক উপস্থিতি এবং ভেনেজুয়েলার উপকূলে তিন মাস ধরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা লক্ষ্য করে চালানো হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী নাকি নতুন ধাপের অভিযানের জন্য প্রস্তুত।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব হামলাকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বেআইনি বিচারবহির্ভূত হত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্রও আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের পথে হাঁটছে।
ট্রাম্প বলেন, সেপ্টেম্বরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে একটি অভিযানে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়েছিল কি না, তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। তিনি যোগ করেন, এ ধরনের হামলা তিনি চাননি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ অবশ্য দাবি করেছেন, এসব হামলা বৈধ এবং ‘মারণক্ষম’ হওয়ার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প সামরিক সদস্যদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘খুব শিগগিরই’ ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করবে বলে, যার লক্ষ্য সন্দেহভাজন ভেনেজুয়েলার মাদক পাচারকারীদের দমন।
মাদুরো ও তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এখনো ফোনালাপ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদের প্রধান হোর্হে রদ্রিগেজ বলেন, ফোনালাপ তাঁর সংবাদ সম্মেলনের বিষয় নয়। সেদিন তিনি ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-হামলা নিয়ে পার্লামেন্টারি তদন্তের ঘোষণা দেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী রাষ্ট্রীয় বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। উত্তর হলো, হ্যাঁ, আমি কথা বলেছি।’ সোজা ভাষায়, ট্রাম্প বোঝাতে চাইলেন যে, মাদুরোর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে তা তিনি বলবেন না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে প্রথম জানানো হয়, চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। সেই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠক নিয়েও কথা হয়। ট্রাম্প বলেন, ফোনালাপটি ভালো বা খারাপ হয়েছে কিনা এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল কেবল একটি ফোন কল।’
ট্রাম্পের এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন তিনি ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে একদিকে উগ্র ভাষা ব্যবহার করছেন, অন্যদিকে আবার কূটনীতির সম্ভাবনাও উন্মুক্ত রাখছেন। গত শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ভেনেজুয়েলার ওপর ও আশপাশের আকাশপথ ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ’ বলে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এতে কারাকাসে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যখন তাঁর প্রশাসন মাদুরো সরকারকে চাপে ফেলতে পদক্ষেপ বাড়াচ্ছে।
আকাশপথ বন্ধ ঘোষণার অর্থ কি ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা আসন্ন—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘এ নিয়ে বেশি কিছু ভেবো না।’ মার্কিন প্রশাসন বহুদিন ধরে ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে নানা বিকল্প বিবেচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, মাদুরো অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে ভূমিকা রাখছেন, যা আমেরিকানদের হত্যা করছে। মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় থাকা বিকল্পগুলোর মধ্যে মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ক্যারিবিয়ান সাগরে বিশাল সামরিক উপস্থিতি এবং ভেনেজুয়েলার উপকূলে তিন মাস ধরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা লক্ষ্য করে চালানো হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী নাকি নতুন ধাপের অভিযানের জন্য প্রস্তুত।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব হামলাকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বেআইনি বিচারবহির্ভূত হত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্রও আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের পথে হাঁটছে।
ট্রাম্প বলেন, সেপ্টেম্বরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে একটি অভিযানে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়েছিল কি না, তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। তিনি যোগ করেন, এ ধরনের হামলা তিনি চাননি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ অবশ্য দাবি করেছেন, এসব হামলা বৈধ এবং ‘মারণক্ষম’ হওয়ার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প সামরিক সদস্যদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘খুব শিগগিরই’ ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করবে বলে, যার লক্ষ্য সন্দেহভাজন ভেনেজুয়েলার মাদক পাচারকারীদের দমন।
মাদুরো ও তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এখনো ফোনালাপ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদের প্রধান হোর্হে রদ্রিগেজ বলেন, ফোনালাপ তাঁর সংবাদ সম্মেলনের বিষয় নয়। সেদিন তিনি ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-হামলা নিয়ে পার্লামেন্টারি তদন্তের ঘোষণা দেন।

এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের একজনের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।’
২১ জুন ২০২৫
তুরস্কের প্রথম মানবহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রকেটচালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকে (বিভিআর) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত করে নতুন মাইলফলক গড়েছে এই যুদ্ধবিমান। গতকাল রোববার এই বিষয়টি জানায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
১৪ মিনিট আগে
২০২৫ সালের ফল সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের (আইআইই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৪০ মিনিট আগে
তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নান্দেদের বাসিন্দা সক্ষম টাটে (২০) এবং আঁচল নামের এক তরুণীর মধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আঁচলের ভাইদের মাধ্যমেই সক্ষমের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। এরপর সক্ষমের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের সূত্রে তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক আঁচলের পরিবার মেনে নেয়নি। ভিন্ন জাতের হওয়ায় মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্কে তীব্র বিরোধিতা শুরু করে এবং প্রেমিক যুগলকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়। তবে এত বাধা সত্ত্বেও আঁচল সক্ষমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি আঁচলের ভাই ও বাবা জানতে পারেন যে আঁচল সক্ষম টাটেকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপরই ক্ষোভে তারা চরম পদক্ষেপ নেয়। গত বৃহস্পতিবার তারা প্রকাশ্যেই সক্ষমকে মারধর করে। এরপর গুলি করে এবং পরে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। এই বর্বরোচিত ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সক্ষম টাটের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যখন চলছিল, ঠিক সেই সময় আঁচল সেখানে উপস্থিত হন। এই শোকস্তব্ধ পরিবেশে তিনি এক অভূতপূর্ব প্রতিবাদ করেন, ভালোবাসার অনন্য উদাহরণ তৈরি করেন। তিনি প্রথমে সক্ষমের নিষ্প্রাণ দেহে হলুদ লাগান এবং এরপর নিজের কপালে সিঁদুর পরেন। মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে তিনি সক্ষমের বাড়িতেই তাঁর স্ত্রী তথা পুত্রবধূ হিসেবে বাকি জীবন কাটাবেন।
সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে আঁচল বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসা জিতেছে, এমনকি সক্ষমের মৃত্যুতেও। আর আমার বাবা ও ভাইরা হেরেছে।’ তিনি সাফ জানান, সক্ষম আজ মৃত হলেও তাঁদের ভালোবাসা চিরন্তন, আর সেই কারণেই তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সক্ষমের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
এই ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। সক্ষম টাটেকে হত্যা করার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আরও কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নান্দেদের বাসিন্দা সক্ষম টাটে (২০) এবং আঁচল নামের এক তরুণীর মধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আঁচলের ভাইদের মাধ্যমেই সক্ষমের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। এরপর সক্ষমের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের সূত্রে তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক আঁচলের পরিবার মেনে নেয়নি। ভিন্ন জাতের হওয়ায় মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্কে তীব্র বিরোধিতা শুরু করে এবং প্রেমিক যুগলকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়। তবে এত বাধা সত্ত্বেও আঁচল সক্ষমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি আঁচলের ভাই ও বাবা জানতে পারেন যে আঁচল সক্ষম টাটেকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপরই ক্ষোভে তারা চরম পদক্ষেপ নেয়। গত বৃহস্পতিবার তারা প্রকাশ্যেই সক্ষমকে মারধর করে। এরপর গুলি করে এবং পরে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। এই বর্বরোচিত ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সক্ষম টাটের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যখন চলছিল, ঠিক সেই সময় আঁচল সেখানে উপস্থিত হন। এই শোকস্তব্ধ পরিবেশে তিনি এক অভূতপূর্ব প্রতিবাদ করেন, ভালোবাসার অনন্য উদাহরণ তৈরি করেন। তিনি প্রথমে সক্ষমের নিষ্প্রাণ দেহে হলুদ লাগান এবং এরপর নিজের কপালে সিঁদুর পরেন। মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে তিনি সক্ষমের বাড়িতেই তাঁর স্ত্রী তথা পুত্রবধূ হিসেবে বাকি জীবন কাটাবেন।
সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে আঁচল বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসা জিতেছে, এমনকি সক্ষমের মৃত্যুতেও। আর আমার বাবা ও ভাইরা হেরেছে।’ তিনি সাফ জানান, সক্ষম আজ মৃত হলেও তাঁদের ভালোবাসা চিরন্তন, আর সেই কারণেই তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সক্ষমের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
এই ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। সক্ষম টাটেকে হত্যা করার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আরও কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের একজনের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।’
২১ জুন ২০২৫
তুরস্কের প্রথম মানবহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রকেটচালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকে (বিভিআর) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত করে নতুন মাইলফলক গড়েছে এই যুদ্ধবিমান। গতকাল রোববার এই বিষয়টি জানায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
১৪ মিনিট আগে
২০২৫ সালের ফল সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে। চলতি মাসে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের (আইআইই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৪০ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে