Ajker Patrika

নভেম্বরে সি-বাইডেন বৈঠক আয়োজনে হোয়াইট হাউসের তোড়জোড়

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১১: ৪৫
Thumbnail image

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক আয়োজনে চেষ্টা চালাচ্ছে হোয়াইট হাউস। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোয় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈঠকের বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত। আমরা বর্তমানে বৈঠকের পরিকল্পনা নির্ধারণের বিষয়টি শুরু করে দিয়েছি।’ অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাইডেন এই বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদী। তবে কোনো কিছুই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়নি।

তবে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। তাঁর সফরের সময় দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হতে পারে। তার পরই কেবল বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। বৈঠকটি নিশ্চিত হলে ২০২২ সালের নভেম্বরের ঠিক এক বছর পর মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন এই দুই নেতা।

এর আগে, গত নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে সরাসরি বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে সময় দুই দেশের দুই নেতা সরাসরি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর জোর আরোপ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আবারও মূলধারায় ফিরবে।

কিন্তু তাঁর কয়েক মাস পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একটি চীনা বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করার নির্দেশ দেন বাইডেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আবারও অবনতির দিকে যায়।

তবে সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ধারাবাহিকভাবে চীন সফর করেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্দো এবং দেশটির বিশেষ জলবায়ুবিষয়ক দূত জন কেরি। এ ছাড়া গত মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে মাল্টায় সাক্ষাৎ করেন। হোয়াইট হাউস এসব সফর ও বৈঠককে ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করেছে।

রাজনৈতিক নেতৃত্ব পর্যায়ে বৈঠক-সাক্ষাৎ হলেও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ ছিল শূন্যের কোটায়। চলতি বছরের মার্চে সি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ঘিরে ফেলছে এবং দেশটিকে বিভিন্নভাবে আটকে দেওয়ার মাধ্যমে চীনের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে প্রেসিডেন্টদের মধ্যে বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত