Ajker Patrika

মুদ্রাস্ফীতি রুখতে স্বর্ণমুদ্রা চালু করল জিম্বাবুয়ে

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, ১৫: ২৭
মুদ্রাস্ফীতি রুখতে স্বর্ণমুদ্রা চালু করল জিম্বাবুয়ে

আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। মান কমেছে স্থানীয় মুদ্রার। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি রুখতে দেশটিতে ‘মোসি-ওয়া-তুনিয়া’ নামে স্বর্ণমুদ্রা চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার জিম্বাবুয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রিজার্ভ ব্যাংক পদক্ষেপটি গ্রহণ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এরই মধ্যে দুই হাজার স্বর্ণমুদ্রা বিতরণ করা হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক ঘোষণায় বলেছে, স্বর্ণমুদ্রাগুলো সহজেই নগদে রূপান্তর করা যাবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লেনদেনের উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা যাবে। হোল্ডাররা স্বর্ণমুদ্রা কেনার ১৮০ দিন পর থেকে নগদে তাদের লেনদেন করতে পারবে। 

ঘোষণা অনুসারে, ব্যক্তি বা সংস্থা ব্যাংকের অনুমোদিত আউটলেট থেকে স্বর্ণমুদ্রা কিনতে পারবে। তারা ব্যাংকে কিংবা বাড়িতেও স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে যেতে পারবে। 

রিজার্ভ ব্যাংক অব জিম্বাবুয়ের গভর্নর জন ম্যাংগুদা বলেন, এই স্বর্ণমুদ্রাগুলো দেশের বাইরে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এগুলো স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হবে। ২২ ক্যারেটের কয়েনগুলো দোকানে কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করা যাবে। আন্তর্জাতিক বাজার অনুসারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ হিসাব করে গোল্ড কয়েনের দাম নির্ধারণ করা হবে। সোমবার স্বর্ণমুদ্রা চালুর সময় প্রতি মোসি-ওয়া-তুনিয়ার দাম ধরা হয় ১ দশমিক ৮২৪ ডলার। 

আন্তর্জাতিকভাবে চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে স্বর্ণমুদ্রা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে জিম্বাবুয়েতে যেমন ব্যাপকভাবে স্বর্ণমুদ্রা ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে, সেসব দেশে তেমন ব্যাপকভাবে স্বর্ণমুদ্রা ব্যবহার করা হয় না। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে জিম্বাবুয়ের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৩২ শতাংশ, যা জুনে এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯১ দশমিক ৬ শতাংশে। স্থানীয় মুদ্রার দাম কমে যাওয়া, ৯০ শতাংশ বেকারত্ব এবং উৎপাদন কমে যাওয়ায় বেশ সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে জিম্বাবুয়ের মানুষ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত