Ajker Patrika

সামনের মাসগুলোতে সুদানে ভয়াবহ ক্ষুধার শঙ্কা জাতিসংঘের

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সুদানে আসন্ন কয়েক মাসে ক্ষুধা মারাত্মক আকারধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের ত্রাণ প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস। গতকাল শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদকে দেওয়া সতর্কবার্তায় তিনি বলেন, দেশটির প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অনাহারে ভুগতে পারে। 

গ্রিফিথস বলেন, যুদ্ধের কারণে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব, প্রধান অবকাঠামো ও জীবিকার ক্ষতি, বাণিজ্য প্রবাহে বিঘ্ন, মারাত্মক মূল্যবৃদ্ধি, মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারে প্রতিবন্ধকতা এবং বড় আকারের বাস্তুচ্যুতির কারণে অঞ্চলটিতে তীব্র মাত্রার ক্ষুধা বাড়ছে। 

তিনি বলেন, ‘জরুরি মানবিক সহায়তা ও মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্যের সহজলভ্যতা ছাড়া... আগামী মাসগুলোতে দেশটির কোনো কোনো অংশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বিপর্যয়কর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে পারে।’ 

গ্রিফিথসকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার কারণে এবং শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে পশ্চিম ও মধ্য দারফুরের কিছু মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হবে। 

সুদানজুড়ে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে দারফুরেই রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার শিশু। 

গ্রিফিথস বলেন, এ মুহূর্তে যেসব অঞ্চলে প্রবেশ করা যাচ্ছে, সেসব অঞ্চলে এরই মধ্যে অপুষ্টির ভয়াবহ প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। 

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। জাতিসংঘ বলছে, দেশটির প্রায় আড়াই কোটি মানুষ জরুরি ত্রাণের অভাবের মধ্যে আছে। এটা সুদানের জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক। এছাড়াও দেশটির ৮০ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধরত দুটি পক্ষই যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য।

নিরাপত্তা পরিষদের ২০১৮ সালের প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাতে দুর্ভিক্ষ ও ব্যাপক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা দেখা দিলে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ১৫ সদস্যের সংস্থাটির কাছে রিপোর্ট দিতে হয়।

গ্রিফিথস বলেন, সুদানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রাণ প্রবেশের সময় এক হাজারেরও বেশি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে যা ‘মানবিক কার্যক্রমকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করেছে’। তিনি বলেন, এসব ঘটনার ৭১ শতাংশই দেশটিতে চলমান সংঘাতের কারণে বা মানবিক সরবরাহ বা ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত সহিংসতার কারণে ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত