Ajker Patrika

দেশে প্রতি তিনজনে একজন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে প্রতি তিনজনে একজন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত

খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বেড়েই চলেছ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে দেশের প্রতি তিনজনে একজন এই রোগে ভুগছেন। সে অনুযায়ী প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভারে ভুগছে। এর মধ্যে প্রায় এক কোটি সিরোসিস বা লিভার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিতে। অথচ প্রায় ক্ষেত্রে শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন এবং ওজন কমানোর মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার ও ন্যাশ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ৫ম আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবসে হেপাটোলজি সোসাইটি বাংলাদেশের আয়োজনে বাংলাদেশে ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক জনসচেতনতা মূলক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এ তথ্য জানান। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ও হেপাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. এ এস এম মতিউর রহমান (অব.)। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর স্টাডি অফ দি লিভারের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা অজয় কুমার ডিসুজা, বারডেম হাসপাতালের লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম আযম এবং বিএসএমএমইউয়ের হেপাটোলজির বিভাগের অধ্যাপক ডা গোলাম মোস্তফা। 

অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ২ দশমিক ৮২ শতাংশ লিভারের রোগ। বিশেষ করে সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারের কারণে হয়ে থাকে। আর লিভার সিরোসিসের ও ক্যানসারের অন্যতম কারণ হচ্ছে লিভারে চর্বি জমাজনিত প্রদাহ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে স্টিয়াটো হেপাটাইটিস বলে। আর এটিই হয় সাধারণত যকৃতে অতিরিক্ত প্রদাহ সৃষ্টির জন্য। 

বিএসএমএমইউর অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, ‘ফ্যাটি লিভারের বিপজ্জনক দিক হচ্ছে ন্যাশ। এই রোগে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস এবং শরীরে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। সারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে।’ তবে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন এবং ওজন কমানোর মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার ও ন্যাশ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি। 

এ সময় ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে দুধ, ফল শাকসবজি খাওয়া বাড়ানো, চিনিযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড এবং কোমল পানীয় পরিহারসহ মোট ১১ দফা সুপারিশ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত