অনলাইন ডেস্ক
চীনা ও মার্কিন বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একধরনের জটিল ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন একটি ওষুধের আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালে ইতিমধ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে, মুখে খাওয়ার ওই ওষুধ আগের চিকিৎসার তুলনায় বেশি নিরাপদ ও কার্যকর।
রোববার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধটি নিয়ে গবেষণার ফলাফল গত ২৮ এপ্রিল ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যানসার রিসার্চের বার্ষিক সম্মেলনে এটি উপস্থাপন করা হয়।
ওষুধটির নাম জংগার্টিনিব। এটি ‘এইচইআর২-মিউটেটেড নন-স্মল সেল’ লাং ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের ক্যানসার শুধু একটি অনুমোদিত চিকিৎসার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণে আনা যেত। সেই চিকিৎসাপদ্ধতি ছিল ‘ইনট্রাভেনাস অ্যান্টিবডি-ড্রাগ কনজুগেট’ (এডিসি) থেরাপি। তবে এডিসি থেরাপিতে ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এবং ত্বকের র্যাশের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জংগার্টিনিব ওষুধটি এইচইআর ২ প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তার টাইরোসিন কিনেজ কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়, যা কোষ বৃদ্ধির সংকেত দেওয়ার জন্য দায়ী। এতে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি থেমে যায়।
চীনা একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেস ক্যানসার হাসপাতালের অধ্যাপক ওয়াং শিন বলেছেন, ‘এইচইআর২-মিউটেন্ট ফুসফুস ক্যানসারে লক্ষ্যভিত্তিক চিকিৎসায় নতুন মাইলফলক গড়তে পারে জংগার্টিনিব।’
এই ট্রায়াল ইতিমধ্যে ৮২টি স্থানে পরিচালিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছিল চীনের ১৭টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি এবং জাপানের ৩টি প্রতিষ্ঠান। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৮৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়। এসব রোগীর অধিকাংশই ছিলেন এশীয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, জংগার্টিনিব প্রয়োগ করা রোগীদের ৭১ শতাংশের টিউমার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংকুচিত হয়েছে। অতীতে এডিসি থেরাপিতে তা ছিল ৪৯ শতাংশ। আবার ক্যানসার না বাড়ার গড় সময় ছিল জংগার্টিনিবে ১২.৪ মাস, আর এডিসি থেরাপিতে ৯.৯ মাস। জংগার্টিনিব ওষুধে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হারও ছিল অনেক কম। এডিসি থেরাপিতে ১৭-২৬ শতাংশ রোগী তীব্র ডায়রিয়ায় ভোগেন। অন্যদিকে, জংগার্টিনিবে মাত্র ১ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা গেছে।
তবে ওই ফলাফলগুলো ছিল ওষুধটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল। বর্তমানে ওষুধটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালে ১৬৯টি হাসপাতাল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১৮টি হাসপাতাল যুক্তরাষ্ট্রের, ৫টি জাপানের এবং ২৫টি চীনের।
উল্লেখ্য, ফুসফুস ক্যানসার হলো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত ক্যানসার। ২০২৪ সালে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২৫ লাখ। আর ওই বছরে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে ১৮ লাখ মানুষের।
চীনা ও মার্কিন বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একধরনের জটিল ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন একটি ওষুধের আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালে ইতিমধ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে, মুখে খাওয়ার ওই ওষুধ আগের চিকিৎসার তুলনায় বেশি নিরাপদ ও কার্যকর।
রোববার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধটি নিয়ে গবেষণার ফলাফল গত ২৮ এপ্রিল ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যানসার রিসার্চের বার্ষিক সম্মেলনে এটি উপস্থাপন করা হয়।
ওষুধটির নাম জংগার্টিনিব। এটি ‘এইচইআর২-মিউটেটেড নন-স্মল সেল’ লাং ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের ক্যানসার শুধু একটি অনুমোদিত চিকিৎসার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণে আনা যেত। সেই চিকিৎসাপদ্ধতি ছিল ‘ইনট্রাভেনাস অ্যান্টিবডি-ড্রাগ কনজুগেট’ (এডিসি) থেরাপি। তবে এডিসি থেরাপিতে ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এবং ত্বকের র্যাশের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জংগার্টিনিব ওষুধটি এইচইআর ২ প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তার টাইরোসিন কিনেজ কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়, যা কোষ বৃদ্ধির সংকেত দেওয়ার জন্য দায়ী। এতে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি থেমে যায়।
চীনা একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেস ক্যানসার হাসপাতালের অধ্যাপক ওয়াং শিন বলেছেন, ‘এইচইআর২-মিউটেন্ট ফুসফুস ক্যানসারে লক্ষ্যভিত্তিক চিকিৎসায় নতুন মাইলফলক গড়তে পারে জংগার্টিনিব।’
এই ট্রায়াল ইতিমধ্যে ৮২টি স্থানে পরিচালিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছিল চীনের ১৭টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি এবং জাপানের ৩টি প্রতিষ্ঠান। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৮৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়। এসব রোগীর অধিকাংশই ছিলেন এশীয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, জংগার্টিনিব প্রয়োগ করা রোগীদের ৭১ শতাংশের টিউমার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংকুচিত হয়েছে। অতীতে এডিসি থেরাপিতে তা ছিল ৪৯ শতাংশ। আবার ক্যানসার না বাড়ার গড় সময় ছিল জংগার্টিনিবে ১২.৪ মাস, আর এডিসি থেরাপিতে ৯.৯ মাস। জংগার্টিনিব ওষুধে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হারও ছিল অনেক কম। এডিসি থেরাপিতে ১৭-২৬ শতাংশ রোগী তীব্র ডায়রিয়ায় ভোগেন। অন্যদিকে, জংগার্টিনিবে মাত্র ১ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা গেছে।
তবে ওই ফলাফলগুলো ছিল ওষুধটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল। বর্তমানে ওষুধটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালে ১৬৯টি হাসপাতাল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১৮টি হাসপাতাল যুক্তরাষ্ট্রের, ৫টি জাপানের এবং ২৫টি চীনের।
উল্লেখ্য, ফুসফুস ক্যানসার হলো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত ক্যানসার। ২০২৪ সালে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২৫ লাখ। আর ওই বছরে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে ১৮ লাখ মানুষের।
রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) পুরোনো করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে সেটির নির্মাণকাজ। এই অবস্থায় সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী সিসিইউতে। কিন্তু একটি সিসিইউর জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেখানে তা নেই।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১০ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।
১২ ঘণ্টা আগেঅ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা এমন একটি মানসিক রোগ, যেখানে একজন মানুষ সব সময় মনে করেন তিনি মোটা। যদিও বাস্তবে হয়তো তিনি খুবই পাতলা। এই ভয়ে তিনি খাওয়া-দাওয়া একেবারে কমিয়ে দেন বা বাদই দিয়ে দেন।
১৪ ঘণ্টা আগে