অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
বিশ্বব্যাপী নারীদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে থাকা ঘাতক রোগ হলো স্তন ক্যানসার। আমাদের হাতে যে পরিসংখ্যান আছে, তা থেকে অনুমান করা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাতে মারা যান প্রায় ৮ হাজার জন। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। এর পেছনে বড় কারণ সচেতনতার অভাব। এ ব্যাপারে নারীদের সংকোচ বোধ, দেরিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, দেশে সার্বিকভাবে ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসার অপ্রতুলতাও এই মৃত্যুর পেছনের কারণ।
ক্যানসারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে বিপুল অগ্রগতি হয়েছে বিশ্বে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেন এর ধারেকাছে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, সেটা এক বিরাট প্রশ্ন। রোগ নির্ণয়ে ল্যাব টেস্টের তেমন অগ্রগতি নেই। আধুনিক চিকিৎসা আর ল্যাব টেস্ট—এসব ব্যাপারে পিছিয়ে থাকার কারণে বিপুলসংখ্যক রোগী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ, প্রাথমিক পর্যায়ে এর অবস্থা নির্ণয়, ক্যানসার স্ক্রিনিং, এসব ব্যাপারে সমন্বিত জাতীয় কর্মকৌশল তেমন চোখে পড়ে না। ক্যানসারের ক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি, সার্জারি আর কেমোথেরাপির প্রচলিত চিকিৎসা পেরিয়ে যে অগ্রগতি হয়েছে, সেসব ব্যাপারে তেমন দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা দেখা যায় না। সেসবের ভাবনাচিন্তাও সম্ভবত নেই। বিকিরণ চিকিৎসার যন্ত্রপাতি যা আনা হয়েছে, সেগুলোর দেখভাল, নজরদারি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় সবগুলো অচল।
ক্যানসার চিকিৎসা আর শনাক্তের ক্ষেত্রে দুর্গতি অনেক বেশি জেলা শহরে। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি। নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করে অসংগতি মনে হলে চিকিৎসকের কাছে আরও পরীক্ষার জন্য যেতে হবে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো হতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা, উদ্বুদ্ধকরণ আর প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের মূল কেন্দ্র। ক্লিনিকে স্তন পরীক্ষার পর প্রয়োজনে ম্যামোগ্রামের জন্য রেফার করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মীদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। জানাতে হবে, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে আর চিকিৎসা হলে ক্যানসারে মৃত্যু ঠেকানো অনেকটা সম্ভব।
কী করা উচিত
■ যেসব নারীর বয়স ৪০ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে, তাঁদের প্রতিবছর ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।
■ যাঁদের বয়স ৪৫ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে, তাঁদের বছরে একবার ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।
■ ৫৫ বছরের বেশি বয়স হলে এক বছর পর পর ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।
■ সুস্থ থাকা পর্যন্ত স্ক্রিনিং চলবে।
কাদের আছে উচ্চ ঝুঁকি
■ যাঁদের স্তন ক্যানসারের জোরালো পারিবারিক ইতিহাস আছে।
■ জিন টেস্টিং করে যাঁদের শরীরে বিআরএসিএ১ ও বিআরএসিএ২ জিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
■ উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা নারীদের জন্য ৩০ বছর বয়স থেকে প্রতিবছর দরকার হতে পারে স্তন মেমোগ্রাম এবং এমআরআই।
পুরো অক্টোবর মাস স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস। একটি ম্যামোগ্রাম অনেক আগে স্তন ক্যানসার শনাক্ত করতে পারে। এ ছাড়া প্রতিদিন স্নানের সময় ঘরে শরীর অনাবৃত করে নিজের স্তন পরীক্ষা করে দেখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরীক্ষায় অস্বাভাবিক কিছু অনুভব
করলে জানাতে হবে চিকিৎসককে।
এরপর একটি ম্যামোগ্রাম করলে এই ক্যানসার আগাম চিহ্নিত হবে। তাতে চিকিৎসায় আসবে সুফল।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বিশ্বব্যাপী নারীদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে থাকা ঘাতক রোগ হলো স্তন ক্যানসার। আমাদের হাতে যে পরিসংখ্যান আছে, তা থেকে অনুমান করা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাতে মারা যান প্রায় ৮ হাজার জন। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। এর পেছনে বড় কারণ সচেতনতার অভাব। এ ব্যাপারে নারীদের সংকোচ বোধ, দেরিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, দেশে সার্বিকভাবে ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসার অপ্রতুলতাও এই মৃত্যুর পেছনের কারণ।
ক্যানসারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে বিপুল অগ্রগতি হয়েছে বিশ্বে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেন এর ধারেকাছে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, সেটা এক বিরাট প্রশ্ন। রোগ নির্ণয়ে ল্যাব টেস্টের তেমন অগ্রগতি নেই। আধুনিক চিকিৎসা আর ল্যাব টেস্ট—এসব ব্যাপারে পিছিয়ে থাকার কারণে বিপুলসংখ্যক রোগী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ, প্রাথমিক পর্যায়ে এর অবস্থা নির্ণয়, ক্যানসার স্ক্রিনিং, এসব ব্যাপারে সমন্বিত জাতীয় কর্মকৌশল তেমন চোখে পড়ে না। ক্যানসারের ক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি, সার্জারি আর কেমোথেরাপির প্রচলিত চিকিৎসা পেরিয়ে যে অগ্রগতি হয়েছে, সেসব ব্যাপারে তেমন দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা দেখা যায় না। সেসবের ভাবনাচিন্তাও সম্ভবত নেই। বিকিরণ চিকিৎসার যন্ত্রপাতি যা আনা হয়েছে, সেগুলোর দেখভাল, নজরদারি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় সবগুলো অচল।
ক্যানসার চিকিৎসা আর শনাক্তের ক্ষেত্রে দুর্গতি অনেক বেশি জেলা শহরে। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি। নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করে অসংগতি মনে হলে চিকিৎসকের কাছে আরও পরীক্ষার জন্য যেতে হবে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো হতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা, উদ্বুদ্ধকরণ আর প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের মূল কেন্দ্র। ক্লিনিকে স্তন পরীক্ষার পর প্রয়োজনে ম্যামোগ্রামের জন্য রেফার করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মীদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। জানাতে হবে, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে আর চিকিৎসা হলে ক্যানসারে মৃত্যু ঠেকানো অনেকটা সম্ভব।
কী করা উচিত
■ যেসব নারীর বয়স ৪০ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে, তাঁদের প্রতিবছর ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।
■ যাঁদের বয়স ৪৫ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে, তাঁদের বছরে একবার ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।
■ ৫৫ বছরের বেশি বয়স হলে এক বছর পর পর ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।
■ সুস্থ থাকা পর্যন্ত স্ক্রিনিং চলবে।
কাদের আছে উচ্চ ঝুঁকি
■ যাঁদের স্তন ক্যানসারের জোরালো পারিবারিক ইতিহাস আছে।
■ জিন টেস্টিং করে যাঁদের শরীরে বিআরএসিএ১ ও বিআরএসিএ২ জিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
■ উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা নারীদের জন্য ৩০ বছর বয়স থেকে প্রতিবছর দরকার হতে পারে স্তন মেমোগ্রাম এবং এমআরআই।
পুরো অক্টোবর মাস স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস। একটি ম্যামোগ্রাম অনেক আগে স্তন ক্যানসার শনাক্ত করতে পারে। এ ছাড়া প্রতিদিন স্নানের সময় ঘরে শরীর অনাবৃত করে নিজের স্তন পরীক্ষা করে দেখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরীক্ষায় অস্বাভাবিক কিছু অনুভব
করলে জানাতে হবে চিকিৎসককে।
এরপর একটি ম্যামোগ্রাম করলে এই ক্যানসার আগাম চিহ্নিত হবে। তাতে চিকিৎসায় আসবে সুফল।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণের মধ্যে দুটি রোগের চিকিৎসায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত ‘ডেঙ্গু ও কোভিড চিকিৎসায় নির্দেশনাবলি’ আজ রোববার (২০ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে১২ ও ১৩ এপ্রিল হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের ২২ ও ২৩তম সভার পর ৪ জুলাই ৬৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। হাসপাতালে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি অংশকে কোনো প্রকার প্রক্রিয়া ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল...
১৬ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন কারণে মানুষের জেগে থাকা সময়ের বিরাট অংশ কেটে যায় বিভিন্ন পর্দার দিকে অপলক চেয়ে। অফিসের কাজ হোক কিংবা বাসায় বিনোদন—চোখের আরাম পাওয়ার সুযোগ এখন খুবই কম। এভাবে দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে দেখা দেয় একধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা, যাকে বলা হয় কম্পিউটার আই স্ট্রেইন বা ডিজিটাল আই স্ট্রেইন।
১ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৩৯৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছে চিকিৎসাধীন এক ডেঙ্গু রোগী।
২ দিন আগে