ডা. মোহাম্মদ মাহবুব আলম
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দিবস পালন করা হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২১-এর স্লোগান নির্ধারণ করেছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো—‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়’, ইনসুলিনসহ যাবতীয় ডায়াবেটিস সেবার সুযোগ নিন এখনই (Access to medicine & care)।
সারা বিশ্বে প্রতিবছর ডায়াবেটিস ও এর জটিলতায় ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৪ লাখ, যা ২০৪৫ সালের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হবে। আক্রান্তদের প্রতি দুজনের একজনই জানেন না যে তাঁর ডায়াবেটিস আছে। এমনকি যাঁরা জানেন, তাঁদেরও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। ডায়াবেটিস সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে প্রায় ৫০ শতাংশ টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
পৃথিবীজুড়ে ডায়াবেটিস এখন একটি প্রধান সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অনেক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। যেমন—
১. স্ট্রোক
২. হার্ট অ্যাটাক
৩. ডায়াবেটিক কার্ডিওপ্যাথি
৪. পায়ের ক্ষত
৫. ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি
৬. ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি
৭. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি
ডায়াবেটিস রোগীদের বেশির ভাগ জটিলতাই সরাসরি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সঙ্গে জড়িত। তাই ডায়াবেটিস রোগীর উচিত—
১. শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন বা নিয়ম মেনে চলা
২. নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা
৩. নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করা
অতএব ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা এই মহামারি রোগ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। ডায়াবেটিস প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ দিয়েই জয় করতে হবে। আর এ বিষয়ে অনেক বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
লেখক: জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
আরও পড়ুন:
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দিবস পালন করা হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২১-এর স্লোগান নির্ধারণ করেছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো—‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়’, ইনসুলিনসহ যাবতীয় ডায়াবেটিস সেবার সুযোগ নিন এখনই (Access to medicine & care)।
সারা বিশ্বে প্রতিবছর ডায়াবেটিস ও এর জটিলতায় ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৪ লাখ, যা ২০৪৫ সালের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হবে। আক্রান্তদের প্রতি দুজনের একজনই জানেন না যে তাঁর ডায়াবেটিস আছে। এমনকি যাঁরা জানেন, তাঁদেরও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। ডায়াবেটিস সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে প্রায় ৫০ শতাংশ টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
পৃথিবীজুড়ে ডায়াবেটিস এখন একটি প্রধান সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অনেক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। যেমন—
১. স্ট্রোক
২. হার্ট অ্যাটাক
৩. ডায়াবেটিক কার্ডিওপ্যাথি
৪. পায়ের ক্ষত
৫. ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি
৬. ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি
৭. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি
ডায়াবেটিস রোগীদের বেশির ভাগ জটিলতাই সরাসরি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সঙ্গে জড়িত। তাই ডায়াবেটিস রোগীর উচিত—
১. শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন বা নিয়ম মেনে চলা
২. নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা
৩. নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করা
অতএব ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা এই মহামারি রোগ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। ডায়াবেটিস প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ দিয়েই জয় করতে হবে। আর এ বিষয়ে অনেক বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
লেখক: জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
আরও পড়ুন:
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগেঈদের ঠিক দুইদিন আগে, যখন উৎসবের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে রাজধানী, তখন অন্ধকার নেমে আসে জামাল আহমেদের জীবনে। রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যজনিত রোগের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের বোঝা বছরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
১ দিন আগেগরু বা খাসির মাংস প্রাণিজ আমিষের খুব ভালো উৎস। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, কোলিন, জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। সেগুলো শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২ দিন আগে