ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
মাথার ত্বক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চর্মরোগ সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের মাধ্যমে। এ রোগের কারণে আক্রান্ত জায়গা লাল এবং খসখসে হয়ে যায়, খুশকি দেখা দেয়। এমনকি সেবোরিক ডার্মাটাইটিস হলে মুখমণ্ডল ও বুকের ওপরের অংশ এবং পিঠের মতো শরীরের তৈলাক্ত অংশ আক্রান্ত হতে পারে। এর কারণে অস্বস্তিবোধ হয়। এটি কোনো সংক্রামক রোগ নয়। আবার অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই। সেবোরিক ডার্মাটাইটিস দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এটি সেরে যাওয়ার পরও দেখা দিতে পারে। সেবোরিক ডার্মাটাইটিস খুশকি, সেবোরিক একজিমা বা সেরাইওসিস নামেও পরিচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগকে ক্রেডল ক্র্যাপ বলা হয়।
রোগের লক্ষণ
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়—
# ত্বকের ফুসকুড়ি, শুষ্ক খসখসে ত্বক, অস্বাভাবিক ত্বক
# ত্বকে ও মাথার ত্বকে চুলকানি
# মাথার অস্বাভাবিক ত্বক
# ব্রণ বা পিমপল
# ত্বকের ক্ষত
# চুল পড়ে যাওয়া
# ত্বকের বৃদ্ধি
প্রতিকারে করণীয়
চিকিৎসকের পরামর্শে খুশকি প্রতিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
# পাইরিথিয়ন জিংক ও সেলেনিয়ামযুক্ত শ্যাম্পু–প্রতিদিন।
# অ্যান্টিফাংগাল কিটোকোনাজলযুক্ত শ্যাম্পু–সপ্তাহে দুইবার।
# সেলিসাইলিক অ্যাসিড শ্যাম্পু–প্রতিদিন।
ঘরোয়া যত্ন
# আক্রান্ত জায়গায় অলিভ অয়েল দিন। ঘণ্টাখানেক জায়গাটিতে তেল থাকতে দিন। এরপর ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান এবং ধুয়ে ফেলুন।
# নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন ও সাবান ব্যবহার করে মাথার ত্বক ও শরীর ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
# করটিকয়েড ক্রিম ব্যবহার করুন, এটি কাজ না করলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম কিটোকোনাজল ব্যবহার করুন।
# অ্যালকোহলযুক্ত দ্রব্য পরিহার করতে হবে।
# নরম সুতি কাপড় পরিধান করুন। এ ধরনের কাপড় আপনার ত্বকের চারপাশে বাতাস চলাচলে সাহায্য করবে এবং চুলকানি কম হবে।
# দাড়ি বা গোঁফের নিচে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস তীব্র হতে পারে। তাই দাড়ি ও গোঁফ কাটলে সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের লক্ষণ প্রশমিত হয়।
# চুলকানোর কারণে জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। চুলকানি কমাতে হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম বা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
# চোখের পাতা লাল হলে বা সেখানে আঁশজাতীয় ভাব দেখা দিলে, প্রতি রাতে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে চোখের পাতা ধুয়ে ফেলুন এবং আঁশগুলো তুলা দিয়ে তুলে ফেলুন। কুসুম গরম পানিতে ভেজানো ন্যাকড়া দিয়েও মোছা যেতে পারে।
# শিশুর ক্রেডল ক্র্যাপ হলে শিশুর মাথার ত্বক বেবি শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন। শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলার আগে নরম ব্রাশ দিয়ে ডলে খুশকি তুলে ফেলুন।
চিকিৎসা
রোগ নির্ণয়ের পর প্রথমে ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজনে অপারেশনও করা হয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার, ফার্মগেট, ঢাকা
মাথার ত্বক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চর্মরোগ সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের মাধ্যমে। এ রোগের কারণে আক্রান্ত জায়গা লাল এবং খসখসে হয়ে যায়, খুশকি দেখা দেয়। এমনকি সেবোরিক ডার্মাটাইটিস হলে মুখমণ্ডল ও বুকের ওপরের অংশ এবং পিঠের মতো শরীরের তৈলাক্ত অংশ আক্রান্ত হতে পারে। এর কারণে অস্বস্তিবোধ হয়। এটি কোনো সংক্রামক রোগ নয়। আবার অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই। সেবোরিক ডার্মাটাইটিস দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এটি সেরে যাওয়ার পরও দেখা দিতে পারে। সেবোরিক ডার্মাটাইটিস খুশকি, সেবোরিক একজিমা বা সেরাইওসিস নামেও পরিচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগকে ক্রেডল ক্র্যাপ বলা হয়।
রোগের লক্ষণ
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়—
# ত্বকের ফুসকুড়ি, শুষ্ক খসখসে ত্বক, অস্বাভাবিক ত্বক
# ত্বকে ও মাথার ত্বকে চুলকানি
# মাথার অস্বাভাবিক ত্বক
# ব্রণ বা পিমপল
# ত্বকের ক্ষত
# চুল পড়ে যাওয়া
# ত্বকের বৃদ্ধি
প্রতিকারে করণীয়
চিকিৎসকের পরামর্শে খুশকি প্রতিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
# পাইরিথিয়ন জিংক ও সেলেনিয়ামযুক্ত শ্যাম্পু–প্রতিদিন।
# অ্যান্টিফাংগাল কিটোকোনাজলযুক্ত শ্যাম্পু–সপ্তাহে দুইবার।
# সেলিসাইলিক অ্যাসিড শ্যাম্পু–প্রতিদিন।
ঘরোয়া যত্ন
# আক্রান্ত জায়গায় অলিভ অয়েল দিন। ঘণ্টাখানেক জায়গাটিতে তেল থাকতে দিন। এরপর ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান এবং ধুয়ে ফেলুন।
# নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন ও সাবান ব্যবহার করে মাথার ত্বক ও শরীর ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
# করটিকয়েড ক্রিম ব্যবহার করুন, এটি কাজ না করলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম কিটোকোনাজল ব্যবহার করুন।
# অ্যালকোহলযুক্ত দ্রব্য পরিহার করতে হবে।
# নরম সুতি কাপড় পরিধান করুন। এ ধরনের কাপড় আপনার ত্বকের চারপাশে বাতাস চলাচলে সাহায্য করবে এবং চুলকানি কম হবে।
# দাড়ি বা গোঁফের নিচে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস তীব্র হতে পারে। তাই দাড়ি ও গোঁফ কাটলে সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের লক্ষণ প্রশমিত হয়।
# চুলকানোর কারণে জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। চুলকানি কমাতে হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম বা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
# চোখের পাতা লাল হলে বা সেখানে আঁশজাতীয় ভাব দেখা দিলে, প্রতি রাতে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে চোখের পাতা ধুয়ে ফেলুন এবং আঁশগুলো তুলা দিয়ে তুলে ফেলুন। কুসুম গরম পানিতে ভেজানো ন্যাকড়া দিয়েও মোছা যেতে পারে।
# শিশুর ক্রেডল ক্র্যাপ হলে শিশুর মাথার ত্বক বেবি শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন। শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলার আগে নরম ব্রাশ দিয়ে ডলে খুশকি তুলে ফেলুন।
চিকিৎসা
রোগ নির্ণয়ের পর প্রথমে ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজনে অপারেশনও করা হয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার, ফার্মগেট, ঢাকা
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
১৭ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৩ দিন আগে