ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা পা থেকে মাথা পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন অঙ্গে সমস্যা করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে, সেগুলোকে বলা হয় ডায়াবেটিসের ক্রনিক কমপ্লিকেশন।
ডায়াবেটিস থেকে যে সমস্যাগুলো হতে পারে এর মধ্যে আছে:
চোখের সমস্যা: ডায়াবেটিস অনেক বছর ধরে থাকলে বা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখের রেটিনার রক্তনালিতে সমস্যা হয়। এটাকে বলে ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি। ঠিকমতো চিকিৎসা না নিলে চোখ অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এর প্রতিরোধে ডায়াবেটিস সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে চোখ পরীক্ষা করা।
হার্ট অ্যাটাক: প্রায় ৭৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীদের হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক পাওয়া যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। নিয়মিত ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের চেকআপ করতে হবে, প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে।
স্ট্রোক: ডায়াবেটিস রোগীদের মস্তিষ্কের রক্তনালি সংকুচিত হয়ে স্ট্রোকের প্রবণতা সাধারণ মানুষের থেকে বেশি। যাঁদের স্ট্রোকের আশঙ্কা আছে, তাঁদের ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের ফলোআপে থাকতে হবে এবং নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস থেকে হাত-পা জ্বালাপোড়া:
ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেক সময় চিকিৎসকের কাছে যান হাত-পা জ্বালাপোড়া নিয়ে। অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস থাকলে বা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে পা ও হাতের নার্ভ বা স্নায়ু নষ্ট হতে পারে, যা থেকে হাত-পা জ্বালাপোড়া হতে পারে। এ ছাড়া হাত বা পায়ের অস্বাভাবিক অনুভূতি, যেমন সুচ দিয়ে খোঁচানোর মতো অথবা পিঁপড়া হাঁটছে এমন অনুভূতি হতে পারে। এটি প্রতিরোধ করতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস থেকে কিডনির রোগ: ২০ থেকে ৪০ শতাংশ রোগী ডায়াবেটিস থেকে কিডনির সমস্যায় ভোগেন। কিডনি বিকল হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। এই রোগ থেকে কিডনির ছাঁকনি দিয়ে প্রোটন বা অ্যালবুমিন বের হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কিডনি বিকলের দিকে চলে যায়।
এটি প্রতিরোধে তিন মাস পর পর চিকিৎসক দেখিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ব্লাড প্রেশারও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন কমানো, ধূমপান বর্জন ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
যৌন সমস্যা: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে পুরুষের যৌন সমস্যা হতে পারে। এটি প্রতিরোধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, ওজন কমাতে হবে, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে কোনো হরমোনের সমস্যা আছে কি না, সেটাও খুঁজে বের করতে হবে।
ডায়াবেটিস থেকে পায়ে ঘা বা ডায়াবেটিক ফুট: ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের অনুভূতি স্বাভাবিক মানুষের থেকে কম থাকে। তাই তাঁরা কোনো আঘাত পেলে টের পান না এবং তা থেকে ক্ষত তৈরি হতে পারে। এটি মারাত্মক আকার ধারণ করলে পা কেটেও ফেলতে হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত পা পরীক্ষা করতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, ডায়াবেটিস, মেডিসিন, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ, রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইনোলজি ও ইনফার্টিলিটি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা পা থেকে মাথা পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন অঙ্গে সমস্যা করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে, সেগুলোকে বলা হয় ডায়াবেটিসের ক্রনিক কমপ্লিকেশন।
ডায়াবেটিস থেকে যে সমস্যাগুলো হতে পারে এর মধ্যে আছে:
চোখের সমস্যা: ডায়াবেটিস অনেক বছর ধরে থাকলে বা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখের রেটিনার রক্তনালিতে সমস্যা হয়। এটাকে বলে ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি। ঠিকমতো চিকিৎসা না নিলে চোখ অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এর প্রতিরোধে ডায়াবেটিস সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে চোখ পরীক্ষা করা।
হার্ট অ্যাটাক: প্রায় ৭৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীদের হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক পাওয়া যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। নিয়মিত ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের চেকআপ করতে হবে, প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে।
স্ট্রোক: ডায়াবেটিস রোগীদের মস্তিষ্কের রক্তনালি সংকুচিত হয়ে স্ট্রোকের প্রবণতা সাধারণ মানুষের থেকে বেশি। যাঁদের স্ট্রোকের আশঙ্কা আছে, তাঁদের ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের ফলোআপে থাকতে হবে এবং নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস থেকে হাত-পা জ্বালাপোড়া:
ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেক সময় চিকিৎসকের কাছে যান হাত-পা জ্বালাপোড়া নিয়ে। অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস থাকলে বা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে পা ও হাতের নার্ভ বা স্নায়ু নষ্ট হতে পারে, যা থেকে হাত-পা জ্বালাপোড়া হতে পারে। এ ছাড়া হাত বা পায়ের অস্বাভাবিক অনুভূতি, যেমন সুচ দিয়ে খোঁচানোর মতো অথবা পিঁপড়া হাঁটছে এমন অনুভূতি হতে পারে। এটি প্রতিরোধ করতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস থেকে কিডনির রোগ: ২০ থেকে ৪০ শতাংশ রোগী ডায়াবেটিস থেকে কিডনির সমস্যায় ভোগেন। কিডনি বিকল হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। এই রোগ থেকে কিডনির ছাঁকনি দিয়ে প্রোটন বা অ্যালবুমিন বের হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কিডনি বিকলের দিকে চলে যায়।
এটি প্রতিরোধে তিন মাস পর পর চিকিৎসক দেখিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ব্লাড প্রেশারও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন কমানো, ধূমপান বর্জন ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
যৌন সমস্যা: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে পুরুষের যৌন সমস্যা হতে পারে। এটি প্রতিরোধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, ওজন কমাতে হবে, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে কোনো হরমোনের সমস্যা আছে কি না, সেটাও খুঁজে বের করতে হবে।
ডায়াবেটিস থেকে পায়ে ঘা বা ডায়াবেটিক ফুট: ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের অনুভূতি স্বাভাবিক মানুষের থেকে কম থাকে। তাই তাঁরা কোনো আঘাত পেলে টের পান না এবং তা থেকে ক্ষত তৈরি হতে পারে। এটি মারাত্মক আকার ধারণ করলে পা কেটেও ফেলতে হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত পা পরীক্ষা করতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, ডায়াবেটিস, মেডিসিন, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ, রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইনোলজি ও ইনফার্টিলিটি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন।
১২ ঘণ্টা আগেঈদের ঠিক দুইদিন আগে, যখন উৎসবের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে রাজধানী, তখন অন্ধকার নেমে আসে জামাল আহমেদের জীবনে। রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যজনিত রোগের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের বোঝা বছরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
২ দিন আগেগরু বা খাসির মাংস প্রাণিজ আমিষের খুব ভালো উৎস। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, কোলিন, জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। সেগুলো শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২ দিন আগে