মো. ইকবাল হোসেন
খাদ্যের অন্যতম প্রধান উপাদান পানি। বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। আমাদের শরীরের ৬০-৭০ শতাংশ পানি। বয়স, ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি পান জরুরি। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অনেক ক্ষেত্রে পিপাসা মেটাতে বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে অন্যান্য পানীয় পান সাধারণ ঘটনা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফলের রস, লেবুর শরবত, কোমল পানীয় ইত্যাদি। তবে তৃষ্ণা নিবারণে সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে যেকোনো পদ্ধতিতে মাটির নিচ থেকে উত্তোলিত পানি।
কেন বিশুদ্ধ পানি সবচেয়ে উপযুক্ত
আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্রম নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। শরীরে হরমোনের কার্যকারিতা, ক্ষারের ভারসাম্য, হার্টবিটসহ সবকিছু নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে থাকতে হয়। মানুষের শরীরে রক্ত, প্রস্রাবসহ সব ধরনের তরলের বেশির ভাগের পিএইচ ৭-এর কাছাকাছি। তাই মানুষের শরীর পিএইচের মান ৭-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ পানীয়তে সবচেয়ে কর্মক্ষম হবে। সে ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। এর পিএইচ বা ক্ষারের মান ৭। আবার এই বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রাও আমাদের শরীরের তাপমাত্রার খুব কাছাকাছি।
অন্য পানীয় কেন নয়
ফলের রস: এটি নিঃসন্দেহে অনেক উপকারী। কিন্তু তা কোনোভাবেই বেশি পান করা যাবে না। একেক ফলের পিএইচ মান কিন্তু একেক রকম। কোনোটা অল্প অ্যাসিডিক, আবার কোনোটা বেশি। অতিরিক্ত ফলের রস পানে শরীরের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দিনে একবার ২৫০ থেকে ৩০০ মিলির বেশি ফলের রস পান করা যাবে না। শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা থাকলে পরিমাণ আরও কম হবে।
ফলের রসে প্রচুর ইলেকট্রোলাইট থাকে। বেশি পানে শরীরে পটাশিয়ামসহ অন্যান্য খনিজের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এই অবস্থা কিডনির ওপর চাপ তৈরি করবে। তবে সুস্থ স্বাভাবিক ও বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন, এমন ব্যক্তিরা বেশি পানি পান করতে পারেন।
লেবুর শরবত: লেবুর শরবত স্বাস্থ্যবান্ধব হলেও অতিরিক্ত পান স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। প্রথমত, লেবু একটি অ্যাসিডিক ফল। এর পিএইচ ৭-এর কম। অতিরিক্ত লেবুর শরবত পানে শরীরের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
এক গ্লাস পানিতে দু-তিনটি লেবুর রস দেওয়া যাবে না। তাতে শরীরের পিএইচের মান ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হবে। শরবত তৈরির জন্য ছোট এক টুকরো লেবুই যথেষ্ট।
স্যালাইন পানি কেন নয়
স্যালাইন পানি মূলত ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য। আপনি পিপাসা মেটাতে স্যালাইন পানি পান করলে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হবে। শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ বাড়লে পানি জমে ফুলে যেতে পারে। তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঠান্ডা পানি কেন খাবেন না
অনেকে পিপাসা মেটাতে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করেন। এতে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি সরাসরি পান না করে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পান করুন অথবা ঠান্ডা পানির সঙ্গে স্বাভাবিক পানি মিশিয়ে পান করতে হবে। আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
বোতলজাত পানি
বেশির ভাগ বোতলজাত পানি রাসায়নিক ব্যবহার করে বিশুদ্ধ করা হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু রাসায়নিকের উপস্থিতি পানিতে থেকে যেতে পারে। রাসায়নিকভাবে পরিশুদ্ধ করার কারণে পানি থেকে কিছু খনিজের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণে বোতলজাত পানির স্বাদে কিছুটা পরিবর্তন আসে।
কোমল পানীয় কেন নয়
কোমল পানীয় মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এটি শরীরের তাপমাত্রা, পিএইচের স্তর ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই তৃষ্ণা নিবারণে এগুলো পান করা ঠিক নয়।
পিপাসা মেটাতে সব সময় ভূগর্ভস্থ বিশুদ্ধ পানি পরিমিত পান করতে হবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত পানি পান করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে ভূগর্ভস্থ পানি পান করার আগে নিশ্চিত হতে হবে, তাতে আর্সেনিক ও আয়রনের পরিমাণ শরীরে অনুমোদিত সীমার মধ্যে রয়েছে কি না। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
খাদ্যের অন্যতম প্রধান উপাদান পানি। বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। আমাদের শরীরের ৬০-৭০ শতাংশ পানি। বয়স, ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি পান জরুরি। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অনেক ক্ষেত্রে পিপাসা মেটাতে বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে অন্যান্য পানীয় পান সাধারণ ঘটনা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফলের রস, লেবুর শরবত, কোমল পানীয় ইত্যাদি। তবে তৃষ্ণা নিবারণে সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে যেকোনো পদ্ধতিতে মাটির নিচ থেকে উত্তোলিত পানি।
কেন বিশুদ্ধ পানি সবচেয়ে উপযুক্ত
আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্রম নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। শরীরে হরমোনের কার্যকারিতা, ক্ষারের ভারসাম্য, হার্টবিটসহ সবকিছু নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে থাকতে হয়। মানুষের শরীরে রক্ত, প্রস্রাবসহ সব ধরনের তরলের বেশির ভাগের পিএইচ ৭-এর কাছাকাছি। তাই মানুষের শরীর পিএইচের মান ৭-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ পানীয়তে সবচেয়ে কর্মক্ষম হবে। সে ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। এর পিএইচ বা ক্ষারের মান ৭। আবার এই বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রাও আমাদের শরীরের তাপমাত্রার খুব কাছাকাছি।
অন্য পানীয় কেন নয়
ফলের রস: এটি নিঃসন্দেহে অনেক উপকারী। কিন্তু তা কোনোভাবেই বেশি পান করা যাবে না। একেক ফলের পিএইচ মান কিন্তু একেক রকম। কোনোটা অল্প অ্যাসিডিক, আবার কোনোটা বেশি। অতিরিক্ত ফলের রস পানে শরীরের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দিনে একবার ২৫০ থেকে ৩০০ মিলির বেশি ফলের রস পান করা যাবে না। শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা থাকলে পরিমাণ আরও কম হবে।
ফলের রসে প্রচুর ইলেকট্রোলাইট থাকে। বেশি পানে শরীরে পটাশিয়ামসহ অন্যান্য খনিজের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এই অবস্থা কিডনির ওপর চাপ তৈরি করবে। তবে সুস্থ স্বাভাবিক ও বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন, এমন ব্যক্তিরা বেশি পানি পান করতে পারেন।
লেবুর শরবত: লেবুর শরবত স্বাস্থ্যবান্ধব হলেও অতিরিক্ত পান স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। প্রথমত, লেবু একটি অ্যাসিডিক ফল। এর পিএইচ ৭-এর কম। অতিরিক্ত লেবুর শরবত পানে শরীরের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
এক গ্লাস পানিতে দু-তিনটি লেবুর রস দেওয়া যাবে না। তাতে শরীরের পিএইচের মান ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হবে। শরবত তৈরির জন্য ছোট এক টুকরো লেবুই যথেষ্ট।
স্যালাইন পানি কেন নয়
স্যালাইন পানি মূলত ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য। আপনি পিপাসা মেটাতে স্যালাইন পানি পান করলে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হবে। শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ বাড়লে পানি জমে ফুলে যেতে পারে। তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঠান্ডা পানি কেন খাবেন না
অনেকে পিপাসা মেটাতে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করেন। এতে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি সরাসরি পান না করে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পান করুন অথবা ঠান্ডা পানির সঙ্গে স্বাভাবিক পানি মিশিয়ে পান করতে হবে। আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
বোতলজাত পানি
বেশির ভাগ বোতলজাত পানি রাসায়নিক ব্যবহার করে বিশুদ্ধ করা হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু রাসায়নিকের উপস্থিতি পানিতে থেকে যেতে পারে। রাসায়নিকভাবে পরিশুদ্ধ করার কারণে পানি থেকে কিছু খনিজের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণে বোতলজাত পানির স্বাদে কিছুটা পরিবর্তন আসে।
কোমল পানীয় কেন নয়
কোমল পানীয় মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এটি শরীরের তাপমাত্রা, পিএইচের স্তর ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই তৃষ্ণা নিবারণে এগুলো পান করা ঠিক নয়।
পিপাসা মেটাতে সব সময় ভূগর্ভস্থ বিশুদ্ধ পানি পরিমিত পান করতে হবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত পানি পান করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে ভূগর্ভস্থ পানি পান করার আগে নিশ্চিত হতে হবে, তাতে আর্সেনিক ও আয়রনের পরিমাণ শরীরে অনুমোদিত সীমার মধ্যে রয়েছে কি না। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’ তে কে. জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেস্থূলতা বর্তমান সময়ের অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এটি ধীরে ধীরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্থূলতাকে ‘গ্লোবাল এপিডেমিক’ ঘোষণা করেছে। পৃথিবীর সব প্রান্তে এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনযাত্রায় কাজের ব্যস্ততা, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে স্নায়বিক ক্লান্তি বা নিউরোনাল ফ্যাটিগ একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্নায়বিক অবস্থা এখন বৈশ্বিকভাবে অসুস্থতা ও অক্ষমতার প্রধান কারণ...
৬ ঘণ্টা আগেফথালেটস নামটি নিরীহ মনে হলেও এই রাসায়নিক উপাদান বেশ ভয়ংকর। আমরা প্রতিদিন যে প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখি, যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করি বা যে খেলনাগুলো শিশুদের দিই, সেগুলোর বেশির ভাগে রয়েছে উপাদানটি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় এ নিয়ে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। ফথালেটসের কারণে ২০১৮ সালে...
৬ ঘণ্টা আগে