ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী
আরামদায়ক হলেও শীতে নানান শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। এ সময় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। সারা বছর কানে সংক্রমণ হলেও শীতকালে এর প্রকোপ বাড়ে। সে জন্য এ সময় কেন এই সংক্রমণ বেশি হয় এবং কীভাবে তা রোধ করা সম্ভব, তা জেনে রাখলে সুবিধা পাওয়া যাবে।
সাধারণত কানের বাইরের দিকে বা মিডল ইয়ারে সংক্রমণ হয়ে থাকে। চিকিৎসকেরা বলেন, ঠান্ডা লাগলে নাকের সর্দি কানের দিকে চলে গিয়ে সংক্রমণ হয়। বয়স্ক থেকে শিশু—সবার এটি হতে পারে।
এখন শরীর সুস্থ রাখতে অনেকে সাঁতার কাটে। কান পরিষ্কার করতে ইয়ার বাড ব্যবহার করা হয়। ফলে খুব সহজে কানে ব্যাকটেরিয়া ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এ সময় বাইরের কানে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হওয়া খুব স্বাভাবিক।
এ ছাড়া খুব ঠান্ডা লেগে আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্টে সংক্রমণ হলে তা পৌঁছে যেতে পারে কানে। সাধারণত এ ক্ষেত্রে স্ট্রেপটোককাস নিউমোনিয়া বা হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ব্যাকটেরিয়া কানে প্রদাহ তৈরি করে। সেখান থেকে কানের মাঝখানের অংশে তরল পদার্থ জমা হয়। এ ছাড়া শীতে ঠান্ডা, ধূমপান, সাইনাস সংক্রমণ বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও কানে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শীতকালে ঠান্ডা সর্দি লাগার পর অনেক শিশু তাদের কানের ব্যথার কথা বলে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নইলে ঠান্ডা সর্দি মধ্যকর্ণে প্রদাহ তৈরি করে। এমন হলে অল্প সময়ের মধ্যে, এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, কানের পর্দা ফুটো হয়ে যেতে পারে।
কান পরিষ্কার রাখার জন্য বাইরে থেকে কিছু করার প্রয়োজন নেই। কান নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে সক্ষম। কান পরিষ্কার করতে বারবার কটন বাড ব্যবহার করলে সংক্রমণ হতে পারে। তার চেয়ে বরং রোজ গোসলের পরে তোয়ালে দিয়ে কানের যতটা অংশ পারেন মুছে নিন।
শীতকাল এলেই যাদের কানের সংক্রমণে ভুগতে হয়, তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, নিয়মিত নাক পরিষ্কার করা। এতে সংক্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পথ বা নালি স্বাভাবিক থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাজারে প্রচলিত সাধারণ স্যালাইন নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের রাতে বাইরে বেরোলে পরতে হবে কানঢাকা পোশাক। বাঙালির চিরকালীন মাফলার, মাঙ্কি টুপি থেকে এখনকার বাহারি কানঢাকা টুপি—সুবিধামতো এগুলোর কিছু একটা পরে নিলেই হলো।
ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, আবাসিক সার্জন (ইএনটি), নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড নেক সার্জন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আরামদায়ক হলেও শীতে নানান শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। এ সময় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। সারা বছর কানে সংক্রমণ হলেও শীতকালে এর প্রকোপ বাড়ে। সে জন্য এ সময় কেন এই সংক্রমণ বেশি হয় এবং কীভাবে তা রোধ করা সম্ভব, তা জেনে রাখলে সুবিধা পাওয়া যাবে।
সাধারণত কানের বাইরের দিকে বা মিডল ইয়ারে সংক্রমণ হয়ে থাকে। চিকিৎসকেরা বলেন, ঠান্ডা লাগলে নাকের সর্দি কানের দিকে চলে গিয়ে সংক্রমণ হয়। বয়স্ক থেকে শিশু—সবার এটি হতে পারে।
এখন শরীর সুস্থ রাখতে অনেকে সাঁতার কাটে। কান পরিষ্কার করতে ইয়ার বাড ব্যবহার করা হয়। ফলে খুব সহজে কানে ব্যাকটেরিয়া ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এ সময় বাইরের কানে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হওয়া খুব স্বাভাবিক।
এ ছাড়া খুব ঠান্ডা লেগে আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্টে সংক্রমণ হলে তা পৌঁছে যেতে পারে কানে। সাধারণত এ ক্ষেত্রে স্ট্রেপটোককাস নিউমোনিয়া বা হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ব্যাকটেরিয়া কানে প্রদাহ তৈরি করে। সেখান থেকে কানের মাঝখানের অংশে তরল পদার্থ জমা হয়। এ ছাড়া শীতে ঠান্ডা, ধূমপান, সাইনাস সংক্রমণ বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও কানে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শীতকালে ঠান্ডা সর্দি লাগার পর অনেক শিশু তাদের কানের ব্যথার কথা বলে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নইলে ঠান্ডা সর্দি মধ্যকর্ণে প্রদাহ তৈরি করে। এমন হলে অল্প সময়ের মধ্যে, এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, কানের পর্দা ফুটো হয়ে যেতে পারে।
কান পরিষ্কার রাখার জন্য বাইরে থেকে কিছু করার প্রয়োজন নেই। কান নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে সক্ষম। কান পরিষ্কার করতে বারবার কটন বাড ব্যবহার করলে সংক্রমণ হতে পারে। তার চেয়ে বরং রোজ গোসলের পরে তোয়ালে দিয়ে কানের যতটা অংশ পারেন মুছে নিন।
শীতকাল এলেই যাদের কানের সংক্রমণে ভুগতে হয়, তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, নিয়মিত নাক পরিষ্কার করা। এতে সংক্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পথ বা নালি স্বাভাবিক থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাজারে প্রচলিত সাধারণ স্যালাইন নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের রাতে বাইরে বেরোলে পরতে হবে কানঢাকা পোশাক। বাঙালির চিরকালীন মাফলার, মাঙ্কি টুপি থেকে এখনকার বাহারি কানঢাকা টুপি—সুবিধামতো এগুলোর কিছু একটা পরে নিলেই হলো।
ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, আবাসিক সার্জন (ইএনটি), নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড নেক সার্জন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১৩ মিনিট আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২৪ মিনিট আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
৩১ মিনিট আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
৩৫ মিনিট আগে