আলমগীর আলম
আমাদের অনেকের ধারণা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা মানেই মাথার বাজে কোনো অসুখ। কিন্তু ধারণাটি ঠিক নয়। মাথাব্যথার অনেক কারণ থাকে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন, মানুষের ১৫০ ধরনের মাথাব্যথা হয়ে থাকে! আমরা হয়তো দুই-তিন ধরনের ব্যথা চিনতে পারি সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান থেকে। এর বাইরেও অনেক ধরনের মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
সাধারণ মাথা ব্যথা দূর করতে ওষুধ থেকে টোটকা অনেক কিছু করে থাকি আমরা। প্রাকৃতিক উপায়ে মাথাব্যথা দূর করার জন্য আকুপ্রেশার একটি চমৎকার উপায়।
সাধারণত কয়েকটি কারণে মাথাব্যথা হতে পারে, যেগুলোতে এই আকুপ্রেশার কাজ করবে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় হলো:
» গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা, সঠিক সময়ে না খাওয়া ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা।
» পানির ঘাটতিজনিত (ডিহাইড্রেশন) মাথাব্যথা
» পারিবারিক অশান্তি ও মানসিক কষ্টের কারণে মাথা ব্যথা।
» সাইনোসাইটিসজনিত মাথাব্যথা।
» অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত মাথাব্যথা। অনেকের আবার মাথাব্যথার সঙ্গে মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যাও দেখা যায়।
» অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোনের ওষুধের প্রভাবজনিত মাথা ব্যথা।
হালকা মাথাব্যথা
এই মাথাব্যথা সবচেয়ে গুরুতর। আপনার এক চোখের পেছনে বা চারপাশে তীব্র জ্বলনযুক্ত ব্যথা হতে পারে। এটি থ্রবিং বা ধ্রুবক হতে পারে। ব্যথা এতটাই খারাপ হতে পারে যে ক্লাস্টার মাথাব্যথায় আক্রান্ত বেশির ভাগ লোক স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না এবং আক্রমণের সময় অস্থির লাগে, ছটফট করতে থাকে। ব্যথার পাশাপাশি চোখের পাতাও ব্যথা করে, চোখ লাল হয়ে যায়, পুঁটুলি ছোট হয়ে যায় বা চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
টেনশনে মাথাব্যথা
টেনশন হেডেক হলো প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ধরনের মাথাব্যথা। এতে হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা হয়ে থাকে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসে, আবার নিজে নিজেই চলে যায়। তাদের সাধারণত অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না।
ক্রমাগত মাথাব্যথা
এই ব্যথা হঠাৎ শুরু হয়ে এক দিন থেকে লাগাতার তিন মাস পর্যন্ত চলতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে তার বেশি সময় ধরেও চলতে পারে। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত নন কেন এই ধরনের মাথাব্যথা শুরু হয়। কখনো এটি সংক্রমণ, ফ্লু-এর মতো অসুস্থতা, অস্ত্রোপচার আবার কখনো মানসিক চাপ থেকেও এটা হতে পারে।
মাথাব্যথায় আকুপ্রেশার
মাথাব্যথার যেকোনো ধরনই আকুপ্রেশারের মাধ্যমে কমানো যায়। সে জন্য নিজে নিজেই আকুপ্রেশার করতে হবে।
প্রথমে আপনার দুহাতের তালু ভালো করে ঘষুন। দুই মিনিট হাতের তালু ঘষলেই দুহাত গরম হয়ে উঠবে। হাতের পয়েন্টে দুই মিনিট চাপ দিতে হবে। চাপ খুব আস্তে বা জোরেও দেওয়া যাবে না। দুই হাতে দুই মিনিট চাপ দেবেন।
তারপর কপালের ঠিক মাঝখানে, যাকে থার্ডআই বলা হয়, সেই পয়েন্টে একটি আঙুল রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে আঙুলটা একটু ঘোড়াতে থাকুন, সঙ্গে একটু চাপ বাড়ান। দুই মিনিট আকুপ্রেশার করুন।
মাথাব্যথা থাকলে এই দুটি পয়েন্টে আকুপ্রেশার করুন দুই মিনিট করে মোট ৬ মিনিট। আর যাদের মাথাব্যথার কারণ জানা নেই, কিন্তু মাঝে মাঝেই মাথাব্যথা হয়, তারা এটি নিয়মিত সকালে ও রাতে করবেন। সাধারণত সারা দিনে দুবারের বেশি আকুপ্রেশার করার প্রয়োজন নেই। যেকোনো বয়সী মানুষই এটি করতে পারবেন। এটার জন্য খাবারের আগে-পরের কোনো বিষয় নেই। মাথাব্যথা হলেই করতে পারবেন।
মাথাব্যথা দূর করতে দিনে অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। সেই সঙ্গে চিনি খাওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা উচিত, চিনি ব্যথা তৈরি করে।
আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
আমাদের অনেকের ধারণা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা মানেই মাথার বাজে কোনো অসুখ। কিন্তু ধারণাটি ঠিক নয়। মাথাব্যথার অনেক কারণ থাকে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন, মানুষের ১৫০ ধরনের মাথাব্যথা হয়ে থাকে! আমরা হয়তো দুই-তিন ধরনের ব্যথা চিনতে পারি সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান থেকে। এর বাইরেও অনেক ধরনের মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
সাধারণ মাথা ব্যথা দূর করতে ওষুধ থেকে টোটকা অনেক কিছু করে থাকি আমরা। প্রাকৃতিক উপায়ে মাথাব্যথা দূর করার জন্য আকুপ্রেশার একটি চমৎকার উপায়।
সাধারণত কয়েকটি কারণে মাথাব্যথা হতে পারে, যেগুলোতে এই আকুপ্রেশার কাজ করবে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় হলো:
» গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা, সঠিক সময়ে না খাওয়া ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা।
» পানির ঘাটতিজনিত (ডিহাইড্রেশন) মাথাব্যথা
» পারিবারিক অশান্তি ও মানসিক কষ্টের কারণে মাথা ব্যথা।
» সাইনোসাইটিসজনিত মাথাব্যথা।
» অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত মাথাব্যথা। অনেকের আবার মাথাব্যথার সঙ্গে মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যাও দেখা যায়।
» অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোনের ওষুধের প্রভাবজনিত মাথা ব্যথা।
হালকা মাথাব্যথা
এই মাথাব্যথা সবচেয়ে গুরুতর। আপনার এক চোখের পেছনে বা চারপাশে তীব্র জ্বলনযুক্ত ব্যথা হতে পারে। এটি থ্রবিং বা ধ্রুবক হতে পারে। ব্যথা এতটাই খারাপ হতে পারে যে ক্লাস্টার মাথাব্যথায় আক্রান্ত বেশির ভাগ লোক স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না এবং আক্রমণের সময় অস্থির লাগে, ছটফট করতে থাকে। ব্যথার পাশাপাশি চোখের পাতাও ব্যথা করে, চোখ লাল হয়ে যায়, পুঁটুলি ছোট হয়ে যায় বা চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
টেনশনে মাথাব্যথা
টেনশন হেডেক হলো প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ধরনের মাথাব্যথা। এতে হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা হয়ে থাকে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসে, আবার নিজে নিজেই চলে যায়। তাদের সাধারণত অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না।
ক্রমাগত মাথাব্যথা
এই ব্যথা হঠাৎ শুরু হয়ে এক দিন থেকে লাগাতার তিন মাস পর্যন্ত চলতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে তার বেশি সময় ধরেও চলতে পারে। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত নন কেন এই ধরনের মাথাব্যথা শুরু হয়। কখনো এটি সংক্রমণ, ফ্লু-এর মতো অসুস্থতা, অস্ত্রোপচার আবার কখনো মানসিক চাপ থেকেও এটা হতে পারে।
মাথাব্যথায় আকুপ্রেশার
মাথাব্যথার যেকোনো ধরনই আকুপ্রেশারের মাধ্যমে কমানো যায়। সে জন্য নিজে নিজেই আকুপ্রেশার করতে হবে।
প্রথমে আপনার দুহাতের তালু ভালো করে ঘষুন। দুই মিনিট হাতের তালু ঘষলেই দুহাত গরম হয়ে উঠবে। হাতের পয়েন্টে দুই মিনিট চাপ দিতে হবে। চাপ খুব আস্তে বা জোরেও দেওয়া যাবে না। দুই হাতে দুই মিনিট চাপ দেবেন।
তারপর কপালের ঠিক মাঝখানে, যাকে থার্ডআই বলা হয়, সেই পয়েন্টে একটি আঙুল রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে আঙুলটা একটু ঘোড়াতে থাকুন, সঙ্গে একটু চাপ বাড়ান। দুই মিনিট আকুপ্রেশার করুন।
মাথাব্যথা থাকলে এই দুটি পয়েন্টে আকুপ্রেশার করুন দুই মিনিট করে মোট ৬ মিনিট। আর যাদের মাথাব্যথার কারণ জানা নেই, কিন্তু মাঝে মাঝেই মাথাব্যথা হয়, তারা এটি নিয়মিত সকালে ও রাতে করবেন। সাধারণত সারা দিনে দুবারের বেশি আকুপ্রেশার করার প্রয়োজন নেই। যেকোনো বয়সী মানুষই এটি করতে পারবেন। এটার জন্য খাবারের আগে-পরের কোনো বিষয় নেই। মাথাব্যথা হলেই করতে পারবেন।
মাথাব্যথা দূর করতে দিনে অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। সেই সঙ্গে চিনি খাওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা উচিত, চিনি ব্যথা তৈরি করে।
আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
১৩ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৩ দিন আগে