মো. ইকবাল হোসেন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন টালমাটাল, ঠিক তখনই মাছ-মাংসের দামও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মাছ, মাংস ও ডিমের দামের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে অনেকের পক্ষে প্রাণিজ আমিষ খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রতিদিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। দামের এমন ঊর্ধ্বগতি বেশি দিন স্থায়ী হলে অনেক মানুষ অচিরেই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই অবস্থায় করণীয় হচ্ছে বিকল্প প্রোটিনের উৎস খোঁজা।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রতি কেজি শারীরিক ওজনের জন্য শূন্য দশমিক ৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিনের দরকার হয়।অর্থাৎ একজন মানুষের ওজন যদি ৭৫ কেজি হয়, তাহলে তাকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭৫ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।
আমাদের প্রোটিনের উৎস দুই প্রকারের। একটি প্রাণিজ প্রোটিন, একে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। অন্যটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, একে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনে সব ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতি থাকলেও সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে এক বা একাধিক এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকে।
মাছ-মাংসের ভিন্নতা বা প্রজাতিভেদে প্রতি ১০০ গ্রাম মাছ বা মাংস থেকে ১৯ থেকে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। একটি মাঝারি আকারের ডিম থেকেও আকারভেদে ছয় থেকে আট গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ মিলিলিটার দুধে ৪ থেকে ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।মাছ, মাংস, ডিম বা দুধ—এসব ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনের পরিবর্তে আমরা সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেয়ে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারি। সব ধরনের ডাল, শিম বিচি, কাঁঠাল বিচি, সয়াবিন, সব ধরনের বাদাম, মটরশুঁটি, বরবটি, রাজমা ও স্পিরুলিনা প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। প্রকারভেদে ডালে ১৮ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। যেমন ছোলার ডালে প্রায় ১৯ শতাংশ, মটর ডালে ২২ শতাংশ, মসুর ডালে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। অন্যদিকে রাজমাতে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। সব ধরনের বাদামে রয়েছে ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন।
উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় সয়াবিন থেকে। এতে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। সয়াবিন থেকে পাওয়া প্রোটিনের গুণমান অন্যান্য উদ্ভিজ্জ প্রোটিন অপেক্ষা একটু বেশি উন্নত মানের। প্রাণিজ প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে প্রথমে সয়াবিনকেই ভাবা যায়। সয়াবিন শুধু ডাল হিসেবে নয়, এখান থেকে অনেক ধরনের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার তৈরি হয়। সেগুলোর মধ্যে সয়া মিল্ক, সয়া মিট, সয়া টফু, সয়া দই, সয়া পনির অন্যতম। সয়া দুধ ল্যাকটোজ ফ্রি। তাই যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তারা সয়া দুধ খেতে পারেন। এখানে দুধের সমপরিমাণ প্রোটিনসহ অন্য পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
বর্তমানে প্রোটিনের উৎস হিসেবে স্পিরুলিনাও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি একধরনের সামুদ্রিক শৈবাল। প্রোটিন ছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এই শৈবাল। যদিও এটি একটু দামি, তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে পারলে খুব সহজলভ্য হবে এটি।
সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে যেসব এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকে, অন্য অনেক খাবারে সেগুলো বেশি থাকে। এমন দুটি খাবার একসঙ্গে রান্না করলে তাহলে আর কোনো এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকবে না।
যেমন ডালে লাইসিন নামক এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে না। কিন্তু চালে লাইসিন বেশি থাকে। যদি চাল আর ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা যায়, তাহলে খিচুড়ি থেকে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন পাওয়া যাবে। সঙ্গে একটু সবজি যোগ করলে এটি খুব কম খরচে উন্নত মানের প্রোটিনসমৃদ্ধ ব্যালান্স ডায়েট হয়ে যাবে। প্রোটিনের চাহিদার পাশাপাশি অন্য পুষ্টির চাহিদাও মিটবে।
ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন থেকে শুধু প্রোটিনের চাহিদা মিটলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন থেকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্য অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন সব ধরনের 
ভিটামিন ও মিনারেলের খুব ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচিত।
আবার ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন বেশি খেলে রক্তের কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে এসব রোগের ঝুঁকিও খুব কম থাকে। কারণ, ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনে (গরু বা খাসির মাংস) ব্যাড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে এবং গুড ফ্যাট কম থাকে। অন্যদিকে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে গুড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে, ব্যাড ফ্যাট কম থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন অপেক্ষা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনকে স্বাস্থ্যবান্ধবও বলা যায়।
প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খান। এতে যেমন কম খরচে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে, সেই সঙ্গে অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ হবে।
সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন টালমাটাল, ঠিক তখনই মাছ-মাংসের দামও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মাছ, মাংস ও ডিমের দামের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে অনেকের পক্ষে প্রাণিজ আমিষ খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রতিদিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। দামের এমন ঊর্ধ্বগতি বেশি দিন স্থায়ী হলে অনেক মানুষ অচিরেই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই অবস্থায় করণীয় হচ্ছে বিকল্প প্রোটিনের উৎস খোঁজা।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রতি কেজি শারীরিক ওজনের জন্য শূন্য দশমিক ৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিনের দরকার হয়।অর্থাৎ একজন মানুষের ওজন যদি ৭৫ কেজি হয়, তাহলে তাকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭৫ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।
আমাদের প্রোটিনের উৎস দুই প্রকারের। একটি প্রাণিজ প্রোটিন, একে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। অন্যটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, একে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনে সব ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতি থাকলেও সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে এক বা একাধিক এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকে।
মাছ-মাংসের ভিন্নতা বা প্রজাতিভেদে প্রতি ১০০ গ্রাম মাছ বা মাংস থেকে ১৯ থেকে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। একটি মাঝারি আকারের ডিম থেকেও আকারভেদে ছয় থেকে আট গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ মিলিলিটার দুধে ৪ থেকে ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।মাছ, মাংস, ডিম বা দুধ—এসব ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনের পরিবর্তে আমরা সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেয়ে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারি। সব ধরনের ডাল, শিম বিচি, কাঁঠাল বিচি, সয়াবিন, সব ধরনের বাদাম, মটরশুঁটি, বরবটি, রাজমা ও স্পিরুলিনা প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। প্রকারভেদে ডালে ১৮ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। যেমন ছোলার ডালে প্রায় ১৯ শতাংশ, মটর ডালে ২২ শতাংশ, মসুর ডালে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। অন্যদিকে রাজমাতে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। সব ধরনের বাদামে রয়েছে ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন।
উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় সয়াবিন থেকে। এতে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। সয়াবিন থেকে পাওয়া প্রোটিনের গুণমান অন্যান্য উদ্ভিজ্জ প্রোটিন অপেক্ষা একটু বেশি উন্নত মানের। প্রাণিজ প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে প্রথমে সয়াবিনকেই ভাবা যায়। সয়াবিন শুধু ডাল হিসেবে নয়, এখান থেকে অনেক ধরনের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার তৈরি হয়। সেগুলোর মধ্যে সয়া মিল্ক, সয়া মিট, সয়া টফু, সয়া দই, সয়া পনির অন্যতম। সয়া দুধ ল্যাকটোজ ফ্রি। তাই যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তারা সয়া দুধ খেতে পারেন। এখানে দুধের সমপরিমাণ প্রোটিনসহ অন্য পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
বর্তমানে প্রোটিনের উৎস হিসেবে স্পিরুলিনাও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি একধরনের সামুদ্রিক শৈবাল। প্রোটিন ছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এই শৈবাল। যদিও এটি একটু দামি, তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে পারলে খুব সহজলভ্য হবে এটি।
সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে যেসব এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকে, অন্য অনেক খাবারে সেগুলো বেশি থাকে। এমন দুটি খাবার একসঙ্গে রান্না করলে তাহলে আর কোনো এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকবে না।
যেমন ডালে লাইসিন নামক এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে না। কিন্তু চালে লাইসিন বেশি থাকে। যদি চাল আর ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা যায়, তাহলে খিচুড়ি থেকে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন পাওয়া যাবে। সঙ্গে একটু সবজি যোগ করলে এটি খুব কম খরচে উন্নত মানের প্রোটিনসমৃদ্ধ ব্যালান্স ডায়েট হয়ে যাবে। প্রোটিনের চাহিদার পাশাপাশি অন্য পুষ্টির চাহিদাও মিটবে।
ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন থেকে শুধু প্রোটিনের চাহিদা মিটলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন থেকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্য অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন সব ধরনের 
ভিটামিন ও মিনারেলের খুব ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচিত।
আবার ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন বেশি খেলে রক্তের কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে এসব রোগের ঝুঁকিও খুব কম থাকে। কারণ, ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনে (গরু বা খাসির মাংস) ব্যাড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে এবং গুড ফ্যাট কম থাকে। অন্যদিকে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে গুড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে, ব্যাড ফ্যাট কম থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন অপেক্ষা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনকে স্বাস্থ্যবান্ধবও বলা যায়।
প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খান। এতে যেমন কম খরচে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে, সেই সঙ্গে অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ হবে।
সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

মো. ইকবাল হোসেন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন টালমাটাল, ঠিক তখনই মাছ-মাংসের দামও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মাছ, মাংস ও ডিমের দামের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে অনেকের পক্ষে প্রাণিজ আমিষ খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রতিদিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। দামের এমন ঊর্ধ্বগতি বেশি দিন স্থায়ী হলে অনেক মানুষ অচিরেই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই অবস্থায় করণীয় হচ্ছে বিকল্প প্রোটিনের উৎস খোঁজা।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রতি কেজি শারীরিক ওজনের জন্য শূন্য দশমিক ৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিনের দরকার হয়।অর্থাৎ একজন মানুষের ওজন যদি ৭৫ কেজি হয়, তাহলে তাকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭৫ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।
আমাদের প্রোটিনের উৎস দুই প্রকারের। একটি প্রাণিজ প্রোটিন, একে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। অন্যটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, একে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনে সব ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতি থাকলেও সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে এক বা একাধিক এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকে।
মাছ-মাংসের ভিন্নতা বা প্রজাতিভেদে প্রতি ১০০ গ্রাম মাছ বা মাংস থেকে ১৯ থেকে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। একটি মাঝারি আকারের ডিম থেকেও আকারভেদে ছয় থেকে আট গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ মিলিলিটার দুধে ৪ থেকে ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।মাছ, মাংস, ডিম বা দুধ—এসব ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনের পরিবর্তে আমরা সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেয়ে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারি। সব ধরনের ডাল, শিম বিচি, কাঁঠাল বিচি, সয়াবিন, সব ধরনের বাদাম, মটরশুঁটি, বরবটি, রাজমা ও স্পিরুলিনা প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। প্রকারভেদে ডালে ১৮ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। যেমন ছোলার ডালে প্রায় ১৯ শতাংশ, মটর ডালে ২২ শতাংশ, মসুর ডালে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। অন্যদিকে রাজমাতে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। সব ধরনের বাদামে রয়েছে ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন।
উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় সয়াবিন থেকে। এতে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। সয়াবিন থেকে পাওয়া প্রোটিনের গুণমান অন্যান্য উদ্ভিজ্জ প্রোটিন অপেক্ষা একটু বেশি উন্নত মানের। প্রাণিজ প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে প্রথমে সয়াবিনকেই ভাবা যায়। সয়াবিন শুধু ডাল হিসেবে নয়, এখান থেকে অনেক ধরনের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার তৈরি হয়। সেগুলোর মধ্যে সয়া মিল্ক, সয়া মিট, সয়া টফু, সয়া দই, সয়া পনির অন্যতম। সয়া দুধ ল্যাকটোজ ফ্রি। তাই যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তারা সয়া দুধ খেতে পারেন। এখানে দুধের সমপরিমাণ প্রোটিনসহ অন্য পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
বর্তমানে প্রোটিনের উৎস হিসেবে স্পিরুলিনাও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি একধরনের সামুদ্রিক শৈবাল। প্রোটিন ছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এই শৈবাল। যদিও এটি একটু দামি, তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে পারলে খুব সহজলভ্য হবে এটি।
সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে যেসব এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকে, অন্য অনেক খাবারে সেগুলো বেশি থাকে। এমন দুটি খাবার একসঙ্গে রান্না করলে তাহলে আর কোনো এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকবে না।
যেমন ডালে লাইসিন নামক এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে না। কিন্তু চালে লাইসিন বেশি থাকে। যদি চাল আর ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা যায়, তাহলে খিচুড়ি থেকে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন পাওয়া যাবে। সঙ্গে একটু সবজি যোগ করলে এটি খুব কম খরচে উন্নত মানের প্রোটিনসমৃদ্ধ ব্যালান্স ডায়েট হয়ে যাবে। প্রোটিনের চাহিদার পাশাপাশি অন্য পুষ্টির চাহিদাও মিটবে।
ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন থেকে শুধু প্রোটিনের চাহিদা মিটলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন থেকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্য অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন সব ধরনের 
ভিটামিন ও মিনারেলের খুব ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচিত।
আবার ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন বেশি খেলে রক্তের কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে এসব রোগের ঝুঁকিও খুব কম থাকে। কারণ, ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনে (গরু বা খাসির মাংস) ব্যাড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে এবং গুড ফ্যাট কম থাকে। অন্যদিকে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে গুড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে, ব্যাড ফ্যাট কম থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন অপেক্ষা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনকে স্বাস্থ্যবান্ধবও বলা যায়।
প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খান। এতে যেমন কম খরচে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে, সেই সঙ্গে অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ হবে।
সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন টালমাটাল, ঠিক তখনই মাছ-মাংসের দামও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মাছ, মাংস ও ডিমের দামের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে অনেকের পক্ষে প্রাণিজ আমিষ খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রতিদিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। দামের এমন ঊর্ধ্বগতি বেশি দিন স্থায়ী হলে অনেক মানুষ অচিরেই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই অবস্থায় করণীয় হচ্ছে বিকল্প প্রোটিনের উৎস খোঁজা।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রতি কেজি শারীরিক ওজনের জন্য শূন্য দশমিক ৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিনের দরকার হয়।অর্থাৎ একজন মানুষের ওজন যদি ৭৫ কেজি হয়, তাহলে তাকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭৫ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।
আমাদের প্রোটিনের উৎস দুই প্রকারের। একটি প্রাণিজ প্রোটিন, একে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। অন্যটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, একে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনে সব ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতি থাকলেও সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে এক বা একাধিক এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকে।
মাছ-মাংসের ভিন্নতা বা প্রজাতিভেদে প্রতি ১০০ গ্রাম মাছ বা মাংস থেকে ১৯ থেকে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। একটি মাঝারি আকারের ডিম থেকেও আকারভেদে ছয় থেকে আট গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ মিলিলিটার দুধে ৪ থেকে ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।মাছ, মাংস, ডিম বা দুধ—এসব ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনের পরিবর্তে আমরা সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেয়ে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারি। সব ধরনের ডাল, শিম বিচি, কাঁঠাল বিচি, সয়াবিন, সব ধরনের বাদাম, মটরশুঁটি, বরবটি, রাজমা ও স্পিরুলিনা প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। প্রকারভেদে ডালে ১৮ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। যেমন ছোলার ডালে প্রায় ১৯ শতাংশ, মটর ডালে ২২ শতাংশ, মসুর ডালে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। অন্যদিকে রাজমাতে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। সব ধরনের বাদামে রয়েছে ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন।
উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় সয়াবিন থেকে। এতে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। সয়াবিন থেকে পাওয়া প্রোটিনের গুণমান অন্যান্য উদ্ভিজ্জ প্রোটিন অপেক্ষা একটু বেশি উন্নত মানের। প্রাণিজ প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে প্রথমে সয়াবিনকেই ভাবা যায়। সয়াবিন শুধু ডাল হিসেবে নয়, এখান থেকে অনেক ধরনের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার তৈরি হয়। সেগুলোর মধ্যে সয়া মিল্ক, সয়া মিট, সয়া টফু, সয়া দই, সয়া পনির অন্যতম। সয়া দুধ ল্যাকটোজ ফ্রি। তাই যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তারা সয়া দুধ খেতে পারেন। এখানে দুধের সমপরিমাণ প্রোটিনসহ অন্য পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
বর্তমানে প্রোটিনের উৎস হিসেবে স্পিরুলিনাও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি একধরনের সামুদ্রিক শৈবাল। প্রোটিন ছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এই শৈবাল। যদিও এটি একটু দামি, তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে পারলে খুব সহজলভ্য হবে এটি।
সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে যেসব এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকে, অন্য অনেক খাবারে সেগুলো বেশি থাকে। এমন দুটি খাবার একসঙ্গে রান্না করলে তাহলে আর কোনো এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকবে না।
যেমন ডালে লাইসিন নামক এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে না। কিন্তু চালে লাইসিন বেশি থাকে। যদি চাল আর ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা যায়, তাহলে খিচুড়ি থেকে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন পাওয়া যাবে। সঙ্গে একটু সবজি যোগ করলে এটি খুব কম খরচে উন্নত মানের প্রোটিনসমৃদ্ধ ব্যালান্স ডায়েট হয়ে যাবে। প্রোটিনের চাহিদার পাশাপাশি অন্য পুষ্টির চাহিদাও মিটবে।
ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন থেকে শুধু প্রোটিনের চাহিদা মিটলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন থেকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্য অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন সব ধরনের 
ভিটামিন ও মিনারেলের খুব ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচিত।
আবার ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন বেশি খেলে রক্তের কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে এসব রোগের ঝুঁকিও খুব কম থাকে। কারণ, ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনে (গরু বা খাসির মাংস) ব্যাড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে এবং গুড ফ্যাট কম থাকে। অন্যদিকে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনে গুড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে, ব্যাড ফ্যাট কম থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন অপেক্ষা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনকে স্বাস্থ্যবান্ধবও বলা যায়।
প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খান। এতে যেমন কম খরচে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে, সেই সঙ্গে অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ হবে।
সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল


সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আমিরাতের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়ামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকেরা প্রথমবারের মতো দেশটিতে স্তন ও ফুসফুসের ক্যানসার থেকে ‘টিউমার-ইনফিলট্রেটিং লিম্ফোসাইটস’ (টিআইএল) আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন।
এই পদ্ধতিতে রোগীর শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধী কোষকে ব্যবহার করে ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়। সাধারণ কেমোথেরাপি যেমন সুস্থ কোষ ও ক্যানসার কোষ উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেখানে টিআইএল থেরাপি ক্যানসার কোষকে নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করে ধ্বংস করে। প্রক্রিয়াটি হলো—রোগীর টিউমার থেকে রোগপ্রতিরোধী কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে তাদের সংখ্যা ও শক্তি বাড়ানো, তারপর তা রোগীর শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া।
আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টার এখন এই প্রযুক্তির উন্নয়নে দেশের প্রথম বিশেষায়িত কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান বিজ্ঞানী ড. জায়মা মাজোরা হেরেরা বলেন, ‘এটি এক ধরনের জীবন্ত থেরাপি, যা প্রতিটি রোগীর শরীরের জন্য আলাদাভাবে তৈরি হয়। অনেক সময় শেষ পর্যায়ের ক্যানসার রোগীরা শোনেন—তাদের জন্য সব চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু টিআইএল থেরাপি তাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই টি-সেলগুলোকে শক্তিশালী করছি, যেগুলো ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট ক্যানসার কোষ চিনে ফেলেছে। বিশ্বের অনেক দেশে ব্যর্থ চিকিৎসার পরও এই থেরাপি টিউমার সংকুচিত করতে সফল হয়েছে। আমরা চাই, এই সম্ভাবনাটি এখানকার রোগীরাও পান।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই থেরাপি বর্তমানে মেলানোমা, ফুসফুস, জরায়ুমুখ ও মাথা-ঘাড়ের ক্যানসারের মতো জটিল টিউমারে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ইয়েন্দ্রি ভেনচুরা জানিয়েছেন, এখন থেকে রোগীদের আর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে না—দেশেই তারা পাবেন সর্বাধুনিক ইমিউনোথেরাপির সুবিধা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সম্প্রতি তারা টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিরাময়ের লক্ষ্যে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজ নেফ্রো গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। প্রফেসর ভেনচুরা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা এমন এক চিকিৎসা তৈরি করতে পারব, যা শুধু স্টেম সেল নয়—মানব অগ্ন্যাশয় পুনর্গঠন করতেও সক্ষম হবে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আমিরাতের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়ামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকেরা প্রথমবারের মতো দেশটিতে স্তন ও ফুসফুসের ক্যানসার থেকে ‘টিউমার-ইনফিলট্রেটিং লিম্ফোসাইটস’ (টিআইএল) আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন।
এই পদ্ধতিতে রোগীর শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধী কোষকে ব্যবহার করে ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়। সাধারণ কেমোথেরাপি যেমন সুস্থ কোষ ও ক্যানসার কোষ উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেখানে টিআইএল থেরাপি ক্যানসার কোষকে নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করে ধ্বংস করে। প্রক্রিয়াটি হলো—রোগীর টিউমার থেকে রোগপ্রতিরোধী কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে তাদের সংখ্যা ও শক্তি বাড়ানো, তারপর তা রোগীর শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া।
আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টার এখন এই প্রযুক্তির উন্নয়নে দেশের প্রথম বিশেষায়িত কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান বিজ্ঞানী ড. জায়মা মাজোরা হেরেরা বলেন, ‘এটি এক ধরনের জীবন্ত থেরাপি, যা প্রতিটি রোগীর শরীরের জন্য আলাদাভাবে তৈরি হয়। অনেক সময় শেষ পর্যায়ের ক্যানসার রোগীরা শোনেন—তাদের জন্য সব চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু টিআইএল থেরাপি তাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই টি-সেলগুলোকে শক্তিশালী করছি, যেগুলো ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট ক্যানসার কোষ চিনে ফেলেছে। বিশ্বের অনেক দেশে ব্যর্থ চিকিৎসার পরও এই থেরাপি টিউমার সংকুচিত করতে সফল হয়েছে। আমরা চাই, এই সম্ভাবনাটি এখানকার রোগীরাও পান।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই থেরাপি বর্তমানে মেলানোমা, ফুসফুস, জরায়ুমুখ ও মাথা-ঘাড়ের ক্যানসারের মতো জটিল টিউমারে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ইয়েন্দ্রি ভেনচুরা জানিয়েছেন, এখন থেকে রোগীদের আর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে না—দেশেই তারা পাবেন সর্বাধুনিক ইমিউনোথেরাপির সুবিধা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সম্প্রতি তারা টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিরাময়ের লক্ষ্যে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজ নেফ্রো গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। প্রফেসর ভেনচুরা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা এমন এক চিকিৎসা তৈরি করতে পারব, যা শুধু স্টেম সেল নয়—মানব অগ্ন্যাশয় পুনর্গঠন করতেও সক্ষম হবে।’


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন টালমাটাল, ঠিক তখনই মাছ-মাংসের দামও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মাছ, মাংস ও ডিমের দামের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে অনেকের পক্ষে প্রাণিজ আমিষ খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
০৬ মে ২০২৩
দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯২৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৩৪৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯৪, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২০, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৯ হাজার ৩৫৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও অপরজন নারী। তাঁদের মধ্যে দুজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও আরও একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২৩, ৩২ ও ৫০ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার ২৩৪ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯২৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৩৪৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯৪, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২০, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৯ হাজার ৩৫৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও অপরজন নারী। তাঁদের মধ্যে দুজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও আরও একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২৩, ৩২ ও ৫০ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার ২৩৪ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন টালমাটাল, ঠিক তখনই মাছ-মাংসের দামও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মাছ, মাংস ও ডিমের দামের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে অনেকের পক্ষে প্রাণিজ আমিষ খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
০৬ মে ২০২৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’
ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।
ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’
ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।
ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন টালমাটাল, ঠিক তখনই মাছ-মাংসের দামও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মাছ, মাংস ও ডিমের দামের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে অনেকের পক্ষে প্রাণিজ আমিষ খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
০৬ মে ২০২৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন টালমাটাল, ঠিক তখনই মাছ-মাংসের দামও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মাছ, মাংস ও ডিমের দামের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে অনেকের পক্ষে প্রাণিজ আমিষ খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
০৬ মে ২০২৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে