স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সংখ্যা বাড়লেও আশঙ্কাজনক হারে সিজার বেড়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছি। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ডেলিভারির সংখ্যা বেড়েছে। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো সিজারের হার অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়েছে, এর পরিমাণ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই অনেক বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, একটি দেশে সর্বোচ্চ ১৫-২০ শতাংশ সিজার হতে পারে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এর সংখ্যা ৮০ শতাংশের বেশি। এসব হাসপাতালে নজরদারি বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে কীভাবে সিজারের পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়—সেই চেষ্টা করা হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা গত মাসে দেশের বেশ কিছু হাসপাতালে বৈকালিক সেবা কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম শুরু করব। হাসপাতালে সেবা দিতে গিয়ে প্রায়ই চিকিৎসকেরা নানা সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় রোগীর স্বজনেরা ক্ষোভে হাসপাতালে ভাঙচুর করে। এমনকি ভুল-বোঝাবুঝির কারণে মারামারি পর্যন্ত হয়। এসব সমস্যার সমাধানে আগামী সংসদেই স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনটি পাশের চেষ্টা করব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শুধু হাসপাতাল বানালেই হবে না, এগুলোতে দক্ষ জনবলও প্রয়োজন। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন লাখ লোক কাজ করে। জনবল ও সেবার দিক থেকে আমরা এখন সবচেয়ে বৃহৎ মন্ত্রণালয়। আমাদের চিকিৎসক-নার্স বাড়ছে। শুধু জনবল দিয়েই হবে না, পর্যাপ্ত ওষুধও দরকার। আশার দিক হলো, দেশে উৎপাদিত হচ্ছে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ। এসব ওষুধ আমরা বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যসেবায় অসংখ্য হাসপাতাল করলাম, কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মানুষ সেগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে কি না। যদিও বিষয়টি জটিল, তারপরও আমরা সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ৬০ হাজারে উন্নীত হয়েছে, কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যা পাঁচ হাজারো ছিল না। দেশে আশঙ্কাজনক হারে অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। ক্যানসার, কিডনি ও হার্ট অ্যাটাকে অসংখ্য লোক মারা যায়। আট বিভাগে আটটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি, আগামী বছর চালু হয়ে যাবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মোহা. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সংখ্যা বাড়লেও আশঙ্কাজনক হারে সিজার বেড়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছি। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ডেলিভারির সংখ্যা বেড়েছে। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো সিজারের হার অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়েছে, এর পরিমাণ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই অনেক বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, একটি দেশে সর্বোচ্চ ১৫-২০ শতাংশ সিজার হতে পারে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এর সংখ্যা ৮০ শতাংশের বেশি। এসব হাসপাতালে নজরদারি বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে কীভাবে সিজারের পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়—সেই চেষ্টা করা হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা গত মাসে দেশের বেশ কিছু হাসপাতালে বৈকালিক সেবা কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম শুরু করব। হাসপাতালে সেবা দিতে গিয়ে প্রায়ই চিকিৎসকেরা নানা সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় রোগীর স্বজনেরা ক্ষোভে হাসপাতালে ভাঙচুর করে। এমনকি ভুল-বোঝাবুঝির কারণে মারামারি পর্যন্ত হয়। এসব সমস্যার সমাধানে আগামী সংসদেই স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনটি পাশের চেষ্টা করব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শুধু হাসপাতাল বানালেই হবে না, এগুলোতে দক্ষ জনবলও প্রয়োজন। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন লাখ লোক কাজ করে। জনবল ও সেবার দিক থেকে আমরা এখন সবচেয়ে বৃহৎ মন্ত্রণালয়। আমাদের চিকিৎসক-নার্স বাড়ছে। শুধু জনবল দিয়েই হবে না, পর্যাপ্ত ওষুধও দরকার। আশার দিক হলো, দেশে উৎপাদিত হচ্ছে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ। এসব ওষুধ আমরা বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যসেবায় অসংখ্য হাসপাতাল করলাম, কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মানুষ সেগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে কি না। যদিও বিষয়টি জটিল, তারপরও আমরা সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ৬০ হাজারে উন্নীত হয়েছে, কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যা পাঁচ হাজারো ছিল না। দেশে আশঙ্কাজনক হারে অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। ক্যানসার, কিডনি ও হার্ট অ্যাটাকে অসংখ্য লোক মারা যায়। আট বিভাগে আটটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি, আগামী বছর চালু হয়ে যাবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মোহা. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মারাত্মক সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে অধিকাংশ গরিব দেশের লোকজন প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক পায় না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই গরিব দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশও। গবেষণায় বলা হয়েছে, গরিব দেশগুলোতে মারাত্মক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা ওষুধ-প্রতিরোধী সংক্রমণে আক্রান্ত মাত্র...
১ ঘণ্টা আগেগৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
১ দিন আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
২ দিন আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
২ দিন আগে