ডা. শাফেয়ী আলম
প্রথমে বলে নেওয়া ভালো, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে রোজা থাকার ব্যাপারে কোনো বাধা বা নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে কিছু বিষয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা প্রয়োজন।
রমজান মাসে আমাদের খাদ্য খাওয়ার সময়সূচি, ঘুম ও অন্যান্য রুটিনে হঠাৎ পরিবর্তন আসে। দীর্ঘ সময় পানিসহ সব ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরতি থাকি। রাতের ঘুমও নিরবচ্ছিন্ন হয় না। সারা দিন না খেয়ে থাকায় অনেক সময় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। আবার সারা দিন খালি পেটে থাকার পর ইফতারিতে একসঙ্গে অনেকটা খাবার, বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর ভাজাপোড়া খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধিই শুধু নয়, হার্ট অ্যাটাকেরও ঝুঁকি থাকে। এদিকে সাহ্রির জন্য রাতের ঘুম নিরবচ্ছিন্ন না হলেও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আমাদের রমজানের রুটিন সাজিয়ে নিতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ
সঠিক খাদ্য নির্বাচন: উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা তেল-চর্বি, ভাজাপোড়া এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার বাদ দেবেন। খাবারে অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার ও রেস্টুরেন্টের খাবারে টেস্টিং সল্ট এবং বিভিন্ন রকম সস ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর লবণ থাকে, যা সবার জন্য, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফলে বাইরের খাবারের বদলে ঘরে তৈরি কম তেল-মসলার খাবার, স্যুপজাতীয় খাবার, ফল-মূল ও দই খাওয়া উচিত। ইফতারে একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প করে বারে বারে খাওয়া যেতে পারে। খাবারের সঙ্গে প্রয়োজনমতো পানিও পান করবেন। পানির চাহিদা ঠিকমতো পূরণ না হলে রক্তচাপ কমে যাওয়া ছাড়াও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতা রোধে পানি পানের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় তরলজাতীয় বিভিন্ন খাবার রাখবেন।
শরীরচর্চা বা ব্যায়াম: শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সঠিক খাবারের পাশাপাশি কায়িক শ্রমের বিকল্প নেই। তবে রোজার সময় খালি পেটে ব্যায়াম না করাই ভালো। ইফতারের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে। রমজান মাসে শরীরচর্চা হিসেবে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা হাঁটাই ভালো।
পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের সঙ্গে রক্তচাপের সম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত ভালো ঘুম না হলে রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। রোজার মাসে সাহ্রির কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। রক্তচাপে এর প্রভাব পড়তে পারে। এ জন্য রোজার মাসেও আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর সময়টা এগিয়ে আনতে পারলে ভালো। নিজেদের দৈনন্দিন রুটিনের সঙ্গে মিলিয়ে সাহ্রির আগে-পরে ঘুমিয়ে ঘুমের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
ওষুধ সেবন: উচ্চ রক্তচাপের ওষুধগুলো সাধারণত দিনে একবার বা দুবার খেতে হয়। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওষুধ গ্রহণ করতে হয়, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ার সময় এবং ওষুধের মাত্রা ঠিক করে নেবেন। সঠিক খাবারের পাশাপাশি রোজার সময় ঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়াও জরুরি। সকাল ও রাতের ওষুধ সাহ্রি এবং ইফতারের সময় ওষুধের ধরন অনুযায়ী ভাগ করে নিতে হবে। কোন বেলার ওষুধ কখন খেতে হবে, তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সমন্বয় করে নিতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে একজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যা আমাদের শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রমজান মাসে এমনিতেই পানি কম খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা কমাতে হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের কোনো ওষুধ বন্ধ, পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না।
ডা. শাফেয়ী আলম, মেডিকেল অফিসার, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গাজীপুর
প্রথমে বলে নেওয়া ভালো, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে রোজা থাকার ব্যাপারে কোনো বাধা বা নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে কিছু বিষয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা প্রয়োজন।
রমজান মাসে আমাদের খাদ্য খাওয়ার সময়সূচি, ঘুম ও অন্যান্য রুটিনে হঠাৎ পরিবর্তন আসে। দীর্ঘ সময় পানিসহ সব ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরতি থাকি। রাতের ঘুমও নিরবচ্ছিন্ন হয় না। সারা দিন না খেয়ে থাকায় অনেক সময় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। আবার সারা দিন খালি পেটে থাকার পর ইফতারিতে একসঙ্গে অনেকটা খাবার, বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর ভাজাপোড়া খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধিই শুধু নয়, হার্ট অ্যাটাকেরও ঝুঁকি থাকে। এদিকে সাহ্রির জন্য রাতের ঘুম নিরবচ্ছিন্ন না হলেও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আমাদের রমজানের রুটিন সাজিয়ে নিতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ
সঠিক খাদ্য নির্বাচন: উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা তেল-চর্বি, ভাজাপোড়া এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার বাদ দেবেন। খাবারে অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার ও রেস্টুরেন্টের খাবারে টেস্টিং সল্ট এবং বিভিন্ন রকম সস ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর লবণ থাকে, যা সবার জন্য, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফলে বাইরের খাবারের বদলে ঘরে তৈরি কম তেল-মসলার খাবার, স্যুপজাতীয় খাবার, ফল-মূল ও দই খাওয়া উচিত। ইফতারে একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প করে বারে বারে খাওয়া যেতে পারে। খাবারের সঙ্গে প্রয়োজনমতো পানিও পান করবেন। পানির চাহিদা ঠিকমতো পূরণ না হলে রক্তচাপ কমে যাওয়া ছাড়াও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতা রোধে পানি পানের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় তরলজাতীয় বিভিন্ন খাবার রাখবেন।
শরীরচর্চা বা ব্যায়াম: শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সঠিক খাবারের পাশাপাশি কায়িক শ্রমের বিকল্প নেই। তবে রোজার সময় খালি পেটে ব্যায়াম না করাই ভালো। ইফতারের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে। রমজান মাসে শরীরচর্চা হিসেবে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা হাঁটাই ভালো।
পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের সঙ্গে রক্তচাপের সম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত ভালো ঘুম না হলে রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। রোজার মাসে সাহ্রির কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। রক্তচাপে এর প্রভাব পড়তে পারে। এ জন্য রোজার মাসেও আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর সময়টা এগিয়ে আনতে পারলে ভালো। নিজেদের দৈনন্দিন রুটিনের সঙ্গে মিলিয়ে সাহ্রির আগে-পরে ঘুমিয়ে ঘুমের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
ওষুধ সেবন: উচ্চ রক্তচাপের ওষুধগুলো সাধারণত দিনে একবার বা দুবার খেতে হয়। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওষুধ গ্রহণ করতে হয়, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ার সময় এবং ওষুধের মাত্রা ঠিক করে নেবেন। সঠিক খাবারের পাশাপাশি রোজার সময় ঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়াও জরুরি। সকাল ও রাতের ওষুধ সাহ্রি এবং ইফতারের সময় ওষুধের ধরন অনুযায়ী ভাগ করে নিতে হবে। কোন বেলার ওষুধ কখন খেতে হবে, তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সমন্বয় করে নিতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে একজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যা আমাদের শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রমজান মাসে এমনিতেই পানি কম খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা কমাতে হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের কোনো ওষুধ বন্ধ, পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না।
ডা. শাফেয়ী আলম, মেডিকেল অফিসার, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গাজীপুর
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
২ দিন আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
২ দিন আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
৩ দিন আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
৩ দিন আগে