লিনা আকতার
ইনসুলিনের প্রধান কাজগুলোর একটি হলো রক্তপ্রবাহ থেকে গ্লুকোজকে কোষে স্থানান্তর করা, যাতে এটি শক্তির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু শরীর যখন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, অগ্ন্যাশয় তখন কোষগুলোকে আরও গ্লুকোজ গ্রহণ করতে বাধ্য করে। এই উচ্চমাত্রা শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে। ডায়াবেটিস, পিসিওসসহ নানা রোগ তৈরি হয় শরীরে। এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঝুঁকির কিছু কারণ—
আশার কথা হলো, খাদ্য ও জীবনধারা পরিবর্তন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।
কম গ্লাইসেমিক ধরনের শর্করাযুক্ত খাবার
সব ধরনের শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট ব্লাড সুগার বাড়ায়। তবে চিনিযুক্ত বা প্রক্রিয়জাত সাদা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত সুগার বাড়ায়। অন্যদিকে কম গ্লাইসেমিকযুক্ত খাবার রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় ধীরে ধীরে। এ ধরনের খাবার রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এগুলোর মধ্যে আছে লাল চাল, লাল আটা, মটরশুঁটি ইত্যাদি।
পরিমিত শর্করা গ্রহণ করুন
ইনসুলিন সংবেদনশীল প্রত্যেক ব্যক্তিকে শর্করা কমাতে হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। তবে শর্করাজাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, সারা দিনে শর্করাযুক্ত খাবার পরিমিত পরিমাণে খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় উপকার
পাওয়া যায়।
শর্করাযুক্ত খাবারে মানসম্মত চর্বি ওপ্রোটিন যোগ করা
শর্করাযুক্ত খাবারের সঙ্গে চর্বি ও প্রোটিন যোগ করলে রক্তে শর্করার ওপর গ্লাইসেমিকের প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে।
আঁশজাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে
আঁশ শরীরে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওজন কমানোসহ বিভিন্ন উপকার করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ডায়েটে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্যসহ ৫০ গ্রাম আঁশ যোগ করে; তাদের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয়।
পলিফেনলসমৃদ্ধ খাবার খান
উদ্ভিদ রাসায়নিক পলিফেনল প্রায় সব ফল ও সবজিতে পাওয়া যায়। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য আছে। এগুলো শরীরের ক্ষতিকর কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, যেমন গ্রিন টি, ডার্ক চকলেট, আপেল, ব্লুবেরি, লাল আঙুর ইত্যাদি।
ম্যাগনেশিয়াম
শরীর যে খনিজ তৈরি করতে পারে না, তার নাম ম্যাগনেশিয়াম। কিন্তু এই উপকরণ প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়। ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে পালংশাক, বাদাম, ডার্ক চকলেট, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি।
ক্রোমিয়াম
এ ধরনের খাবার শরীরের ক্ষতিকর কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ক্রোমিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের উৎস হলো রসুন, আলু, কমলা, বার্লি, ওটস ইত্যাদি।
দারুচিনি
দারুচিনি শর্করার শোষণ ধীর করে। এটি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হ্রাস করে। এর প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ডায়াবেটিস কমাতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
ভিনেগার
গবেষণায় দেখা গেছে, শর্করাসমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ভিনেগার খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড শর্করার শোষণ ধীর করে। এ অবস্থা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
গ্লাইসেমিক সূচকের ওপর প্রভাব
কিছু শর্করাজাতীয় খাবার ঠান্ডা হতে দিন, যেমন আলু রান্না করার পর ঠান্ডা করুন। একই কথা চাল ও পান্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ছাড়া খাবার যত বেশি পাকা হবে, তত বেশি গ্লাইসেমিক সূচক বাড়বে।
পরামর্শ দিয়েছেন: লিনা আকতার, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর
ইনসুলিনের প্রধান কাজগুলোর একটি হলো রক্তপ্রবাহ থেকে গ্লুকোজকে কোষে স্থানান্তর করা, যাতে এটি শক্তির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু শরীর যখন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, অগ্ন্যাশয় তখন কোষগুলোকে আরও গ্লুকোজ গ্রহণ করতে বাধ্য করে। এই উচ্চমাত্রা শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে। ডায়াবেটিস, পিসিওসসহ নানা রোগ তৈরি হয় শরীরে। এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঝুঁকির কিছু কারণ—
আশার কথা হলো, খাদ্য ও জীবনধারা পরিবর্তন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।
কম গ্লাইসেমিক ধরনের শর্করাযুক্ত খাবার
সব ধরনের শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট ব্লাড সুগার বাড়ায়। তবে চিনিযুক্ত বা প্রক্রিয়জাত সাদা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত সুগার বাড়ায়। অন্যদিকে কম গ্লাইসেমিকযুক্ত খাবার রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় ধীরে ধীরে। এ ধরনের খাবার রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এগুলোর মধ্যে আছে লাল চাল, লাল আটা, মটরশুঁটি ইত্যাদি।
পরিমিত শর্করা গ্রহণ করুন
ইনসুলিন সংবেদনশীল প্রত্যেক ব্যক্তিকে শর্করা কমাতে হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। তবে শর্করাজাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, সারা দিনে শর্করাযুক্ত খাবার পরিমিত পরিমাণে খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় উপকার
পাওয়া যায়।
শর্করাযুক্ত খাবারে মানসম্মত চর্বি ওপ্রোটিন যোগ করা
শর্করাযুক্ত খাবারের সঙ্গে চর্বি ও প্রোটিন যোগ করলে রক্তে শর্করার ওপর গ্লাইসেমিকের প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে।
আঁশজাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে
আঁশ শরীরে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওজন কমানোসহ বিভিন্ন উপকার করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ডায়েটে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্যসহ ৫০ গ্রাম আঁশ যোগ করে; তাদের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয়।
পলিফেনলসমৃদ্ধ খাবার খান
উদ্ভিদ রাসায়নিক পলিফেনল প্রায় সব ফল ও সবজিতে পাওয়া যায়। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য আছে। এগুলো শরীরের ক্ষতিকর কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, যেমন গ্রিন টি, ডার্ক চকলেট, আপেল, ব্লুবেরি, লাল আঙুর ইত্যাদি।
ম্যাগনেশিয়াম
শরীর যে খনিজ তৈরি করতে পারে না, তার নাম ম্যাগনেশিয়াম। কিন্তু এই উপকরণ প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়। ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে পালংশাক, বাদাম, ডার্ক চকলেট, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি।
ক্রোমিয়াম
এ ধরনের খাবার শরীরের ক্ষতিকর কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ক্রোমিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের উৎস হলো রসুন, আলু, কমলা, বার্লি, ওটস ইত্যাদি।
দারুচিনি
দারুচিনি শর্করার শোষণ ধীর করে। এটি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হ্রাস করে। এর প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ডায়াবেটিস কমাতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
ভিনেগার
গবেষণায় দেখা গেছে, শর্করাসমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ভিনেগার খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড শর্করার শোষণ ধীর করে। এ অবস্থা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
গ্লাইসেমিক সূচকের ওপর প্রভাব
কিছু শর্করাজাতীয় খাবার ঠান্ডা হতে দিন, যেমন আলু রান্না করার পর ঠান্ডা করুন। একই কথা চাল ও পান্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ছাড়া খাবার যত বেশি পাকা হবে, তত বেশি গ্লাইসেমিক সূচক বাড়বে।
পরামর্শ দিয়েছেন: লিনা আকতার, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১২ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১২ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১২ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে