আলমগীর আলম
প্রকৃতি আমাদের দিনের বেলা কাজ করার জন্য শরীরে যাবতীয় ব্যবস্থা করে রেখেছে। আর রাতে ঘুমের মাধ্যমে শরীরকে পূর্ণ বিশ্রাম দিয়ে আবার নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি জোগানোর ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। তবে এখন আমরা অনেকে রাতে কাজ করি আর দিনে ঘুমাই। এমন চলতে থাকলে কয়েক দিন পর শরীরে সার্কেডিয়ান রিদম অকার্যকর হয়ে পড়ে। তখন আর ঘুম আসে না। এমন হলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা হয়। তারপর কিছু দিন যেতেই ঘুমের ওষুধে আসক্ত হয়ে পড়ার মতো বদ অভ্যাস হয়ে যায়। অথচ প্রাকৃতিক নিয়মে ঘুম ঠিক করা যায়।
ঘুম না হলে যা হয়
ঘুম না হলে শরীরে নানান ধরনের সমস্যা হতে থাকে। এক রাত না ঘুমালে পরদিন ক্লান্ত লাগবে। কিন্তু এতে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হবে না। তবে বেশ কয়েক রাত ঘুম না হলে সমস্যা বাড়তে থাকবে। সেগুলোর মধ্যে আছে:
» সব সময় ক্লান্ত লাগা
» দিনের বেলা চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসা
» কাজে মনঃসংযোগ করতে অসুবিধা হওয়া
» সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হওয়া
» রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
» ওজন বাড়া
» ডায়াবেটিসের আশঙ্কা তৈরি হওয়া।
দুই ধরনের ঘুম
রেম: সারা রাতের পাঁচ ভাগের এক ভাগ আমাদের এই ঘুমে কাটে। রেম ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক সজাগ থাকে, মাংসপেশি শিথিল থাকে, চোখ এদিক থেকে ওদিকে ঘুরতে থাকে এবং মানুষ স্বপ্ন দেখে।
নন–রেম: এই ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় থাকে, তবে শরীর নড়াচড়া করতে পারে। এ সময় হরমোন নিঃসৃত হয় এবং দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর আবার সতেজ হয়ে ওঠে। নন–রেম ঘুমের মধ্যে একটি ভালো ঘুম হচ্ছে ‘স্লো ওয়েভ ঘুম’। এ ঘুম সহজে ভাঙতে চায় না। ভেঙে গেলে চারপাশ সম্বন্ধে স্বাভাবিক সচেতনতা থাকে না।
সুস্থ থাকতে হলে আমাদের এমন ঘুম দরকার।
ঘুমের ওষুধ খেলে যা হয়
বহু বছর ধরে মানুষ ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু এখন আমরা জানি যে এগুলো বেশি দিন কাজ করে না। ঘুম না হলে পরদিন শরীর ক্লান্ত ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কাজের ক্ষমতা কমে যায়। সে জন্য ওষুধের পরিমাণ বাড়াতে হয়। ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। বেশি দিন ব্যবহার করলে ঘুমের ওষুধের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়।
প্রাকৃতিক নিদান
ঘুমের আগে এক বালতি পানি নিন। পানিতে পায়ের পাতা টাকনু পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখুন। ঠান্ডাজনিত সমস্যা না থাকলে পানিতে কয়েকটা কিউব বরফ দিয়ে রাখুন। ঠিক ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পা ভালো করে মুছে শুয়ে পড়ুন। দেখবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে কতটা প্রাণময় লাগে।
কয়েক দিন এই কাজ করলে আপনার সার্কেডিয়ান রিদম ঠিক হতে শুরু করবে। তখন অ্যালার্ম ছাড়া একই সময়ে ঘুম ভাঙতে শুরু করবে। এমন হলে বুঝবেন, শরীরে ছন্দ ফিরে আসতে শুরু করেছে।
ঘুমের আগে যে কাজগুলো করতে নেই
» কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার খাবেন না।
» রাতে দুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বিকেলে খান।
» ঘুমের অন্তত আধা ঘণ্টা আগে ডিভাইস বন্ধ করুন।
» ঘুমের ১৫ মিনিট আগে ঘর অন্ধকার করুন।
» ঘুমের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।
অনেকে কাজের কারণে রাতে ঘুমাতে পারেন না। এটি ধীরে ধীরে মারাত্মক ব্যাধির দিকে নিয়ে যাবে। সবার আগে হজমশক্তি দুর্বল হতে থাকবে। তারপর লিভারে সমস্যা দেখা দেবে। তাই ঘুমের জন্য রাতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
প্রকৃতি আমাদের দিনের বেলা কাজ করার জন্য শরীরে যাবতীয় ব্যবস্থা করে রেখেছে। আর রাতে ঘুমের মাধ্যমে শরীরকে পূর্ণ বিশ্রাম দিয়ে আবার নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি জোগানোর ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। তবে এখন আমরা অনেকে রাতে কাজ করি আর দিনে ঘুমাই। এমন চলতে থাকলে কয়েক দিন পর শরীরে সার্কেডিয়ান রিদম অকার্যকর হয়ে পড়ে। তখন আর ঘুম আসে না। এমন হলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা হয়। তারপর কিছু দিন যেতেই ঘুমের ওষুধে আসক্ত হয়ে পড়ার মতো বদ অভ্যাস হয়ে যায়। অথচ প্রাকৃতিক নিয়মে ঘুম ঠিক করা যায়।
ঘুম না হলে যা হয়
ঘুম না হলে শরীরে নানান ধরনের সমস্যা হতে থাকে। এক রাত না ঘুমালে পরদিন ক্লান্ত লাগবে। কিন্তু এতে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হবে না। তবে বেশ কয়েক রাত ঘুম না হলে সমস্যা বাড়তে থাকবে। সেগুলোর মধ্যে আছে:
» সব সময় ক্লান্ত লাগা
» দিনের বেলা চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসা
» কাজে মনঃসংযোগ করতে অসুবিধা হওয়া
» সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হওয়া
» রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
» ওজন বাড়া
» ডায়াবেটিসের আশঙ্কা তৈরি হওয়া।
দুই ধরনের ঘুম
রেম: সারা রাতের পাঁচ ভাগের এক ভাগ আমাদের এই ঘুমে কাটে। রেম ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক সজাগ থাকে, মাংসপেশি শিথিল থাকে, চোখ এদিক থেকে ওদিকে ঘুরতে থাকে এবং মানুষ স্বপ্ন দেখে।
নন–রেম: এই ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় থাকে, তবে শরীর নড়াচড়া করতে পারে। এ সময় হরমোন নিঃসৃত হয় এবং দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর আবার সতেজ হয়ে ওঠে। নন–রেম ঘুমের মধ্যে একটি ভালো ঘুম হচ্ছে ‘স্লো ওয়েভ ঘুম’। এ ঘুম সহজে ভাঙতে চায় না। ভেঙে গেলে চারপাশ সম্বন্ধে স্বাভাবিক সচেতনতা থাকে না।
সুস্থ থাকতে হলে আমাদের এমন ঘুম দরকার।
ঘুমের ওষুধ খেলে যা হয়
বহু বছর ধরে মানুষ ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু এখন আমরা জানি যে এগুলো বেশি দিন কাজ করে না। ঘুম না হলে পরদিন শরীর ক্লান্ত ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কাজের ক্ষমতা কমে যায়। সে জন্য ওষুধের পরিমাণ বাড়াতে হয়। ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। বেশি দিন ব্যবহার করলে ঘুমের ওষুধের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়।
প্রাকৃতিক নিদান
ঘুমের আগে এক বালতি পানি নিন। পানিতে পায়ের পাতা টাকনু পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখুন। ঠান্ডাজনিত সমস্যা না থাকলে পানিতে কয়েকটা কিউব বরফ দিয়ে রাখুন। ঠিক ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পা ভালো করে মুছে শুয়ে পড়ুন। দেখবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে কতটা প্রাণময় লাগে।
কয়েক দিন এই কাজ করলে আপনার সার্কেডিয়ান রিদম ঠিক হতে শুরু করবে। তখন অ্যালার্ম ছাড়া একই সময়ে ঘুম ভাঙতে শুরু করবে। এমন হলে বুঝবেন, শরীরে ছন্দ ফিরে আসতে শুরু করেছে।
ঘুমের আগে যে কাজগুলো করতে নেই
» কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার খাবেন না।
» রাতে দুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বিকেলে খান।
» ঘুমের অন্তত আধা ঘণ্টা আগে ডিভাইস বন্ধ করুন।
» ঘুমের ১৫ মিনিট আগে ঘর অন্ধকার করুন।
» ঘুমের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।
অনেকে কাজের কারণে রাতে ঘুমাতে পারেন না। এটি ধীরে ধীরে মারাত্মক ব্যাধির দিকে নিয়ে যাবে। সবার আগে হজমশক্তি দুর্বল হতে থাকবে। তারপর লিভারে সমস্যা দেখা দেবে। তাই ঘুমের জন্য রাতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২০৯ জন রোগী।
১৮ ঘণ্টা আগেযেকোনো অপারেশনের আগে রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ভয় বা দুশ্চিন্তা কাজ করে। এই ভয় অমূলকও নয়। কারণ, অপারেশন মানেই কাটাছেঁড়া, অজ্ঞান থেকে জ্ঞান ফিরবে কি না, সে চিন্তা মাথায় কাজ করে। তা ছাড়া অপারেশনের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়ার বিষয়ে জানাশোনা ও সতর্কতার স্পষ্ট ধারণা থাকে না বেশির ভাগ মানুষের।
১ দিন আগেডায়াবেটিসের কারণে আপনার মুখ ও দাঁতে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা; যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি শুধু হার্ট, কিডনি অথবা চোখেরই ক্ষতি করে না, বরং দাঁত ও মাড়ির ওপরও ফেলতে পারে মারাত্মক প্রভাব।
১ দিন আগেআপনি সুস্থ অবস্থায় রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়ার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছেন। দেখলেন, মুখটা একদিকে বেঁকে গেছে। চোখ পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। মুখে পানি নিয়ে ঠিকমতো কুলি করতে পারছেন না। এমন সমস্যা অনেকের দেখা দেয়। এই সমস্যাই আসলে বেলস পালসি বা ফেশিয়াল পালসি।
১ দিন আগে