ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
আপনি জেনে অবাক হবেন যে চোখের রোগগুলো নারীদেরই বেশি হয়। এসব রোগের মধ্যে শুষ্ক চোখ, গ্লুকোমা, ছানি, বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয়, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি এবং থাইরয়েডের কারণে চোখের রোগ অন্যতম প্রধান।
আয়ুষ্কাল
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের বিভিন্ন রোগ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নারীরা ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো রোগে ভোগেন না। অন্যদিকে পুরুষেরা সাধারণত ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। এ জন্য বয়সকে চোখের বিভিন্ন রোগ হওয়ার প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
হরমোনগত কারণ
বয়ঃসন্ধিকাল এবং গর্ভধারণ নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা দৃষ্টিকে প্রভাবিত করে।
জন্মবিরতিকরণ বড়ি
কিছু জন্মবিরতিকরণ বড়ি দৃষ্টির সমস্যার জন্য দায়ী। এসব বড়িতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন থাকে, যা চোখের রোগের জন্য দায়ী।
রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ
রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ হলো নারীদের জীবনের এমন একটি সময়, যখন তাঁদের রজস্রাব সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা আর গর্ভধারণে সক্ষম থাকেন না। এটি সাধারণত ৪৯ থেকে ৫২ বছর বয়সে হয়ে থাকে। এ সময় নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে নারীদের শুষ্ক চোখসহ চোখের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
অটোইমিউন রোগ
শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা যখন নিজ শরীরের ক্ষতি করে, তখন তাকে অটোইমিউন রোগ বলে। যদিও এর সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ধারণা করা হয়, অটোইমিউন রোগ পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হয়। সাধারণত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, জগ্রেন্স সিনড্রোম এবং গ্রেভস রোগ নামের অটোইমিউন রোগ চোখকে প্রভাবিত করে। এসব রোগের লক্ষণের মধ্যে চোখ লাল হওয়া, চোখে ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং চোখের অস্বস্তি উল্লেখযোগ্য।
অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ করা
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ, অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ এবং দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ। এসব ওষুধ চোখের দৃষ্টিকে প্রভাবিত করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মো. আরমান হোসেন রনি,চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
আপনি জেনে অবাক হবেন যে চোখের রোগগুলো নারীদেরই বেশি হয়। এসব রোগের মধ্যে শুষ্ক চোখ, গ্লুকোমা, ছানি, বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয়, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি এবং থাইরয়েডের কারণে চোখের রোগ অন্যতম প্রধান।
আয়ুষ্কাল
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের বিভিন্ন রোগ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নারীরা ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো রোগে ভোগেন না। অন্যদিকে পুরুষেরা সাধারণত ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। এ জন্য বয়সকে চোখের বিভিন্ন রোগ হওয়ার প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
হরমোনগত কারণ
বয়ঃসন্ধিকাল এবং গর্ভধারণ নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা দৃষ্টিকে প্রভাবিত করে।
জন্মবিরতিকরণ বড়ি
কিছু জন্মবিরতিকরণ বড়ি দৃষ্টির সমস্যার জন্য দায়ী। এসব বড়িতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন থাকে, যা চোখের রোগের জন্য দায়ী।
রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ
রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ হলো নারীদের জীবনের এমন একটি সময়, যখন তাঁদের রজস্রাব সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা আর গর্ভধারণে সক্ষম থাকেন না। এটি সাধারণত ৪৯ থেকে ৫২ বছর বয়সে হয়ে থাকে। এ সময় নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে নারীদের শুষ্ক চোখসহ চোখের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
অটোইমিউন রোগ
শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা যখন নিজ শরীরের ক্ষতি করে, তখন তাকে অটোইমিউন রোগ বলে। যদিও এর সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ধারণা করা হয়, অটোইমিউন রোগ পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হয়। সাধারণত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, জগ্রেন্স সিনড্রোম এবং গ্রেভস রোগ নামের অটোইমিউন রোগ চোখকে প্রভাবিত করে। এসব রোগের লক্ষণের মধ্যে চোখ লাল হওয়া, চোখে ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং চোখের অস্বস্তি উল্লেখযোগ্য।
অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ করা
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ, অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ এবং দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ। এসব ওষুধ চোখের দৃষ্টিকে প্রভাবিত করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মো. আরমান হোসেন রনি,চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে