বাপ্পা শান্তনু
ফুসফুসে অসংখ্য সূক্ষ্ম রক্তজালক পরিবেষ্টিত বায়ুপ্রকোষ্ঠ থাকে। বায়ুদূষণসহ বিভিন্ন কারণে সেগুলোতে ময়লা জমলে ঠিকভাবে দম নেওয়া যায় না। ফুসফুসের এমন সমস্যার সঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে দম নেওয়ার সঙ্গে পরিমাণমতো অক্সিজেন রক্তে প্রবেশ করে না। তখন শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
ফুসফুস সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে প্রাণায়াম খুব ভালো ভূমিকা পালন করে। ভস্ত্রিকা, অনুলোম-বিলোম ও ভ্রামরী প্রাণায়াম সহজে করা যায় এবং এগুলো ফুসফুস সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
নিয়মিত প্রাণায়াম করলে ফুসফুসে জমা ময়লা ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়া ফুসফুসের নিচে পেট বরাবর যে পর্দা থাকে, সেই পর্দা বা ডায়াফ্রামের সংকোচন ও প্রসারণক্ষমতা বাড়ে প্রাণায়ামের মাধ্যমে। অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম ফুসফুসের উন্নতি করে। পাশাপাশি কোষে ঠিকমতো অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। শুরুর দিকে ভস্ত্রিকা পাঁচ মিনিট, অনুলোম-বিলোম পাঁচ মিনিট, ভ্রামরী ১১ থেকে ২১ বার করে করতে পারেন।
পদ্ধতি,ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
পদ্মাসনের মতো আসনে বসুন। এবার ধীরগতিতে শ্বাস গ্রহণ করুন ও জোরে শ্বাস ছাড়ুন। মোটকথা, ফুসফুস ভর্তি করে শ্বাস নিন ও পুরো ফুসফুস খালি করুন। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম করা উচিত। তবে এ প্রাণায়াম শুরুর প্রথম দিকে একটানা পাঁচ মিনিট করা সম্ভব হয় না বলে সময়কে ভাগ করে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে এক মিনিট করেও পাঁচবারে করতে পারেন। আবার দুই মিনিট, দুই মিনিট ও এক মিনিট এভাবেও পাঁচ মিনিট করা যেতে পারে। অভ্যস্ত হলে টানা পাঁচ মিনিট করবেন। ধীরগতিতে হলে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী যত ধীরে নেওয়া যায়, মধ্যম গতিতে নিলে স্বাভাবিকভাবে আমরা যেমন শ্বাস নিই ও ছাড়ি, সেভাবে চলবে। কিন্তু ফুসফুস ভরে শ্বাস নিতে হবে ও ছাড়তে হবে। সবশেষে দ্রুতগতির ক্ষেত্রে ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা অনুযায়ী করতে হবে। এখানে বলে রাখা ভালো, মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য ধীরগতি ও শারীরিক পর্যায়ের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে মধ্যম গতিতে ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
কাজ করে।
অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম
ধ্যানমুদ্রায় বসুন। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। এবার ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করুন। বাঁ হাত কোলের ওপর আলতো করে রাখুন। ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ডান নাকের ছিদ্র বন্ধ করুন এবং বাঁ নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর লক্ষ রাখুন। ডান নাকের ওপর থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধাঙ্গুল সরিয়ে নিন এবং ডান হাতের অনামিকা দিয়ে বাঁ নাক বন্ধ করুন। এরপর আস্তে আস্তে ডান নাকের ছিদ্র দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ঠিক এই পদ্ধতিতেই ডান নাকের ছিদ্র দিয়ে গভীর শ্বাস নিন। এ সময় অনামিকা দিয়ে বাঁ নাকের ছিদ্র বন্ধ করে রাখতে হবে। তারপর বাঁ নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়বেন।
ভ্রামরী প্রাণায়াম
সুখাসনে শান্ত হয়ে বসুন। দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দুই কান বন্ধ করুন। বাকি চারটি আঙুল চোখের পাতার ওপর এমনভাবে রাখুন, যাতে আঙুল চোখের পাতা স্পর্শ না করে। চোখ এমনিতে বন্ধ থাকবে। এভাবে আমাদের দুটি ইন্দ্রিয় অর্থাৎ চোখ ও কান বন্ধ হয়। এরপর নাক দিয়ে বুকভরে শ্বাস টেনে নিন এবং মুখ বন্ধ রেখে শ্বাস ছাড়ার সময় ভ্রমরের মতো নিরবচ্ছিন্ন আওয়াজ করতে করতে শ্বাস ছাড়ুন। ভ্রামরী প্রাণায়ামের সময় মনোযোগ দুই ভ্রুর মধ্যে স্থির রাখবেন। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ১১ থেকে ২১
বার করুন।
প্রাণায়ামের উপযুক্ত সময়
সকালবেলা খালি পেটে প্রাণায়াম সবচেয়ে ভালো। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। এর ৩০ মিনিট পর প্রাণায়াম ও যোগব্যায়াম করা যেতে পারে। তিনটি প্রাণায়ামই সকালে করা যাবে। আর রাতে ঘুমানোর আগে ভ্রামরী প্রাণায়াম করা যাবে।
সতর্কতা
বাপ্পা শান্তনু, এভারগ্রিন ইয়োগার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক
ফুসফুসে অসংখ্য সূক্ষ্ম রক্তজালক পরিবেষ্টিত বায়ুপ্রকোষ্ঠ থাকে। বায়ুদূষণসহ বিভিন্ন কারণে সেগুলোতে ময়লা জমলে ঠিকভাবে দম নেওয়া যায় না। ফুসফুসের এমন সমস্যার সঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে দম নেওয়ার সঙ্গে পরিমাণমতো অক্সিজেন রক্তে প্রবেশ করে না। তখন শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
ফুসফুস সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে প্রাণায়াম খুব ভালো ভূমিকা পালন করে। ভস্ত্রিকা, অনুলোম-বিলোম ও ভ্রামরী প্রাণায়াম সহজে করা যায় এবং এগুলো ফুসফুস সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
নিয়মিত প্রাণায়াম করলে ফুসফুসে জমা ময়লা ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়া ফুসফুসের নিচে পেট বরাবর যে পর্দা থাকে, সেই পর্দা বা ডায়াফ্রামের সংকোচন ও প্রসারণক্ষমতা বাড়ে প্রাণায়ামের মাধ্যমে। অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম ফুসফুসের উন্নতি করে। পাশাপাশি কোষে ঠিকমতো অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। শুরুর দিকে ভস্ত্রিকা পাঁচ মিনিট, অনুলোম-বিলোম পাঁচ মিনিট, ভ্রামরী ১১ থেকে ২১ বার করে করতে পারেন।
পদ্ধতি,ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
পদ্মাসনের মতো আসনে বসুন। এবার ধীরগতিতে শ্বাস গ্রহণ করুন ও জোরে শ্বাস ছাড়ুন। মোটকথা, ফুসফুস ভর্তি করে শ্বাস নিন ও পুরো ফুসফুস খালি করুন। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম করা উচিত। তবে এ প্রাণায়াম শুরুর প্রথম দিকে একটানা পাঁচ মিনিট করা সম্ভব হয় না বলে সময়কে ভাগ করে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে এক মিনিট করেও পাঁচবারে করতে পারেন। আবার দুই মিনিট, দুই মিনিট ও এক মিনিট এভাবেও পাঁচ মিনিট করা যেতে পারে। অভ্যস্ত হলে টানা পাঁচ মিনিট করবেন। ধীরগতিতে হলে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী যত ধীরে নেওয়া যায়, মধ্যম গতিতে নিলে স্বাভাবিকভাবে আমরা যেমন শ্বাস নিই ও ছাড়ি, সেভাবে চলবে। কিন্তু ফুসফুস ভরে শ্বাস নিতে হবে ও ছাড়তে হবে। সবশেষে দ্রুতগতির ক্ষেত্রে ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা অনুযায়ী করতে হবে। এখানে বলে রাখা ভালো, মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য ধীরগতি ও শারীরিক পর্যায়ের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে মধ্যম গতিতে ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
কাজ করে।
অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম
ধ্যানমুদ্রায় বসুন। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। এবার ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করুন। বাঁ হাত কোলের ওপর আলতো করে রাখুন। ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ডান নাকের ছিদ্র বন্ধ করুন এবং বাঁ নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর লক্ষ রাখুন। ডান নাকের ওপর থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধাঙ্গুল সরিয়ে নিন এবং ডান হাতের অনামিকা দিয়ে বাঁ নাক বন্ধ করুন। এরপর আস্তে আস্তে ডান নাকের ছিদ্র দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ঠিক এই পদ্ধতিতেই ডান নাকের ছিদ্র দিয়ে গভীর শ্বাস নিন। এ সময় অনামিকা দিয়ে বাঁ নাকের ছিদ্র বন্ধ করে রাখতে হবে। তারপর বাঁ নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়বেন।
ভ্রামরী প্রাণায়াম
সুখাসনে শান্ত হয়ে বসুন। দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দুই কান বন্ধ করুন। বাকি চারটি আঙুল চোখের পাতার ওপর এমনভাবে রাখুন, যাতে আঙুল চোখের পাতা স্পর্শ না করে। চোখ এমনিতে বন্ধ থাকবে। এভাবে আমাদের দুটি ইন্দ্রিয় অর্থাৎ চোখ ও কান বন্ধ হয়। এরপর নাক দিয়ে বুকভরে শ্বাস টেনে নিন এবং মুখ বন্ধ রেখে শ্বাস ছাড়ার সময় ভ্রমরের মতো নিরবচ্ছিন্ন আওয়াজ করতে করতে শ্বাস ছাড়ুন। ভ্রামরী প্রাণায়ামের সময় মনোযোগ দুই ভ্রুর মধ্যে স্থির রাখবেন। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ১১ থেকে ২১
বার করুন।
প্রাণায়ামের উপযুক্ত সময়
সকালবেলা খালি পেটে প্রাণায়াম সবচেয়ে ভালো। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। এর ৩০ মিনিট পর প্রাণায়াম ও যোগব্যায়াম করা যেতে পারে। তিনটি প্রাণায়ামই সকালে করা যাবে। আর রাতে ঘুমানোর আগে ভ্রামরী প্রাণায়াম করা যাবে।
সতর্কতা
বাপ্পা শান্তনু, এভারগ্রিন ইয়োগার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১০ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১১ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগে