Ajker Patrika

দেশে ক্যানসারের উন্নত চিকিৎসা পায় না ৯০ শতাংশ রোগী

  • ক্যানসারে প্রতিবছর মারা যায় ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষ।
  • দেশে খাদ্যনালি, ঠোঁট ও ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
  • নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার এবং জরায়ুমুখ ক্যানসারের হার বেশি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩: ৩৯
Thumbnail image
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ক্যানসার চিকিৎসায় বাংলাদেশ, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে কয়েক দশকে ক্যানসার আক্রান্ত রোগী বেড়েছে অন্তত ১০ গুণ। এ সময়ে বেড়েছে চিকিৎসক, সহায়ক জনবল ও আধুনিক সরঞ্জাম। তিন দশকে ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। দেশে ভালো মানের ক্যানসার চিকিৎসা পায় ১০ শতাংশ রোগী। ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে রোগীদের বিশ্বমানের ক্যানসার চিকিৎসার প্রবেশগম্যতা নেই।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ক্যানসার চিকিৎসায় বাংলাদেশ, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।

সভায় জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ। আর ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর মারা যায় ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। দেশে খাদ্যনালি, ঠোঁট ও ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। আর নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার এবং জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্তের হার বেশি।

সভা সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ৩০ বছরে ক্যানসার চিকিৎসায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনো অনেক মানুষ ক্যানসার চিকিৎসার প্রবেশগম্যতার বাইরে। আমরা শতকরা ১০ ভাগ মানুষকে আন্তর্জাতিক মানের ক্যানসার চিকিৎসা দিতে পারি। আমাদের জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে হবে।’

সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ক্যানসার চিকিৎসা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন। দেখা যায়, প্রতিবছর ৫ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার এই রোগীদের কারণে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই টাকাটা আয় করেন আমাদের দেশের পোশাকশ্রমিক বা অভিবাসী শ্রমিক। গরিব মানুষের কষ্টার্জিত টাকাগুলো আমরা অন্য দেশে ব্যয় করে আসছি।’

ক্যানসার সোসাইটির পরিচালক অধ্যাপক এম এ হাই বলেন, ক্যানসার চিকিৎসা রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক, এর বাইরে চট্টগ্রামে একটু ভালো। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কোনো চিকিৎসা-সুবিধার ব্যবস্থা নাই। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা বাড়াতে হবে।

আলোচনায় অংশ নেন গাইনি অনকোলজিস্ট অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, ইউরো অনকোলজিস্ট অধ্যাপক এম এ সালাম, স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, ব্রেস্ট সার্জন শেখ ফরিদ আহমেদ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আলীয়া শাহনাজ প্রমুখ।

আলোচকেরা বলেন, ক্যানসার চিকিৎসা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে উন্নতমানের ক্যানসার চিকিৎসা পৌঁছে দিতে হবে। ক্যানসার রোগীদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত