হাম, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা এবং পোলিওর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ৪০ টিরও বেশি দেশে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব অঞ্চলে রোগগুলোর সংক্রমণ কোভিড মারামারির আগের তুলনায় ১০ গুণ বেড়েছে। লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে।
সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ।
এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বেড়েছে ১.০৪ শতাংশ এবং কলেরা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ২.১০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এমনকি ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা ইত্যাদি কারণে এটা হতে পারে। তবে কারণ যাই হোক এসব রোগ থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে সরকারগুলোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেড়েছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যক্ষ্মার দুই ধরনের সংক্রমণ ঘটে। দুটিকে এক করে হিসেব করলে ঠিক হবে না। তা ছাড়া দেশের সবাই যক্ষ্মার টিকা পায়। নিরাপদ পরিবেশে বসবাস করলে যক্ষ্মা হয় না। এই রোগটি একটি বিশেষ শ্রেণির মধ্যে হয়ে থাকে। আর কলেরা রোগটি পানিবাহিত, অসচেতনতার কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, কোভিডকালীন সময়ে মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ছিল এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করত। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে তারা নিরাপদ জীবন-যাপন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। জনসমাগম এবং যোগাযোগ অনেক বেড়েছে। ফলে সংক্রমণ রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেড়েছে ডেঙ্গু। যা বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটির নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় ৬০ টিরও বেশি সংস্থার তথ্য সংকলন দেখা গেছে বিশ্ব অন্তত ১৩টি সংক্রামক রোগের পুনরুত্থান ঘটেছে। যা অনেক অঞ্চলে এসব রোগে আক্রান্তের হার মহামারির আগের তুলনায় বেশি।
ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য তিনটি প্রধান কারণকে দায়ী করা যায়। ১. টিকা দেওয়ার হার কমছে। হাম, পোলিও, হুপিং কাশি এবং যক্ষ্মা সবই ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্বব্যাপী হামের টিকা প্রদানের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপের ২০টি দেশ ২০২২ সালে 90 শতাংশের নিচে নেমেছে; যুক্তরাজ্য এই হ্রাসের হার ৮৭ শতাংশ। অস্ট্রিয়া দেশটির সবচেয়ে খারাপ হামের প্রাদুর্ভাব দেখছে, কারণ ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে কেস কোভিডের শুরুর সময় থেকে ১৯০ শতাংশ বেশি। ডেনমার্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে সংক্রমণ অব্যাহত থাকে তবে প্রাক-মহামারি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। এই তালিকায় দ্রুতই যুক্ত হতে চলেছে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যর মতো দেশে।
২. দ্বিতীয়টি হল মহামারি বছরগুলিতে সামগ্রিকভাবে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যও হ্রাস। সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা গুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি), মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং আক্রমণাত্মক গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস, আইজিএএস নামে পরিচিত প্যাথোজেনগুলির সঞ্চালনকে দমন করে।
এ ছাড়া এসব রোগের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সংবেদনশীল জনসংখ্যার পাশাপাশি মহামারি পরবর্তী সময়গুলোতে পরীক্ষা এবং রিপোর্টিং বৃদ্ধি। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মৌসুমে ২০১৯ সালের তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। একই সময়ে ইউরোপে এই বৃদ্ধির হার ৭৫ শতাংশ।
৩. তৃতীয় কারণটি হল জলবায়ু পরিবর্তন। যা এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো রোগের বিস্তারকে সক্ষম করছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন অঞ্চলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ বেড়েছে। আর্জেন্টিনায় ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৫১ গুণ। ২০১৯ সালে সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩২২০ জন, চলতি বছরে সেটি পৌঁছেছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫ জনে। মশা উত্তর দিকে যেমন অগ্রসর হয়েছে তেমনি দক্ষিণ ইউরোপে সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। ইতালিতে ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর তুলনায় ২০২৩ সালে সেটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি ফ্রান্সেও, ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু বেড়েছে ৭.২ গুণ।
এয়ারফিনিটির বায়োরিস্ক বিশ্লেষক ক্রিস্তান পিরোয়েভা বলেছেন, ‘হাম, হুপিং কাশি, পোলিও এবং আরএসভির মতো রোগের পুনরায় ফের আসার কারণে টিকা না দেওয়া শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই রোগগুলি প্রায়ই সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং ছোট শিশুদের জন্য ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে। এই দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ার হার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ হিসেবে মনে করা হলেও অ-স্থানীয় দেশগুলিতে এর সংক্রমণ বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, রোগটি দক্ষিণ ইউরোপের স্থানীয় রোগে পরিণত হয়েছে। এয়ারফিনিটির গ্লোবাল ওভারভিউ তাদের গবেষণায় দেখেছে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
হাম, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা এবং পোলিওর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ৪০ টিরও বেশি দেশে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব অঞ্চলে রোগগুলোর সংক্রমণ কোভিড মারামারির আগের তুলনায় ১০ গুণ বেড়েছে। লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে।
সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ।
এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বেড়েছে ১.০৪ শতাংশ এবং কলেরা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ২.১০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এমনকি ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা ইত্যাদি কারণে এটা হতে পারে। তবে কারণ যাই হোক এসব রোগ থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে সরকারগুলোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেড়েছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যক্ষ্মার দুই ধরনের সংক্রমণ ঘটে। দুটিকে এক করে হিসেব করলে ঠিক হবে না। তা ছাড়া দেশের সবাই যক্ষ্মার টিকা পায়। নিরাপদ পরিবেশে বসবাস করলে যক্ষ্মা হয় না। এই রোগটি একটি বিশেষ শ্রেণির মধ্যে হয়ে থাকে। আর কলেরা রোগটি পানিবাহিত, অসচেতনতার কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, কোভিডকালীন সময়ে মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ছিল এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করত। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে তারা নিরাপদ জীবন-যাপন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। জনসমাগম এবং যোগাযোগ অনেক বেড়েছে। ফলে সংক্রমণ রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেড়েছে ডেঙ্গু। যা বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটির নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় ৬০ টিরও বেশি সংস্থার তথ্য সংকলন দেখা গেছে বিশ্ব অন্তত ১৩টি সংক্রামক রোগের পুনরুত্থান ঘটেছে। যা অনেক অঞ্চলে এসব রোগে আক্রান্তের হার মহামারির আগের তুলনায় বেশি।
ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য তিনটি প্রধান কারণকে দায়ী করা যায়। ১. টিকা দেওয়ার হার কমছে। হাম, পোলিও, হুপিং কাশি এবং যক্ষ্মা সবই ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্বব্যাপী হামের টিকা প্রদানের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপের ২০টি দেশ ২০২২ সালে 90 শতাংশের নিচে নেমেছে; যুক্তরাজ্য এই হ্রাসের হার ৮৭ শতাংশ। অস্ট্রিয়া দেশটির সবচেয়ে খারাপ হামের প্রাদুর্ভাব দেখছে, কারণ ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে কেস কোভিডের শুরুর সময় থেকে ১৯০ শতাংশ বেশি। ডেনমার্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে সংক্রমণ অব্যাহত থাকে তবে প্রাক-মহামারি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। এই তালিকায় দ্রুতই যুক্ত হতে চলেছে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যর মতো দেশে।
২. দ্বিতীয়টি হল মহামারি বছরগুলিতে সামগ্রিকভাবে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যও হ্রাস। সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা গুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি), মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং আক্রমণাত্মক গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস, আইজিএএস নামে পরিচিত প্যাথোজেনগুলির সঞ্চালনকে দমন করে।
এ ছাড়া এসব রোগের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সংবেদনশীল জনসংখ্যার পাশাপাশি মহামারি পরবর্তী সময়গুলোতে পরীক্ষা এবং রিপোর্টিং বৃদ্ধি। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মৌসুমে ২০১৯ সালের তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। একই সময়ে ইউরোপে এই বৃদ্ধির হার ৭৫ শতাংশ।
৩. তৃতীয় কারণটি হল জলবায়ু পরিবর্তন। যা এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো রোগের বিস্তারকে সক্ষম করছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন অঞ্চলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ বেড়েছে। আর্জেন্টিনায় ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৫১ গুণ। ২০১৯ সালে সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩২২০ জন, চলতি বছরে সেটি পৌঁছেছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫ জনে। মশা উত্তর দিকে যেমন অগ্রসর হয়েছে তেমনি দক্ষিণ ইউরোপে সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। ইতালিতে ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর তুলনায় ২০২৩ সালে সেটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি ফ্রান্সেও, ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু বেড়েছে ৭.২ গুণ।
এয়ারফিনিটির বায়োরিস্ক বিশ্লেষক ক্রিস্তান পিরোয়েভা বলেছেন, ‘হাম, হুপিং কাশি, পোলিও এবং আরএসভির মতো রোগের পুনরায় ফের আসার কারণে টিকা না দেওয়া শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই রোগগুলি প্রায়ই সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং ছোট শিশুদের জন্য ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে। এই দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ার হার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ হিসেবে মনে করা হলেও অ-স্থানীয় দেশগুলিতে এর সংক্রমণ বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, রোগটি দক্ষিণ ইউরোপের স্থানীয় রোগে পরিণত হয়েছে। এয়ারফিনিটির গ্লোবাল ওভারভিউ তাদের গবেষণায় দেখেছে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
মারাত্মক সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে অধিকাংশ গরিব দেশের লোকজন প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক পায় না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই গরিব দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশও। গবেষণায় বলা হয়েছে, গরিব দেশগুলোতে মারাত্মক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা ওষুধ-প্রতিরোধী সংক্রমণে আক্রান্ত মাত্র...
১ দিন আগেগৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
২ দিন আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
৩ দিন আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৩ দিন আগে