
হাম, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা এবং পোলিওর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ৪০ টিরও বেশি দেশে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব অঞ্চলে রোগগুলোর সংক্রমণ কোভিড মারামারির আগের তুলনায় ১০ গুণ বেড়েছে। লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে।
সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ।
এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বেড়েছে ১.০৪ শতাংশ এবং কলেরা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ২.১০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এমনকি ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা ইত্যাদি কারণে এটা হতে পারে। তবে কারণ যাই হোক এসব রোগ থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে সরকারগুলোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেড়েছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যক্ষ্মার দুই ধরনের সংক্রমণ ঘটে। দুটিকে এক করে হিসেব করলে ঠিক হবে না। তা ছাড়া দেশের সবাই যক্ষ্মার টিকা পায়। নিরাপদ পরিবেশে বসবাস করলে যক্ষ্মা হয় না। এই রোগটি একটি বিশেষ শ্রেণির মধ্যে হয়ে থাকে। আর কলেরা রোগটি পানিবাহিত, অসচেতনতার কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, কোভিডকালীন সময়ে মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ছিল এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করত। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে তারা নিরাপদ জীবন-যাপন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। জনসমাগম এবং যোগাযোগ অনেক বেড়েছে। ফলে সংক্রমণ রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেড়েছে ডেঙ্গু। যা বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটির নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় ৬০ টিরও বেশি সংস্থার তথ্য সংকলন দেখা গেছে বিশ্ব অন্তত ১৩টি সংক্রামক রোগের পুনরুত্থান ঘটেছে। যা অনেক অঞ্চলে এসব রোগে আক্রান্তের হার মহামারির আগের তুলনায় বেশি।
ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য তিনটি প্রধান কারণকে দায়ী করা যায়। ১. টিকা দেওয়ার হার কমছে। হাম, পোলিও, হুপিং কাশি এবং যক্ষ্মা সবই ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্বব্যাপী হামের টিকা প্রদানের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপের ২০টি দেশ ২০২২ সালে 90 শতাংশের নিচে নেমেছে; যুক্তরাজ্য এই হ্রাসের হার ৮৭ শতাংশ। অস্ট্রিয়া দেশটির সবচেয়ে খারাপ হামের প্রাদুর্ভাব দেখছে, কারণ ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে কেস কোভিডের শুরুর সময় থেকে ১৯০ শতাংশ বেশি। ডেনমার্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে সংক্রমণ অব্যাহত থাকে তবে প্রাক-মহামারি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। এই তালিকায় দ্রুতই যুক্ত হতে চলেছে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যর মতো দেশে।
২. দ্বিতীয়টি হল মহামারি বছরগুলিতে সামগ্রিকভাবে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যও হ্রাস। সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা গুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি), মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং আক্রমণাত্মক গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস, আইজিএএস নামে পরিচিত প্যাথোজেনগুলির সঞ্চালনকে দমন করে।
এ ছাড়া এসব রোগের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সংবেদনশীল জনসংখ্যার পাশাপাশি মহামারি পরবর্তী সময়গুলোতে পরীক্ষা এবং রিপোর্টিং বৃদ্ধি। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মৌসুমে ২০১৯ সালের তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। একই সময়ে ইউরোপে এই বৃদ্ধির হার ৭৫ শতাংশ।
৩. তৃতীয় কারণটি হল জলবায়ু পরিবর্তন। যা এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো রোগের বিস্তারকে সক্ষম করছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন অঞ্চলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ বেড়েছে। আর্জেন্টিনায় ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৫১ গুণ। ২০১৯ সালে সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩২২০ জন, চলতি বছরে সেটি পৌঁছেছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫ জনে। মশা উত্তর দিকে যেমন অগ্রসর হয়েছে তেমনি দক্ষিণ ইউরোপে সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। ইতালিতে ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর তুলনায় ২০২৩ সালে সেটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি ফ্রান্সেও, ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু বেড়েছে ৭.২ গুণ।
এয়ারফিনিটির বায়োরিস্ক বিশ্লেষক ক্রিস্তান পিরোয়েভা বলেছেন, ‘হাম, হুপিং কাশি, পোলিও এবং আরএসভির মতো রোগের পুনরায় ফের আসার কারণে টিকা না দেওয়া শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই রোগগুলি প্রায়ই সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং ছোট শিশুদের জন্য ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে। এই দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ার হার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ হিসেবে মনে করা হলেও অ-স্থানীয় দেশগুলিতে এর সংক্রমণ বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, রোগটি দক্ষিণ ইউরোপের স্থানীয় রোগে পরিণত হয়েছে। এয়ারফিনিটির গ্লোবাল ওভারভিউ তাদের গবেষণায় দেখেছে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

হাম, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা এবং পোলিওর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ৪০ টিরও বেশি দেশে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব অঞ্চলে রোগগুলোর সংক্রমণ কোভিড মারামারির আগের তুলনায় ১০ গুণ বেড়েছে। লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে।
সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ।
এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বেড়েছে ১.০৪ শতাংশ এবং কলেরা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ২.১০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এমনকি ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা ইত্যাদি কারণে এটা হতে পারে। তবে কারণ যাই হোক এসব রোগ থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে সরকারগুলোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেড়েছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যক্ষ্মার দুই ধরনের সংক্রমণ ঘটে। দুটিকে এক করে হিসেব করলে ঠিক হবে না। তা ছাড়া দেশের সবাই যক্ষ্মার টিকা পায়। নিরাপদ পরিবেশে বসবাস করলে যক্ষ্মা হয় না। এই রোগটি একটি বিশেষ শ্রেণির মধ্যে হয়ে থাকে। আর কলেরা রোগটি পানিবাহিত, অসচেতনতার কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, কোভিডকালীন সময়ে মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ছিল এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করত। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে তারা নিরাপদ জীবন-যাপন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। জনসমাগম এবং যোগাযোগ অনেক বেড়েছে। ফলে সংক্রমণ রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেড়েছে ডেঙ্গু। যা বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটির নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় ৬০ টিরও বেশি সংস্থার তথ্য সংকলন দেখা গেছে বিশ্ব অন্তত ১৩টি সংক্রামক রোগের পুনরুত্থান ঘটেছে। যা অনেক অঞ্চলে এসব রোগে আক্রান্তের হার মহামারির আগের তুলনায় বেশি।
ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য তিনটি প্রধান কারণকে দায়ী করা যায়। ১. টিকা দেওয়ার হার কমছে। হাম, পোলিও, হুপিং কাশি এবং যক্ষ্মা সবই ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্বব্যাপী হামের টিকা প্রদানের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপের ২০টি দেশ ২০২২ সালে 90 শতাংশের নিচে নেমেছে; যুক্তরাজ্য এই হ্রাসের হার ৮৭ শতাংশ। অস্ট্রিয়া দেশটির সবচেয়ে খারাপ হামের প্রাদুর্ভাব দেখছে, কারণ ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে কেস কোভিডের শুরুর সময় থেকে ১৯০ শতাংশ বেশি। ডেনমার্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে সংক্রমণ অব্যাহত থাকে তবে প্রাক-মহামারি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। এই তালিকায় দ্রুতই যুক্ত হতে চলেছে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যর মতো দেশে।
২. দ্বিতীয়টি হল মহামারি বছরগুলিতে সামগ্রিকভাবে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যও হ্রাস। সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা গুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি), মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং আক্রমণাত্মক গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস, আইজিএএস নামে পরিচিত প্যাথোজেনগুলির সঞ্চালনকে দমন করে।
এ ছাড়া এসব রোগের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সংবেদনশীল জনসংখ্যার পাশাপাশি মহামারি পরবর্তী সময়গুলোতে পরীক্ষা এবং রিপোর্টিং বৃদ্ধি। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মৌসুমে ২০১৯ সালের তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। একই সময়ে ইউরোপে এই বৃদ্ধির হার ৭৫ শতাংশ।
৩. তৃতীয় কারণটি হল জলবায়ু পরিবর্তন। যা এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো রোগের বিস্তারকে সক্ষম করছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন অঞ্চলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ বেড়েছে। আর্জেন্টিনায় ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৫১ গুণ। ২০১৯ সালে সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩২২০ জন, চলতি বছরে সেটি পৌঁছেছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫ জনে। মশা উত্তর দিকে যেমন অগ্রসর হয়েছে তেমনি দক্ষিণ ইউরোপে সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। ইতালিতে ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর তুলনায় ২০২৩ সালে সেটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি ফ্রান্সেও, ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু বেড়েছে ৭.২ গুণ।
এয়ারফিনিটির বায়োরিস্ক বিশ্লেষক ক্রিস্তান পিরোয়েভা বলেছেন, ‘হাম, হুপিং কাশি, পোলিও এবং আরএসভির মতো রোগের পুনরায় ফের আসার কারণে টিকা না দেওয়া শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই রোগগুলি প্রায়ই সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং ছোট শিশুদের জন্য ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে। এই দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ার হার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ হিসেবে মনে করা হলেও অ-স্থানীয় দেশগুলিতে এর সংক্রমণ বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, রোগটি দক্ষিণ ইউরোপের স্থানীয় রোগে পরিণত হয়েছে। এয়ারফিনিটির গ্লোবাল ওভারভিউ তাদের গবেষণায় দেখেছে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

হাম, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা এবং পোলিওর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ৪০ টিরও বেশি দেশে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব অঞ্চলে রোগগুলোর সংক্রমণ কোভিড মারামারির আগের তুলনায় ১০ গুণ বেড়েছে। লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে।
সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ।
এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বেড়েছে ১.০৪ শতাংশ এবং কলেরা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ২.১০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এমনকি ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা ইত্যাদি কারণে এটা হতে পারে। তবে কারণ যাই হোক এসব রোগ থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে সরকারগুলোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেড়েছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যক্ষ্মার দুই ধরনের সংক্রমণ ঘটে। দুটিকে এক করে হিসেব করলে ঠিক হবে না। তা ছাড়া দেশের সবাই যক্ষ্মার টিকা পায়। নিরাপদ পরিবেশে বসবাস করলে যক্ষ্মা হয় না। এই রোগটি একটি বিশেষ শ্রেণির মধ্যে হয়ে থাকে। আর কলেরা রোগটি পানিবাহিত, অসচেতনতার কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, কোভিডকালীন সময়ে মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ছিল এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করত। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে তারা নিরাপদ জীবন-যাপন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। জনসমাগম এবং যোগাযোগ অনেক বেড়েছে। ফলে সংক্রমণ রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেড়েছে ডেঙ্গু। যা বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটির নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় ৬০ টিরও বেশি সংস্থার তথ্য সংকলন দেখা গেছে বিশ্ব অন্তত ১৩টি সংক্রামক রোগের পুনরুত্থান ঘটেছে। যা অনেক অঞ্চলে এসব রোগে আক্রান্তের হার মহামারির আগের তুলনায় বেশি।
ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য তিনটি প্রধান কারণকে দায়ী করা যায়। ১. টিকা দেওয়ার হার কমছে। হাম, পোলিও, হুপিং কাশি এবং যক্ষ্মা সবই ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্বব্যাপী হামের টিকা প্রদানের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপের ২০টি দেশ ২০২২ সালে 90 শতাংশের নিচে নেমেছে; যুক্তরাজ্য এই হ্রাসের হার ৮৭ শতাংশ। অস্ট্রিয়া দেশটির সবচেয়ে খারাপ হামের প্রাদুর্ভাব দেখছে, কারণ ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে কেস কোভিডের শুরুর সময় থেকে ১৯০ শতাংশ বেশি। ডেনমার্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে সংক্রমণ অব্যাহত থাকে তবে প্রাক-মহামারি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। এই তালিকায় দ্রুতই যুক্ত হতে চলেছে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যর মতো দেশে।
২. দ্বিতীয়টি হল মহামারি বছরগুলিতে সামগ্রিকভাবে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যও হ্রাস। সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা গুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি), মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং আক্রমণাত্মক গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস, আইজিএএস নামে পরিচিত প্যাথোজেনগুলির সঞ্চালনকে দমন করে।
এ ছাড়া এসব রোগের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সংবেদনশীল জনসংখ্যার পাশাপাশি মহামারি পরবর্তী সময়গুলোতে পরীক্ষা এবং রিপোর্টিং বৃদ্ধি। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মৌসুমে ২০১৯ সালের তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। একই সময়ে ইউরোপে এই বৃদ্ধির হার ৭৫ শতাংশ।
৩. তৃতীয় কারণটি হল জলবায়ু পরিবর্তন। যা এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো রোগের বিস্তারকে সক্ষম করছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন অঞ্চলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ বেড়েছে। আর্জেন্টিনায় ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৫১ গুণ। ২০১৯ সালে সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩২২০ জন, চলতি বছরে সেটি পৌঁছেছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫ জনে। মশা উত্তর দিকে যেমন অগ্রসর হয়েছে তেমনি দক্ষিণ ইউরোপে সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। ইতালিতে ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর তুলনায় ২০২৩ সালে সেটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি ফ্রান্সেও, ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু বেড়েছে ৭.২ গুণ।
এয়ারফিনিটির বায়োরিস্ক বিশ্লেষক ক্রিস্তান পিরোয়েভা বলেছেন, ‘হাম, হুপিং কাশি, পোলিও এবং আরএসভির মতো রোগের পুনরায় ফের আসার কারণে টিকা না দেওয়া শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই রোগগুলি প্রায়ই সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং ছোট শিশুদের জন্য ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে। এই দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ার হার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ হিসেবে মনে করা হলেও অ-স্থানীয় দেশগুলিতে এর সংক্রমণ বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, রোগটি দক্ষিণ ইউরোপের স্থানীয় রোগে পরিণত হয়েছে। এয়ারফিনিটির গ্লোবাল ওভারভিউ তাদের গবেষণায় দেখেছে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

হাম, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা এবং পোলিওর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ৪০ টিরও বেশি দেশে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব অঞ্চলে রোগগুলোর সংক্রমণ কোভিড মারামারির আগের তুলনায় ১০ গুণ বেড়েছে। লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে।
সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ।
এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বেড়েছে ১.০৪ শতাংশ এবং কলেরা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ২.১০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এমনকি ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা ইত্যাদি কারণে এটা হতে পারে। তবে কারণ যাই হোক এসব রোগ থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে সরকারগুলোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেড়েছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যক্ষ্মার দুই ধরনের সংক্রমণ ঘটে। দুটিকে এক করে হিসেব করলে ঠিক হবে না। তা ছাড়া দেশের সবাই যক্ষ্মার টিকা পায়। নিরাপদ পরিবেশে বসবাস করলে যক্ষ্মা হয় না। এই রোগটি একটি বিশেষ শ্রেণির মধ্যে হয়ে থাকে। আর কলেরা রোগটি পানিবাহিত, অসচেতনতার কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, কোভিডকালীন সময়ে মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ছিল এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করত। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে তারা নিরাপদ জীবন-যাপন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। জনসমাগম এবং যোগাযোগ অনেক বেড়েছে। ফলে সংক্রমণ রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেড়েছে ডেঙ্গু। যা বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটির নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় ৬০ টিরও বেশি সংস্থার তথ্য সংকলন দেখা গেছে বিশ্ব অন্তত ১৩টি সংক্রামক রোগের পুনরুত্থান ঘটেছে। যা অনেক অঞ্চলে এসব রোগে আক্রান্তের হার মহামারির আগের তুলনায় বেশি।
ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য তিনটি প্রধান কারণকে দায়ী করা যায়। ১. টিকা দেওয়ার হার কমছে। হাম, পোলিও, হুপিং কাশি এবং যক্ষ্মা সবই ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্বব্যাপী হামের টিকা প্রদানের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপের ২০টি দেশ ২০২২ সালে 90 শতাংশের নিচে নেমেছে; যুক্তরাজ্য এই হ্রাসের হার ৮৭ শতাংশ। অস্ট্রিয়া দেশটির সবচেয়ে খারাপ হামের প্রাদুর্ভাব দেখছে, কারণ ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে কেস কোভিডের শুরুর সময় থেকে ১৯০ শতাংশ বেশি। ডেনমার্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে সংক্রমণ অব্যাহত থাকে তবে প্রাক-মহামারি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। এই তালিকায় দ্রুতই যুক্ত হতে চলেছে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যর মতো দেশে।
২. দ্বিতীয়টি হল মহামারি বছরগুলিতে সামগ্রিকভাবে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যও হ্রাস। সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা গুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি), মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং আক্রমণাত্মক গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস, আইজিএএস নামে পরিচিত প্যাথোজেনগুলির সঞ্চালনকে দমন করে।
এ ছাড়া এসব রোগের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সংবেদনশীল জনসংখ্যার পাশাপাশি মহামারি পরবর্তী সময়গুলোতে পরীক্ষা এবং রিপোর্টিং বৃদ্ধি। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মৌসুমে ২০১৯ সালের তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। একই সময়ে ইউরোপে এই বৃদ্ধির হার ৭৫ শতাংশ।
৩. তৃতীয় কারণটি হল জলবায়ু পরিবর্তন। যা এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো রোগের বিস্তারকে সক্ষম করছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন অঞ্চলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ বেড়েছে। আর্জেন্টিনায় ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৫১ গুণ। ২০১৯ সালে সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩২২০ জন, চলতি বছরে সেটি পৌঁছেছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫ জনে। মশা উত্তর দিকে যেমন অগ্রসর হয়েছে তেমনি দক্ষিণ ইউরোপে সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। ইতালিতে ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর তুলনায় ২০২৩ সালে সেটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি ফ্রান্সেও, ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু বেড়েছে ৭.২ গুণ।
এয়ারফিনিটির বায়োরিস্ক বিশ্লেষক ক্রিস্তান পিরোয়েভা বলেছেন, ‘হাম, হুপিং কাশি, পোলিও এবং আরএসভির মতো রোগের পুনরায় ফের আসার কারণে টিকা না দেওয়া শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই রোগগুলি প্রায়ই সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং ছোট শিশুদের জন্য ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে। এই দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ার হার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ হিসেবে মনে করা হলেও অ-স্থানীয় দেশগুলিতে এর সংক্রমণ বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, রোগটি দক্ষিণ ইউরোপের স্থানীয় রোগে পরিণত হয়েছে। এয়ারফিনিটির গ্লোবাল ওভারভিউ তাদের গবেষণায় দেখেছে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ। এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বে
২৩ জুন ২০২৪
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ। এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বে
২৩ জুন ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ। এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বে
২৩ জুন ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেনাহিদা আহমেদ

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

বাংলাদেশেও যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কলেরা এই তিনটি রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর হুমকিস্বরূপ। এয়ারফিনিটি এবং ব্লুমবার্গ নিউজের তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণরে হার বেড়েছে ১.২০ শতাংশ, যক্ষ্মা সংক্রমণের হার বে
২৩ জুন ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে