নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাদা পোশাক পরা কাউকে দেখলেই চিৎকার করে কেঁদে উঠছে ১৮ মাসের শিশু আফিয়া নূর। ডায়রিয়া নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ভর্তি সে। আফিয়ার মা সাদিয়া ইসলাম জানান, সাদা পোশাকে কাউকে দেখে আফিয়া ভাবছে ডাক্তার কিংবা নার্স। ইনজেকশনের ভয়ে আঁতকে উঠছে সে।
গতকাল সোমবার এই হাসপাতালে সাদিয়া ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। এদিন সেখানে দেখা যায়, পেট খারাপ, জ্বর, বমি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শিশু হাসপাতালের তথ্য বলছে, সেখানে ভর্তি শিশুর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সাদিয়া ইসলাম আরও বলেন, নড়াইলের লোহাগড়া থেকে এসেছেন তাঁরা। ডায়রিয়া ও বমিতে আক্রান্ত হয়ে লোহাগড়ার হাসপাতালে চার দিন ভর্তি ছিল আফিয়া। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
১ মাস ২১ দিনের শিশু নাসির ফাওয়াজ। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আফিয়া আর ফাওয়াজের মতো ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পেডিয়েটিক রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ রোগী আসছে; যাদের বেশির ভাগই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত। শীতের প্রকোপের কারণে এখন শিশুরা নিউমোনিয়া ও রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১৪ দিনে এই হাসপাতালে ২২৩টি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৯৮টি। হাসপাতালে ভর্তি শিশুর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে গত ১৪ দিনে ৩৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের মা-বাবারা সাধারণত ডাক্তার দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে চলে যান। যাদের শারীরিক অবস্থা খুব জটিল থাকে, তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হয়। ফেব্রুয়ারি নাগাদ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিশুর অবস্থা যখন খুব খারাপ অবস্থায় চলে যায়, তখন হাসপাতালে নিয়ে আসেন অভিভাবকেরা। তখন শিশুটিকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সারা দেশেই ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বাড়ছে। অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৪০২ জন। আর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৯৬ জন।
অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত দুই মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৬৪ হাজার ১১৭ জন রোগী। এর মধ্যে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাদা পোশাক পরা কাউকে দেখলেই চিৎকার করে কেঁদে উঠছে ১৮ মাসের শিশু আফিয়া নূর। ডায়রিয়া নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ভর্তি সে। আফিয়ার মা সাদিয়া ইসলাম জানান, সাদা পোশাকে কাউকে দেখে আফিয়া ভাবছে ডাক্তার কিংবা নার্স। ইনজেকশনের ভয়ে আঁতকে উঠছে সে।
গতকাল সোমবার এই হাসপাতালে সাদিয়া ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। এদিন সেখানে দেখা যায়, পেট খারাপ, জ্বর, বমি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শিশু হাসপাতালের তথ্য বলছে, সেখানে ভর্তি শিশুর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সাদিয়া ইসলাম আরও বলেন, নড়াইলের লোহাগড়া থেকে এসেছেন তাঁরা। ডায়রিয়া ও বমিতে আক্রান্ত হয়ে লোহাগড়ার হাসপাতালে চার দিন ভর্তি ছিল আফিয়া। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
১ মাস ২১ দিনের শিশু নাসির ফাওয়াজ। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আফিয়া আর ফাওয়াজের মতো ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পেডিয়েটিক রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ রোগী আসছে; যাদের বেশির ভাগই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত। শীতের প্রকোপের কারণে এখন শিশুরা নিউমোনিয়া ও রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১৪ দিনে এই হাসপাতালে ২২৩টি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৯৮টি। হাসপাতালে ভর্তি শিশুর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে গত ১৪ দিনে ৩৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের মা-বাবারা সাধারণত ডাক্তার দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে চলে যান। যাদের শারীরিক অবস্থা খুব জটিল থাকে, তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হয়। ফেব্রুয়ারি নাগাদ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিশুর অবস্থা যখন খুব খারাপ অবস্থায় চলে যায়, তখন হাসপাতালে নিয়ে আসেন অভিভাবকেরা। তখন শিশুটিকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সারা দেশেই ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বাড়ছে। অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৪০২ জন। আর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৯৬ জন।
অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত দুই মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৬৪ হাজার ১১৭ জন রোগী। এর মধ্যে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৩।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রজননসংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয়ে চিকিৎসকদের জন্য এক নতুন সতর্কবার্তা নিয়ে এসেছে লিথুয়ানিয়ার ২৯ বছরের এক নারীর বিরল সমস্যা। বারবার চেষ্টা করেও গর্ভধারণে ব্যর্থ হওয়া এবং ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) চিকিৎসায়ও ফল না আসায় ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
৯ ঘণ্টা আগেহাসপাতালে ভর্তি আগুনে পোড়া রোগীদের সেপসিস, একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া, মূত্রনালির সংক্রমণ, শক ইত্যাদি হতে পারে। ফলে তাদের বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা সাধারণ রোগীর চেয়ে বেশি। এসব জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালসের প্রতি রেজিস্ট্যান্স হার অনেক বেশি...
১১ ঘণ্টা আগেআগুনে পুড়ে যাওয়া একটি মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনা শুধু ত্বকই নয়, চোখের মতো সংবেদনশীল অঙ্গকেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আগুন, গরম বাষ্প, বিস্ফোরণ, রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ধোঁয়ার কারণে হওয়া চোখের ক্ষতি অনেক সময় স্থায়ী অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। তাই আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর চোখের...
১২ ঘণ্টা আগে