ফিচার ডেস্ক
৭০ বছরেও আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে মধ্য়বয়সে কী খাচ্ছেন তার ওপর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
৩০ বছর ধরে ১ লাখ ৫ হাজার মার্কিন নাগরিকের খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে এই গবেষণা পরিচালিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের ৪০, ৫০ ও ৬০ বছর বয়সে কী ধরনের খাবার খেয়েছেন, তার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছিলেন। এতে দেখা যায়, যাঁরা মধ্যবয়সে ফলমূল, শাকসবজি, শস্য, বাদাম, ডাল এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেয়েছেন, তাঁদের ৭০ বছরেও সুস্থ থাকার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনিযুক্ত পানীয়, লবণ ও ট্রান্সফ্যাট গ্রহণকারীরা অপেক্ষাকৃত কম সুস্থ। মোট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ৯ হাজার ৭৭১ জন ৭০ বছর বয়সে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।
সুস্থ থাকার জন্য যেসব খাবার গ্রহণ করা জরুরি
তাজা ফল ও শাকসবজি, শস্য; যেমন লাল চালের ভাত, ওটস, বাদাম, ডাল ও বীজ, মাছ ও মুরগি, স্বাস্থ্যকর তেল ইত্যাদি। আবার সুস্থ থাকতে কয়েক ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবারের মধ্য়ে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনিযুক্ত পানীয়, অতিরিক্ত লবণ ও লবণযুক্ত খাবার ও ফ্যাটযুক্ত স্ন্যাকস, ইনস্ট্যান্ট ফুড ইত্যাদি।
মধ্যবয়সে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব
সিএনএনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লিয়ানা ওয়েনের মতে, ‘এই গবেষণা প্রমাণ করে, শুধু ব্যায়াম বা ধূমপান না করলেই হবে না। খাদ্যাভ্যাসই হলো সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি। তাই অল্প বয়সেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে মধ্যবয়সেও এই অভ্যাস পরিবর্তন করে সুফল পাওয়া সম্ভব।’
তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত খাবারের সহজলভ্যতা স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এ ধরনের খাবার কম খেতে হবে।
তরুণদের জন্যও সতর্কবার্তা
গবেষণাটি মূলত মধ্যবয়সীদের ওপর করা হলেও বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেকোনো বয়সেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শুরু করা যেতে পারে। তরুণেরা এখন থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খেয়ে তাজা খাবারে অভ্যস্ত হলে ভবিষ্যতে তাঁদের সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়বে।
নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা
গবেষকেরা মনে করেন, সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সহায়তা করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং মূল্য কমাতে ইতিবাচক নীতিমালার প্রয়োজন। ডা. ওয়েন বলেন, ‘সরকারের উচিত ফলমূল ও শাকসবজির মূল্য কমানো এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপর ট্যাক্স বাড়ানো।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
৭০ বছরেও আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে মধ্য়বয়সে কী খাচ্ছেন তার ওপর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
৩০ বছর ধরে ১ লাখ ৫ হাজার মার্কিন নাগরিকের খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে এই গবেষণা পরিচালিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের ৪০, ৫০ ও ৬০ বছর বয়সে কী ধরনের খাবার খেয়েছেন, তার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছিলেন। এতে দেখা যায়, যাঁরা মধ্যবয়সে ফলমূল, শাকসবজি, শস্য, বাদাম, ডাল এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেয়েছেন, তাঁদের ৭০ বছরেও সুস্থ থাকার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনিযুক্ত পানীয়, লবণ ও ট্রান্সফ্যাট গ্রহণকারীরা অপেক্ষাকৃত কম সুস্থ। মোট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ৯ হাজার ৭৭১ জন ৭০ বছর বয়সে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।
সুস্থ থাকার জন্য যেসব খাবার গ্রহণ করা জরুরি
তাজা ফল ও শাকসবজি, শস্য; যেমন লাল চালের ভাত, ওটস, বাদাম, ডাল ও বীজ, মাছ ও মুরগি, স্বাস্থ্যকর তেল ইত্যাদি। আবার সুস্থ থাকতে কয়েক ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবারের মধ্য়ে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনিযুক্ত পানীয়, অতিরিক্ত লবণ ও লবণযুক্ত খাবার ও ফ্যাটযুক্ত স্ন্যাকস, ইনস্ট্যান্ট ফুড ইত্যাদি।
মধ্যবয়সে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব
সিএনএনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লিয়ানা ওয়েনের মতে, ‘এই গবেষণা প্রমাণ করে, শুধু ব্যায়াম বা ধূমপান না করলেই হবে না। খাদ্যাভ্যাসই হলো সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি। তাই অল্প বয়সেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে মধ্যবয়সেও এই অভ্যাস পরিবর্তন করে সুফল পাওয়া সম্ভব।’
তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত খাবারের সহজলভ্যতা স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এ ধরনের খাবার কম খেতে হবে।
তরুণদের জন্যও সতর্কবার্তা
গবেষণাটি মূলত মধ্যবয়সীদের ওপর করা হলেও বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেকোনো বয়সেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শুরু করা যেতে পারে। তরুণেরা এখন থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খেয়ে তাজা খাবারে অভ্যস্ত হলে ভবিষ্যতে তাঁদের সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়বে।
নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা
গবেষকেরা মনে করেন, সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সহায়তা করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং মূল্য কমাতে ইতিবাচক নীতিমালার প্রয়োজন। ডা. ওয়েন বলেন, ‘সরকারের উচিত ফলমূল ও শাকসবজির মূল্য কমানো এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপর ট্যাক্স বাড়ানো।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
পেস্তাবাদাম। পুরো পৃথিবীতে এই বাদাম বেশ জনপ্রিয়। দুবাইয়ে পেস্তাবাদামের চকলেট বারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিষ্টান্ন, আইসক্রিম, বিশেষ ডিশ সাজাতে পেস্তাবাদামের ব্যবহার বেড়েছে। খাবারের সৌন্দর্য আর পুষ্টি—দুটিরই পাওয়ারহাউস এই বাদাম। অল্প খেলেই পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি।
১০ ঘণ্টা আগেপুরুষদের জন্য নতুন এক জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটিতে কোনো হরমোন নেই। আরও সহজ করে বললে, এই ওষুধ খাওয়ার পর পুরুষের হরমোনে সেই অর্থে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এর নাম ওয়াইসিটি-৫২৯। ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদন থেকে এ...
১৪ ঘণ্টা আগেএকসময়কার আভিজাত্যের প্রতীক সেই ভুঁড়িই এখন চিন্তার কারণ। ভারতে বাড়ছে স্থূলতা সমস্যা। আর আপাত নিরীহ সেই ভুঁড়িই হয়তো সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনছে। ২০২১ সালে ভারতে ১৮ কোটি মানুষ ছিলেন স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের। বিশ্বে স্থূল মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারতের অবস্থা ছিল দ্বিতীয়।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর বড় কারণ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ একদল গবেষক এমন এক ধরনের রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যাতে আগেভাগেই জানা যাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ হৃৎপিণ্ডসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। আর এতে খরচ পড়বে মাত্র ৫ পাউন্ড স্টারলিং বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প
১ দিন আগে