কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে। তাই জানা থাকা ভালো—কোথায় আছে শিশুর জন্য কোন কোন চিকিৎসা সুবিধা।
১৯৭২ সালে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। এরপর ১৯৭৭ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৭০৩। ২০২১ সালে হাসপাতালটিকে সরকার সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২১ পাস করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল।
টিকিট সংগ্রহ: বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সেবা পেতে হলে শিশুর অভিভাবককে হাসপাতালের রিসিপশন থেকে একটি টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। স্ক্রিন, সিডিসহ ইমার্জেন্সি, ডেন্টাল, মেডিসিন ও সার্জারির জন্য টিকিটের মূল্য ১২০ টাকা এবং কনসালট্যান্টের জন্য ২০০ টাকা।
বিনা মূল্যের সিট: হাসপাতালটির প্রায় ৩৮ শতাংশ সিট বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ। ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, বেড ফিসহ রোগীর খাবারও এ ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য: হাসপাতালটির রিসিপশনের করিডর পার হয়ে সামনের দিকে গেলে মূল ভবনে ঢোকার রাস্তা। সেখানে গাছের ছায়ায় দোলনা, স্লিপারসহ একটি ছোট পার্ক আছে। আছে সিমেন্টের তৈরি জীবজন্তু। অসুস্থ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পার্কটি নির্দিষ্ট সময় খোলা ও বন্ধ করা হয়।
রোগীর সঙ্গে দেখা করার সময়: ২৪ ঘণ্টায় তিনবার রোগীর সঙ্গে দেখা করা যাবে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা, বেলা একটা থেকে আড়াইটা এবং বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। এই সময়ের বাইরে রোগীর সঙ্গের কোনো অতিরিক্ত লোক ওয়ার্ডের ভেতরে অবস্থান করতে পারবে না।
যেসব সুবিধা আছে: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) এমন একটি জেনেটিক রোগ, যার কারণে শিশুদের পেশি দুর্বল ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে সামান্য নড়াচড়াতেও অসুবিধা হয় শিশুর। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২০২২ সাল থেকে বিরল এই রোগের চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতালটিতে রয়েছে শিশু হৃদ্রোগ সার্জারি ইউনিট, ক্যাথ ল্যাব ও কার্ডিয়াক আইসিইউ। রয়েছে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য কিডনি আইসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার নেফ্রোলজি অ্যান্ড ডায়ালাইসিস ইউনিট। শিশুর পুষ্টি, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগে পুষ্টি ও লিভারের পাশাপাশি অন্ত্রের জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের চিকিৎসা হয় এখানে। আরও রয়েছে অ্যাজমা সেন্টার, পিরিয়ডিক রেস্পেটরি সেন্টার ও শিশু ডায়াবেটিস সেন্টার। এ ছাড়া নিউরোলজি বিভাগের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অটিজমসহ বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল অসুখ ও শিশুদের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে ঠান্ডার কারণে বেশির ভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টারটিতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
প্রতিদিনের ভাড়া: শিশুদের পিআইসিইউ, এনআইসিইউ, সিআইসিইউর এক দিনের ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সেখানে ওষুধ, নেবুলাইজার ও অক্সিজেন ফি আলাদা করে দিতে হয়। এ ছাড়া কার্ডিয়াক এইচডিইউ এবং সিসইএনডির ভাড়া ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া সাধারণ কেবিনভাড়া ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ওয়ার্ডে বেডভাড়া ৭০০ টাকা।
৩৮ শতাংশ সংরক্ষিত শয্যার কারণে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এখানে সমান সেবা নিতে পারেন বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ জন্যই হাসপাতালটিকে ২০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে ব্যাংকিং সুবিধা ও এটিএম বুথ। ফলে শিশুর চিকিৎসা বাবদ জরুরি ভিত্তিতে টাকার দরকার হলে দ্রুতই এটিএম সেবা গ্রহণ করতে পারবেন অভিভাবকেরা।

একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে। তাই জানা থাকা ভালো—কোথায় আছে শিশুর জন্য কোন কোন চিকিৎসা সুবিধা।
১৯৭২ সালে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। এরপর ১৯৭৭ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৭০৩। ২০২১ সালে হাসপাতালটিকে সরকার সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২১ পাস করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল।
টিকিট সংগ্রহ: বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সেবা পেতে হলে শিশুর অভিভাবককে হাসপাতালের রিসিপশন থেকে একটি টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। স্ক্রিন, সিডিসহ ইমার্জেন্সি, ডেন্টাল, মেডিসিন ও সার্জারির জন্য টিকিটের মূল্য ১২০ টাকা এবং কনসালট্যান্টের জন্য ২০০ টাকা।
বিনা মূল্যের সিট: হাসপাতালটির প্রায় ৩৮ শতাংশ সিট বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ। ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, বেড ফিসহ রোগীর খাবারও এ ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য: হাসপাতালটির রিসিপশনের করিডর পার হয়ে সামনের দিকে গেলে মূল ভবনে ঢোকার রাস্তা। সেখানে গাছের ছায়ায় দোলনা, স্লিপারসহ একটি ছোট পার্ক আছে। আছে সিমেন্টের তৈরি জীবজন্তু। অসুস্থ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পার্কটি নির্দিষ্ট সময় খোলা ও বন্ধ করা হয়।
রোগীর সঙ্গে দেখা করার সময়: ২৪ ঘণ্টায় তিনবার রোগীর সঙ্গে দেখা করা যাবে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা, বেলা একটা থেকে আড়াইটা এবং বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। এই সময়ের বাইরে রোগীর সঙ্গের কোনো অতিরিক্ত লোক ওয়ার্ডের ভেতরে অবস্থান করতে পারবে না।
যেসব সুবিধা আছে: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) এমন একটি জেনেটিক রোগ, যার কারণে শিশুদের পেশি দুর্বল ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে সামান্য নড়াচড়াতেও অসুবিধা হয় শিশুর। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২০২২ সাল থেকে বিরল এই রোগের চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতালটিতে রয়েছে শিশু হৃদ্রোগ সার্জারি ইউনিট, ক্যাথ ল্যাব ও কার্ডিয়াক আইসিইউ। রয়েছে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য কিডনি আইসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার নেফ্রোলজি অ্যান্ড ডায়ালাইসিস ইউনিট। শিশুর পুষ্টি, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগে পুষ্টি ও লিভারের পাশাপাশি অন্ত্রের জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের চিকিৎসা হয় এখানে। আরও রয়েছে অ্যাজমা সেন্টার, পিরিয়ডিক রেস্পেটরি সেন্টার ও শিশু ডায়াবেটিস সেন্টার। এ ছাড়া নিউরোলজি বিভাগের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অটিজমসহ বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল অসুখ ও শিশুদের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে ঠান্ডার কারণে বেশির ভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টারটিতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
প্রতিদিনের ভাড়া: শিশুদের পিআইসিইউ, এনআইসিইউ, সিআইসিইউর এক দিনের ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সেখানে ওষুধ, নেবুলাইজার ও অক্সিজেন ফি আলাদা করে দিতে হয়। এ ছাড়া কার্ডিয়াক এইচডিইউ এবং সিসইএনডির ভাড়া ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া সাধারণ কেবিনভাড়া ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ওয়ার্ডে বেডভাড়া ৭০০ টাকা।
৩৮ শতাংশ সংরক্ষিত শয্যার কারণে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এখানে সমান সেবা নিতে পারেন বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ জন্যই হাসপাতালটিকে ২০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে ব্যাংকিং সুবিধা ও এটিএম বুথ। ফলে শিশুর চিকিৎসা বাবদ জরুরি ভিত্তিতে টাকার দরকার হলে দ্রুতই এটিএম সেবা গ্রহণ করতে পারবেন অভিভাবকেরা।
কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে। তাই জানা থাকা ভালো—কোথায় আছে শিশুর জন্য কোন কোন চিকিৎসা সুবিধা।
১৯৭২ সালে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। এরপর ১৯৭৭ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৭০৩। ২০২১ সালে হাসপাতালটিকে সরকার সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২১ পাস করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল।
টিকিট সংগ্রহ: বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সেবা পেতে হলে শিশুর অভিভাবককে হাসপাতালের রিসিপশন থেকে একটি টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। স্ক্রিন, সিডিসহ ইমার্জেন্সি, ডেন্টাল, মেডিসিন ও সার্জারির জন্য টিকিটের মূল্য ১২০ টাকা এবং কনসালট্যান্টের জন্য ২০০ টাকা।
বিনা মূল্যের সিট: হাসপাতালটির প্রায় ৩৮ শতাংশ সিট বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ। ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, বেড ফিসহ রোগীর খাবারও এ ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য: হাসপাতালটির রিসিপশনের করিডর পার হয়ে সামনের দিকে গেলে মূল ভবনে ঢোকার রাস্তা। সেখানে গাছের ছায়ায় দোলনা, স্লিপারসহ একটি ছোট পার্ক আছে। আছে সিমেন্টের তৈরি জীবজন্তু। অসুস্থ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পার্কটি নির্দিষ্ট সময় খোলা ও বন্ধ করা হয়।
রোগীর সঙ্গে দেখা করার সময়: ২৪ ঘণ্টায় তিনবার রোগীর সঙ্গে দেখা করা যাবে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা, বেলা একটা থেকে আড়াইটা এবং বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। এই সময়ের বাইরে রোগীর সঙ্গের কোনো অতিরিক্ত লোক ওয়ার্ডের ভেতরে অবস্থান করতে পারবে না।
যেসব সুবিধা আছে: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) এমন একটি জেনেটিক রোগ, যার কারণে শিশুদের পেশি দুর্বল ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে সামান্য নড়াচড়াতেও অসুবিধা হয় শিশুর। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২০২২ সাল থেকে বিরল এই রোগের চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতালটিতে রয়েছে শিশু হৃদ্রোগ সার্জারি ইউনিট, ক্যাথ ল্যাব ও কার্ডিয়াক আইসিইউ। রয়েছে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য কিডনি আইসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার নেফ্রোলজি অ্যান্ড ডায়ালাইসিস ইউনিট। শিশুর পুষ্টি, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগে পুষ্টি ও লিভারের পাশাপাশি অন্ত্রের জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের চিকিৎসা হয় এখানে। আরও রয়েছে অ্যাজমা সেন্টার, পিরিয়ডিক রেস্পেটরি সেন্টার ও শিশু ডায়াবেটিস সেন্টার। এ ছাড়া নিউরোলজি বিভাগের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অটিজমসহ বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল অসুখ ও শিশুদের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে ঠান্ডার কারণে বেশির ভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টারটিতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
প্রতিদিনের ভাড়া: শিশুদের পিআইসিইউ, এনআইসিইউ, সিআইসিইউর এক দিনের ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সেখানে ওষুধ, নেবুলাইজার ও অক্সিজেন ফি আলাদা করে দিতে হয়। এ ছাড়া কার্ডিয়াক এইচডিইউ এবং সিসইএনডির ভাড়া ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া সাধারণ কেবিনভাড়া ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ওয়ার্ডে বেডভাড়া ৭০০ টাকা।
৩৮ শতাংশ সংরক্ষিত শয্যার কারণে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এখানে সমান সেবা নিতে পারেন বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ জন্যই হাসপাতালটিকে ২০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে ব্যাংকিং সুবিধা ও এটিএম বুথ। ফলে শিশুর চিকিৎসা বাবদ জরুরি ভিত্তিতে টাকার দরকার হলে দ্রুতই এটিএম সেবা গ্রহণ করতে পারবেন অভিভাবকেরা।

একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে। তাই জানা থাকা ভালো—কোথায় আছে শিশুর জন্য কোন কোন চিকিৎসা সুবিধা।
১৯৭২ সালে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। এরপর ১৯৭৭ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৭০৩। ২০২১ সালে হাসপাতালটিকে সরকার সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২১ পাস করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল।
টিকিট সংগ্রহ: বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সেবা পেতে হলে শিশুর অভিভাবককে হাসপাতালের রিসিপশন থেকে একটি টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। স্ক্রিন, সিডিসহ ইমার্জেন্সি, ডেন্টাল, মেডিসিন ও সার্জারির জন্য টিকিটের মূল্য ১২০ টাকা এবং কনসালট্যান্টের জন্য ২০০ টাকা।
বিনা মূল্যের সিট: হাসপাতালটির প্রায় ৩৮ শতাংশ সিট বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ। ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, বেড ফিসহ রোগীর খাবারও এ ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য: হাসপাতালটির রিসিপশনের করিডর পার হয়ে সামনের দিকে গেলে মূল ভবনে ঢোকার রাস্তা। সেখানে গাছের ছায়ায় দোলনা, স্লিপারসহ একটি ছোট পার্ক আছে। আছে সিমেন্টের তৈরি জীবজন্তু। অসুস্থ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পার্কটি নির্দিষ্ট সময় খোলা ও বন্ধ করা হয়।
রোগীর সঙ্গে দেখা করার সময়: ২৪ ঘণ্টায় তিনবার রোগীর সঙ্গে দেখা করা যাবে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা, বেলা একটা থেকে আড়াইটা এবং বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। এই সময়ের বাইরে রোগীর সঙ্গের কোনো অতিরিক্ত লোক ওয়ার্ডের ভেতরে অবস্থান করতে পারবে না।
যেসব সুবিধা আছে: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) এমন একটি জেনেটিক রোগ, যার কারণে শিশুদের পেশি দুর্বল ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে সামান্য নড়াচড়াতেও অসুবিধা হয় শিশুর। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২০২২ সাল থেকে বিরল এই রোগের চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতালটিতে রয়েছে শিশু হৃদ্রোগ সার্জারি ইউনিট, ক্যাথ ল্যাব ও কার্ডিয়াক আইসিইউ। রয়েছে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য কিডনি আইসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার নেফ্রোলজি অ্যান্ড ডায়ালাইসিস ইউনিট। শিশুর পুষ্টি, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগে পুষ্টি ও লিভারের পাশাপাশি অন্ত্রের জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের চিকিৎসা হয় এখানে। আরও রয়েছে অ্যাজমা সেন্টার, পিরিয়ডিক রেস্পেটরি সেন্টার ও শিশু ডায়াবেটিস সেন্টার। এ ছাড়া নিউরোলজি বিভাগের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অটিজমসহ বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল অসুখ ও শিশুদের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে ঠান্ডার কারণে বেশির ভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টারটিতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
প্রতিদিনের ভাড়া: শিশুদের পিআইসিইউ, এনআইসিইউ, সিআইসিইউর এক দিনের ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সেখানে ওষুধ, নেবুলাইজার ও অক্সিজেন ফি আলাদা করে দিতে হয়। এ ছাড়া কার্ডিয়াক এইচডিইউ এবং সিসইএনডির ভাড়া ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া সাধারণ কেবিনভাড়া ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ওয়ার্ডে বেডভাড়া ৭০০ টাকা।
৩৮ শতাংশ সংরক্ষিত শয্যার কারণে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এখানে সমান সেবা নিতে পারেন বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ জন্যই হাসপাতালটিকে ২০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে ব্যাংকিং সুবিধা ও এটিএম বুথ। ফলে শিশুর চিকিৎসা বাবদ জরুরি ভিত্তিতে টাকার দরকার হলে দ্রুতই এটিএম সেবা গ্রহণ করতে পারবেন অভিভাবকেরা।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৮ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৮ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৮ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৮ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে