মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৫ হাজার ৮০টি ক্লিনিককে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়। তালিকাটি সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গ্রামীণ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ক্লিনিকগুলো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে ২৭ বছর আগে। ক্লিনিকগুলো প্রথমদিকে কমিউনিটি-বেস্ড হেলথকেয়ার (সিবিএইচসি) কর্মসূচির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ২০১৮ সালে এর কার্যক্রমকে টেকসই করতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে একটি ট্রাস্ট এই স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’ (এইচপিএনএসপি) নামে অপারেশনাল প্ল্যানের মেয়াদ গত বছর শেষ হওয়া সত্ত্বেও নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। এ কারণে বর্তমানে ট্রাস্টের মাধ্যমেই রাজস্ব খাত থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় এইচপিএনএসপির আওতায়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট জানায়, ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। শুরুর দুই বছরে ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক কম ব্যয়ে নির্মিত হওয়ায় এগুলোর আয়ুষ্কাল দ্রুত শেষ হতে থাকে। ২০০৯-১৫ সালে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব ক্লিনিক সংস্কার ও নতুন ক্লিনিক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১০ হাজার ৭২৩টির মধ্যে ১০ হাজার ৬২৪টিই সংস্কার করা হয় এবং হাওর ও পাহাড়সহ দুর্গম এলাকায় নতুন করে ২ হাজার ৭৩৭টি ক্লিনিক তৈরি করা হয়। ১৯৯৮-২০০১ সাল সময়ে প্রতিটি ক্লিনিক তুলনামূলকভাবে বেশ কম ব্যয়ে (১ থেকে সোয়া ১ লাখ টাকা) নির্মাণ করা হয়েছিল। এ কারণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে এগুলো ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় মেরামত করা হয়েছে। ক্লিনিকগুলো এখন দুই কক্ষের পরিবর্তে চার কক্ষের এবং উন্নত অবকাঠামোয় নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৪ হাজার ৪২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৩টি। সচল ক্লিনিকের মধ্যে ৫ হাজার ৮০টিকে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৫৯৩টি উচ্চ ও ২৭২টি মধ্যম, রংপুরে ৪১৪টি উচ্চ ও ৩০৯টি মধ্যম, খুলনায় ৩০৩টি উচ্চ ও ২৯৭টি মধ্যম, সিলেটে ১৬২টি উচ্চ ও ১১৪টি মধ্যম, ময়মনসিংহে ৩৬১টি উচ্চ ও ১১৪টি মধ্যম, রাজশাহীতে ৪১৩টি উচ্চ ও ২৫৫টি মধ্যম, বরিশালে ৩১৭টি উচ্চ ও ১৭৪টি মধ্যম এবং চট্টগ্রামে ৫৭৩টি উচ্চ ও ২৯৮টি মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিক রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাপান সরকারের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ৫০০টি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে।
প্রথম দুই বছরে নির্মিত ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে অধিকাংশকে ২০২২ সালে পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তখন থেকে বেশ কিছুসংখ্যক ক্লিনিক নতুন করে নির্মাণ করা হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক (মাঠ প্রশাসন) ডা. আসিফ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কিছু ক্লিনিক পুনর্নির্মিত হয়েছে। তবে এখন তালিকা ধরে আরও অনেক ক্লিনিক পুনর্নির্মাণ করা হবে। যেসব ক্লিনিক পুরো নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন, তার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। যেসব ক্লিনিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, সেগুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ডা. আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলতে যেসব ক্লিনিক এখনই নতুন করে নির্মাণ করা দরকার, সেগুলোকে বোঝানো হয়েছে। মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হলো তার পরের স্তর। তবে উচ্চ বা মধ্যম ঝুঁকি যা-ই হোক, সবই পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন। এসব ভবন দিয়ে কাজ চালানো যাবে না।’
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিকের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। ক্লিনিকের কাজ চলছে স্থানীয় বিদ্যালয়, অন্য কোনো সরকারি স্থাপনা অথবা স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠানে। এতে স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
কিছু ক্লিনিকের কাজ পাশের কোনো স্থাপনায় চলছে স্বীকার করলেও সেবা ব্যাহত হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন ট্রাস্টের পরিচালক আসিফ মাহমুদ।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো মাতৃত্বকালীন, গর্ভকালীন ও প্রসূতি সেবা, শিশুরোগের সমন্বিত চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, নবদম্পতি নিবন্ধন, জন্ম-মৃত্যু ও প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ নিবন্ধন, পুষ্টি শিক্ষা ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে। বছরে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ এই ক্লিনিকের সেবা গ্রহণ করেন।
পুনর্নির্মাণের মডেল যেমন হবে
ক্লিনিকের পুনর্নির্মাণের জন্য দুটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। সমতল জমিতে যেসব ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে, সেগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। উঁচু বা দুর্গম এলাকার ক্লিনিকপ্রতি ব্যয় হবে ৫০ লাখ টাকা।
ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নতুন পরিকল্পনায় সাধারণ জমি ও উঁচু-দুর্গম এলাকার জন্য আলাদা মডেল তৈরি করা হয়েছে। এতে ভবনগুলো আরও টেকসই হবে। এটি সেবার মান বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে, যেন কয়েক দশক ধরে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়া সরকার ও ট্রাস্টের দায়িত্ব স্পষ্ট করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রধানত পরিকল্পনার অভাব ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে সরকারি খাতের অনেক অবকাঠামো টেকসই হয় না। শুরুতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনের মানে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সংখ্যায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।’
তাঁর মতে, ক্লিনিকগুলো যেভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা-ও বাস্তবায়িত হয়নি। রোগ প্রতিরোধমূলক ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কেন্দ্র না হয়ে, এটি মূলত রোগের চিকিৎসাসেবার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। মেডিকেল শিক্ষায় প্রশিক্ষিত জনবলের বদলে সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।’
ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্বল অবকাঠামো ও সীমিত জায়গা ছাড়াও অনগ্রসর ও দূরবর্তী এলাকায় ক্লিনিকগুলোর অবস্থানও বড় সমস্যা। এটি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করছে।

দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৫ হাজার ৮০টি ক্লিনিককে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়। তালিকাটি সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গ্রামীণ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ক্লিনিকগুলো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে ২৭ বছর আগে। ক্লিনিকগুলো প্রথমদিকে কমিউনিটি-বেস্ড হেলথকেয়ার (সিবিএইচসি) কর্মসূচির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ২০১৮ সালে এর কার্যক্রমকে টেকসই করতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে একটি ট্রাস্ট এই স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’ (এইচপিএনএসপি) নামে অপারেশনাল প্ল্যানের মেয়াদ গত বছর শেষ হওয়া সত্ত্বেও নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। এ কারণে বর্তমানে ট্রাস্টের মাধ্যমেই রাজস্ব খাত থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় এইচপিএনএসপির আওতায়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট জানায়, ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। শুরুর দুই বছরে ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক কম ব্যয়ে নির্মিত হওয়ায় এগুলোর আয়ুষ্কাল দ্রুত শেষ হতে থাকে। ২০০৯-১৫ সালে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব ক্লিনিক সংস্কার ও নতুন ক্লিনিক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১০ হাজার ৭২৩টির মধ্যে ১০ হাজার ৬২৪টিই সংস্কার করা হয় এবং হাওর ও পাহাড়সহ দুর্গম এলাকায় নতুন করে ২ হাজার ৭৩৭টি ক্লিনিক তৈরি করা হয়। ১৯৯৮-২০০১ সাল সময়ে প্রতিটি ক্লিনিক তুলনামূলকভাবে বেশ কম ব্যয়ে (১ থেকে সোয়া ১ লাখ টাকা) নির্মাণ করা হয়েছিল। এ কারণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে এগুলো ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় মেরামত করা হয়েছে। ক্লিনিকগুলো এখন দুই কক্ষের পরিবর্তে চার কক্ষের এবং উন্নত অবকাঠামোয় নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৪ হাজার ৪২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৩টি। সচল ক্লিনিকের মধ্যে ৫ হাজার ৮০টিকে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৫৯৩টি উচ্চ ও ২৭২টি মধ্যম, রংপুরে ৪১৪টি উচ্চ ও ৩০৯টি মধ্যম, খুলনায় ৩০৩টি উচ্চ ও ২৯৭টি মধ্যম, সিলেটে ১৬২টি উচ্চ ও ১১৪টি মধ্যম, ময়মনসিংহে ৩৬১টি উচ্চ ও ১১৪টি মধ্যম, রাজশাহীতে ৪১৩টি উচ্চ ও ২৫৫টি মধ্যম, বরিশালে ৩১৭টি উচ্চ ও ১৭৪টি মধ্যম এবং চট্টগ্রামে ৫৭৩টি উচ্চ ও ২৯৮টি মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিক রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাপান সরকারের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ৫০০টি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে।
প্রথম দুই বছরে নির্মিত ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে অধিকাংশকে ২০২২ সালে পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তখন থেকে বেশ কিছুসংখ্যক ক্লিনিক নতুন করে নির্মাণ করা হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক (মাঠ প্রশাসন) ডা. আসিফ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কিছু ক্লিনিক পুনর্নির্মিত হয়েছে। তবে এখন তালিকা ধরে আরও অনেক ক্লিনিক পুনর্নির্মাণ করা হবে। যেসব ক্লিনিক পুরো নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন, তার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। যেসব ক্লিনিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, সেগুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ডা. আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলতে যেসব ক্লিনিক এখনই নতুন করে নির্মাণ করা দরকার, সেগুলোকে বোঝানো হয়েছে। মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হলো তার পরের স্তর। তবে উচ্চ বা মধ্যম ঝুঁকি যা-ই হোক, সবই পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন। এসব ভবন দিয়ে কাজ চালানো যাবে না।’
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিকের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। ক্লিনিকের কাজ চলছে স্থানীয় বিদ্যালয়, অন্য কোনো সরকারি স্থাপনা অথবা স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠানে। এতে স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
কিছু ক্লিনিকের কাজ পাশের কোনো স্থাপনায় চলছে স্বীকার করলেও সেবা ব্যাহত হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন ট্রাস্টের পরিচালক আসিফ মাহমুদ।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো মাতৃত্বকালীন, গর্ভকালীন ও প্রসূতি সেবা, শিশুরোগের সমন্বিত চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, নবদম্পতি নিবন্ধন, জন্ম-মৃত্যু ও প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ নিবন্ধন, পুষ্টি শিক্ষা ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে। বছরে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ এই ক্লিনিকের সেবা গ্রহণ করেন।
পুনর্নির্মাণের মডেল যেমন হবে
ক্লিনিকের পুনর্নির্মাণের জন্য দুটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। সমতল জমিতে যেসব ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে, সেগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। উঁচু বা দুর্গম এলাকার ক্লিনিকপ্রতি ব্যয় হবে ৫০ লাখ টাকা।
ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নতুন পরিকল্পনায় সাধারণ জমি ও উঁচু-দুর্গম এলাকার জন্য আলাদা মডেল তৈরি করা হয়েছে। এতে ভবনগুলো আরও টেকসই হবে। এটি সেবার মান বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে, যেন কয়েক দশক ধরে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়া সরকার ও ট্রাস্টের দায়িত্ব স্পষ্ট করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রধানত পরিকল্পনার অভাব ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে সরকারি খাতের অনেক অবকাঠামো টেকসই হয় না। শুরুতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনের মানে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সংখ্যায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।’
তাঁর মতে, ক্লিনিকগুলো যেভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা-ও বাস্তবায়িত হয়নি। রোগ প্রতিরোধমূলক ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কেন্দ্র না হয়ে, এটি মূলত রোগের চিকিৎসাসেবার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। মেডিকেল শিক্ষায় প্রশিক্ষিত জনবলের বদলে সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।’
ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্বল অবকাঠামো ও সীমিত জায়গা ছাড়াও অনগ্রসর ও দূরবর্তী এলাকায় ক্লিনিকগুলোর অবস্থানও বড় সমস্যা। এটি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করছে।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৫ হাজার ৮০টি ক্লিনিককে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়। তালিকাটি সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গ্রামীণ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ক্লিনিকগুলো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে ২৭ বছর আগে। ক্লিনিকগুলো প্রথমদিকে কমিউনিটি-বেস্ড হেলথকেয়ার (সিবিএইচসি) কর্মসূচির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ২০১৮ সালে এর কার্যক্রমকে টেকসই করতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে একটি ট্রাস্ট এই স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’ (এইচপিএনএসপি) নামে অপারেশনাল প্ল্যানের মেয়াদ গত বছর শেষ হওয়া সত্ত্বেও নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। এ কারণে বর্তমানে ট্রাস্টের মাধ্যমেই রাজস্ব খাত থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় এইচপিএনএসপির আওতায়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট জানায়, ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। শুরুর দুই বছরে ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক কম ব্যয়ে নির্মিত হওয়ায় এগুলোর আয়ুষ্কাল দ্রুত শেষ হতে থাকে। ২০০৯-১৫ সালে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব ক্লিনিক সংস্কার ও নতুন ক্লিনিক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১০ হাজার ৭২৩টির মধ্যে ১০ হাজার ৬২৪টিই সংস্কার করা হয় এবং হাওর ও পাহাড়সহ দুর্গম এলাকায় নতুন করে ২ হাজার ৭৩৭টি ক্লিনিক তৈরি করা হয়। ১৯৯৮-২০০১ সাল সময়ে প্রতিটি ক্লিনিক তুলনামূলকভাবে বেশ কম ব্যয়ে (১ থেকে সোয়া ১ লাখ টাকা) নির্মাণ করা হয়েছিল। এ কারণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে এগুলো ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় মেরামত করা হয়েছে। ক্লিনিকগুলো এখন দুই কক্ষের পরিবর্তে চার কক্ষের এবং উন্নত অবকাঠামোয় নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৪ হাজার ৪২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৩টি। সচল ক্লিনিকের মধ্যে ৫ হাজার ৮০টিকে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৫৯৩টি উচ্চ ও ২৭২টি মধ্যম, রংপুরে ৪১৪টি উচ্চ ও ৩০৯টি মধ্যম, খুলনায় ৩০৩টি উচ্চ ও ২৯৭টি মধ্যম, সিলেটে ১৬২টি উচ্চ ও ১১৪টি মধ্যম, ময়মনসিংহে ৩৬১টি উচ্চ ও ১১৪টি মধ্যম, রাজশাহীতে ৪১৩টি উচ্চ ও ২৫৫টি মধ্যম, বরিশালে ৩১৭টি উচ্চ ও ১৭৪টি মধ্যম এবং চট্টগ্রামে ৫৭৩টি উচ্চ ও ২৯৮টি মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিক রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাপান সরকারের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ৫০০টি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে।
প্রথম দুই বছরে নির্মিত ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে অধিকাংশকে ২০২২ সালে পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তখন থেকে বেশ কিছুসংখ্যক ক্লিনিক নতুন করে নির্মাণ করা হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক (মাঠ প্রশাসন) ডা. আসিফ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কিছু ক্লিনিক পুনর্নির্মিত হয়েছে। তবে এখন তালিকা ধরে আরও অনেক ক্লিনিক পুনর্নির্মাণ করা হবে। যেসব ক্লিনিক পুরো নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন, তার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। যেসব ক্লিনিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, সেগুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ডা. আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলতে যেসব ক্লিনিক এখনই নতুন করে নির্মাণ করা দরকার, সেগুলোকে বোঝানো হয়েছে। মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হলো তার পরের স্তর। তবে উচ্চ বা মধ্যম ঝুঁকি যা-ই হোক, সবই পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন। এসব ভবন দিয়ে কাজ চালানো যাবে না।’
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিকের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। ক্লিনিকের কাজ চলছে স্থানীয় বিদ্যালয়, অন্য কোনো সরকারি স্থাপনা অথবা স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠানে। এতে স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
কিছু ক্লিনিকের কাজ পাশের কোনো স্থাপনায় চলছে স্বীকার করলেও সেবা ব্যাহত হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন ট্রাস্টের পরিচালক আসিফ মাহমুদ।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো মাতৃত্বকালীন, গর্ভকালীন ও প্রসূতি সেবা, শিশুরোগের সমন্বিত চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, নবদম্পতি নিবন্ধন, জন্ম-মৃত্যু ও প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ নিবন্ধন, পুষ্টি শিক্ষা ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে। বছরে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ এই ক্লিনিকের সেবা গ্রহণ করেন।
পুনর্নির্মাণের মডেল যেমন হবে
ক্লিনিকের পুনর্নির্মাণের জন্য দুটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। সমতল জমিতে যেসব ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে, সেগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। উঁচু বা দুর্গম এলাকার ক্লিনিকপ্রতি ব্যয় হবে ৫০ লাখ টাকা।
ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নতুন পরিকল্পনায় সাধারণ জমি ও উঁচু-দুর্গম এলাকার জন্য আলাদা মডেল তৈরি করা হয়েছে। এতে ভবনগুলো আরও টেকসই হবে। এটি সেবার মান বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে, যেন কয়েক দশক ধরে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়া সরকার ও ট্রাস্টের দায়িত্ব স্পষ্ট করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রধানত পরিকল্পনার অভাব ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে সরকারি খাতের অনেক অবকাঠামো টেকসই হয় না। শুরুতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনের মানে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সংখ্যায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।’
তাঁর মতে, ক্লিনিকগুলো যেভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা-ও বাস্তবায়িত হয়নি। রোগ প্রতিরোধমূলক ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কেন্দ্র না হয়ে, এটি মূলত রোগের চিকিৎসাসেবার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। মেডিকেল শিক্ষায় প্রশিক্ষিত জনবলের বদলে সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।’
ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্বল অবকাঠামো ও সীমিত জায়গা ছাড়াও অনগ্রসর ও দূরবর্তী এলাকায় ক্লিনিকগুলোর অবস্থানও বড় সমস্যা। এটি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করছে।

দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৫ হাজার ৮০টি ক্লিনিককে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়। তালিকাটি সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গ্রামীণ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ক্লিনিকগুলো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে ২৭ বছর আগে। ক্লিনিকগুলো প্রথমদিকে কমিউনিটি-বেস্ড হেলথকেয়ার (সিবিএইচসি) কর্মসূচির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ২০১৮ সালে এর কার্যক্রমকে টেকসই করতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে একটি ট্রাস্ট এই স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’ (এইচপিএনএসপি) নামে অপারেশনাল প্ল্যানের মেয়াদ গত বছর শেষ হওয়া সত্ত্বেও নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। এ কারণে বর্তমানে ট্রাস্টের মাধ্যমেই রাজস্ব খাত থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় এইচপিএনএসপির আওতায়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট জানায়, ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। শুরুর দুই বছরে ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক কম ব্যয়ে নির্মিত হওয়ায় এগুলোর আয়ুষ্কাল দ্রুত শেষ হতে থাকে। ২০০৯-১৫ সালে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব ক্লিনিক সংস্কার ও নতুন ক্লিনিক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১০ হাজার ৭২৩টির মধ্যে ১০ হাজার ৬২৪টিই সংস্কার করা হয় এবং হাওর ও পাহাড়সহ দুর্গম এলাকায় নতুন করে ২ হাজার ৭৩৭টি ক্লিনিক তৈরি করা হয়। ১৯৯৮-২০০১ সাল সময়ে প্রতিটি ক্লিনিক তুলনামূলকভাবে বেশ কম ব্যয়ে (১ থেকে সোয়া ১ লাখ টাকা) নির্মাণ করা হয়েছিল। এ কারণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে এগুলো ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় মেরামত করা হয়েছে। ক্লিনিকগুলো এখন দুই কক্ষের পরিবর্তে চার কক্ষের এবং উন্নত অবকাঠামোয় নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৪ হাজার ৪২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৩টি। সচল ক্লিনিকের মধ্যে ৫ হাজার ৮০টিকে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৫৯৩টি উচ্চ ও ২৭২টি মধ্যম, রংপুরে ৪১৪টি উচ্চ ও ৩০৯টি মধ্যম, খুলনায় ৩০৩টি উচ্চ ও ২৯৭টি মধ্যম, সিলেটে ১৬২টি উচ্চ ও ১১৪টি মধ্যম, ময়মনসিংহে ৩৬১টি উচ্চ ও ১১৪টি মধ্যম, রাজশাহীতে ৪১৩টি উচ্চ ও ২৫৫টি মধ্যম, বরিশালে ৩১৭টি উচ্চ ও ১৭৪টি মধ্যম এবং চট্টগ্রামে ৫৭৩টি উচ্চ ও ২৯৮টি মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিক রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাপান সরকারের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ৫০০টি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে।
প্রথম দুই বছরে নির্মিত ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে অধিকাংশকে ২০২২ সালে পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তখন থেকে বেশ কিছুসংখ্যক ক্লিনিক নতুন করে নির্মাণ করা হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক (মাঠ প্রশাসন) ডা. আসিফ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কিছু ক্লিনিক পুনর্নির্মিত হয়েছে। তবে এখন তালিকা ধরে আরও অনেক ক্লিনিক পুনর্নির্মাণ করা হবে। যেসব ক্লিনিক পুরো নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন, তার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। যেসব ক্লিনিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, সেগুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ডা. আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলতে যেসব ক্লিনিক এখনই নতুন করে নির্মাণ করা দরকার, সেগুলোকে বোঝানো হয়েছে। মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হলো তার পরের স্তর। তবে উচ্চ বা মধ্যম ঝুঁকি যা-ই হোক, সবই পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন। এসব ভবন দিয়ে কাজ চালানো যাবে না।’
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিকের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। ক্লিনিকের কাজ চলছে স্থানীয় বিদ্যালয়, অন্য কোনো সরকারি স্থাপনা অথবা স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠানে। এতে স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
কিছু ক্লিনিকের কাজ পাশের কোনো স্থাপনায় চলছে স্বীকার করলেও সেবা ব্যাহত হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন ট্রাস্টের পরিচালক আসিফ মাহমুদ।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো মাতৃত্বকালীন, গর্ভকালীন ও প্রসূতি সেবা, শিশুরোগের সমন্বিত চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, নবদম্পতি নিবন্ধন, জন্ম-মৃত্যু ও প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ নিবন্ধন, পুষ্টি শিক্ষা ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে। বছরে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ এই ক্লিনিকের সেবা গ্রহণ করেন।
পুনর্নির্মাণের মডেল যেমন হবে
ক্লিনিকের পুনর্নির্মাণের জন্য দুটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। সমতল জমিতে যেসব ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে, সেগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। উঁচু বা দুর্গম এলাকার ক্লিনিকপ্রতি ব্যয় হবে ৫০ লাখ টাকা।
ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নতুন পরিকল্পনায় সাধারণ জমি ও উঁচু-দুর্গম এলাকার জন্য আলাদা মডেল তৈরি করা হয়েছে। এতে ভবনগুলো আরও টেকসই হবে। এটি সেবার মান বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে, যেন কয়েক দশক ধরে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়া সরকার ও ট্রাস্টের দায়িত্ব স্পষ্ট করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রধানত পরিকল্পনার অভাব ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে সরকারি খাতের অনেক অবকাঠামো টেকসই হয় না। শুরুতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনের মানে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সংখ্যায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।’
তাঁর মতে, ক্লিনিকগুলো যেভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা-ও বাস্তবায়িত হয়নি। রোগ প্রতিরোধমূলক ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কেন্দ্র না হয়ে, এটি মূলত রোগের চিকিৎসাসেবার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। মেডিকেল শিক্ষায় প্রশিক্ষিত জনবলের বদলে সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।’
ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্বল অবকাঠামো ও সীমিত জায়গা ছাড়াও অনগ্রসর ও দূরবর্তী এলাকায় ক্লিনিকগুলোর অবস্থানও বড় সমস্যা। এটি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করছে।

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৭ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
৯ ঘণ্টা আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
৯ ঘণ্টা আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৭ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
৯ ঘণ্টা আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৭ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
৯ ঘণ্টা আগেনাহিদা আহমেদ

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৭ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে