অধ্যাপক ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী
পারকিনসনস ডিজিজ বা পিডি হলো মস্তিষ্কের একটি ক্ষয়জনিত অবস্থা। এটি মানুষের গতি ধীর করে দেওয়া, কাঁপুনি, অনমনীয়তা ইত্যাদি মোটর লক্ষণ এবং মানসিক রোগ, ঘুমের সমস্যা, ব্যথা ইত্যাদির মতো বিভিন্ন অ-মোটর জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ রোগের কোনো না কোনো ধাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ লোক বিষণ্নতার সম্মুখীন হন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ রোগী উদ্বেগজনিত রোগে ভোগেন, যা তাঁদের কর্মক্ষমতা ও জীবনের মান কমিয়ে দেয়।
রোগের কারণ
জৈবিক কারণ: পারকিনসনস রোগ এবং বিষণ্নতা চিন্তাভাবনা ও আবেগের সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের একই অংশকে প্রভাবিত করে। উভয় অবস্থাতেই ডোপামিন, সেরোটোনিন এবং নরএপিনেফ্রিন এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মস্তিষ্কের রাসায়নিকের ভারসাম্যহীনতা থাকে, যা মেজাজ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
মনস্তাত্ত্বিক কারণ: নেতিবাচক চিন্তা একটি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা। এটি মানুষের মধ্যে দুঃখ, অসহায়ত্ব এবং হতাশার অনুভূতি তৈরি করতে পারে। এ অবস্থা একজন ব্যক্তিকে বিষণ্নতার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। সীমাবদ্ধ জীবনধারার ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, সহায়ক সামাজিক যোগাযোগের অভাব, দ্রুত অবসর গ্রহণ, পরনির্ভরশীলতা এগুলো বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
পরিবেশগত কারণ: গুরুতর মানসিক চাপ কিংবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার কারণে জীবনযাপনে কষ্ট কিছু লোকের বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এ রোগের চিকিৎসায় দেওয়া ওষুধগুলো বিষণ্নতার মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে।
বিষণ্নতা নির্ণয়ের চ্যালেঞ্জ
১. ঘুমের সমস্যা কিংবা কর্মক্ষমতায় ধীরগতির অনুভূতি বিষণ্নতা ও পারকিনসনস উভয় রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই অনেক সময় পারকিনসনস রোগের ক্ষেত্রে বিষণ্নতা শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।
২. পারকিনসনসের বিষণ্নতা নির্ণয়কে জটিল করে তুলতে পারে, এমন অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—
মুখের মাস্কিং ইফেক্ট। এটি মুখের পেশিতে পারকিনসনসের একটি উপসর্গ। এতে পারকিনসনস আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে দৃশ্যমানভাবে আবেগ প্রকাশ করা কঠিন হতে পারে।
মেজাজের সমস্যা বা লক্ষণগুলো বুঝতে না পারা। পারকিনসনস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই বিষয়গুলো বুঝতে পারেন না। ফলে চিকিৎসাও নিতে চান না
চিকিৎসা
পারকিনসনসের চিকিৎসা যেমন শরীরের কাঁপুনিসহ অন্যান্য লক্ষণ কমাতে পারে, তেমনি বিষণ্নতার উপশম করতে পারে। বিষণ্নতা যদিও এ রোগে সাধারণ লক্ষণ কিন্তু এটিকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় বলে এর চিকিৎসা কখনো কখনো ব্যাহত হয়। শারীরিক অক্ষমতা কমানো এবং জীবনের মান উন্নত করার জন্য এটির চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ।
মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং: জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি বা সিবিটি বিষণ্নতা ও উদ্বেগ কমাতে, চিন্তাভাবনা ও আচরণের ধরন চিনতে এবং পরিবর্তন করতে সহায়তা করে।
রুটিনমাফিক ব্যায়াম: হাঁটা, ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে চলা, যোগব্যায়াম, বাগান করা এবং রোগীর পছন্দের বিভিন্ন কাজ হতাশার লক্ষণগুলো কমিয়ে দিতে পারে।
পরামর্শ: ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, আগারগাঁও, ঢাকা
পারকিনসনস ডিজিজ বা পিডি হলো মস্তিষ্কের একটি ক্ষয়জনিত অবস্থা। এটি মানুষের গতি ধীর করে দেওয়া, কাঁপুনি, অনমনীয়তা ইত্যাদি মোটর লক্ষণ এবং মানসিক রোগ, ঘুমের সমস্যা, ব্যথা ইত্যাদির মতো বিভিন্ন অ-মোটর জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ রোগের কোনো না কোনো ধাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ লোক বিষণ্নতার সম্মুখীন হন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ রোগী উদ্বেগজনিত রোগে ভোগেন, যা তাঁদের কর্মক্ষমতা ও জীবনের মান কমিয়ে দেয়।
রোগের কারণ
জৈবিক কারণ: পারকিনসনস রোগ এবং বিষণ্নতা চিন্তাভাবনা ও আবেগের সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের একই অংশকে প্রভাবিত করে। উভয় অবস্থাতেই ডোপামিন, সেরোটোনিন এবং নরএপিনেফ্রিন এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মস্তিষ্কের রাসায়নিকের ভারসাম্যহীনতা থাকে, যা মেজাজ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
মনস্তাত্ত্বিক কারণ: নেতিবাচক চিন্তা একটি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা। এটি মানুষের মধ্যে দুঃখ, অসহায়ত্ব এবং হতাশার অনুভূতি তৈরি করতে পারে। এ অবস্থা একজন ব্যক্তিকে বিষণ্নতার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। সীমাবদ্ধ জীবনধারার ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, সহায়ক সামাজিক যোগাযোগের অভাব, দ্রুত অবসর গ্রহণ, পরনির্ভরশীলতা এগুলো বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
পরিবেশগত কারণ: গুরুতর মানসিক চাপ কিংবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার কারণে জীবনযাপনে কষ্ট কিছু লোকের বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এ রোগের চিকিৎসায় দেওয়া ওষুধগুলো বিষণ্নতার মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে।
বিষণ্নতা নির্ণয়ের চ্যালেঞ্জ
১. ঘুমের সমস্যা কিংবা কর্মক্ষমতায় ধীরগতির অনুভূতি বিষণ্নতা ও পারকিনসনস উভয় রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই অনেক সময় পারকিনসনস রোগের ক্ষেত্রে বিষণ্নতা শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।
২. পারকিনসনসের বিষণ্নতা নির্ণয়কে জটিল করে তুলতে পারে, এমন অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—
মুখের মাস্কিং ইফেক্ট। এটি মুখের পেশিতে পারকিনসনসের একটি উপসর্গ। এতে পারকিনসনস আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে দৃশ্যমানভাবে আবেগ প্রকাশ করা কঠিন হতে পারে।
মেজাজের সমস্যা বা লক্ষণগুলো বুঝতে না পারা। পারকিনসনস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই বিষয়গুলো বুঝতে পারেন না। ফলে চিকিৎসাও নিতে চান না
চিকিৎসা
পারকিনসনসের চিকিৎসা যেমন শরীরের কাঁপুনিসহ অন্যান্য লক্ষণ কমাতে পারে, তেমনি বিষণ্নতার উপশম করতে পারে। বিষণ্নতা যদিও এ রোগে সাধারণ লক্ষণ কিন্তু এটিকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় বলে এর চিকিৎসা কখনো কখনো ব্যাহত হয়। শারীরিক অক্ষমতা কমানো এবং জীবনের মান উন্নত করার জন্য এটির চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ।
মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং: জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি বা সিবিটি বিষণ্নতা ও উদ্বেগ কমাতে, চিন্তাভাবনা ও আচরণের ধরন চিনতে এবং পরিবর্তন করতে সহায়তা করে।
রুটিনমাফিক ব্যায়াম: হাঁটা, ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে চলা, যোগব্যায়াম, বাগান করা এবং রোগীর পছন্দের বিভিন্ন কাজ হতাশার লক্ষণগুলো কমিয়ে দিতে পারে।
পরামর্শ: ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, আগারগাঁও, ঢাকা
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে