ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
সাধারণত ছানি অপারেশন নিরাপদ। এর সাফল্যের হার উঁচু। তবু এই অপারেশনের রয়েছে কিছু ঝুঁকি ও জটিলতা। যেমন—
প্রদাহ: ছানি অস্ত্রোপচারের পর চোখ সামান্য ফোলা ও লাল থাকা স্বাভাবিক। ফোলা ভাব স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সংক্রমণ: ছানি অস্ত্রোপচারের সময় চোখে যে জীবাণু আসে, তা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। অপারেশনের পর আলোর প্রতি চোখ সংবেদনশীল হতে পারে। তা ছাড়া ব্যথা ও দেখার সমস্যা হতে পারে।
ফোলা বা রেটিনাল বিচ্ছিন্নতা: অস্ত্রোপচারের পর চোখের পেছনে ফোলা, তরল জমা হওয়া বা টিস্যুর আলো সংবেদনশীল স্তরের বিচ্ছিন্নতা ঘটতে পারে। এসব জটিলতা সমাধানের জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
ইন্ট্রাওকুলার লেন্সের স্থানচ্যুতি: ছানি প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত কৃত্রিম ইন্ট্রাওকুলার লেন্স স্থানচ্যুত বা তার অবস্থান থেকে কখনো কখনো সরে যেতে পারে। এটির জন্য দৃষ্টি অস্পষ্ট হতে পারে এবং ইন্ট্রাওকুলার লেন্সের স্থান পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।
চোখের ভেতরে চাপ বৃদ্ধি: ছানি সার্জারি কখনো কখনো চোখের ভেতরের চাপ বাড়াতে পারে, যা গ্লুকোমা নামে পরিচিত। এটি অস্বস্তি, ঝাপসা দৃষ্টি বা অপটিক স্নায়ুর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ক্রমাগত শুষ্ক চোখ: কিছু রোগী ছানি অস্ত্রোপচারের পর চোখ শুষ্ক অনুভব করতে পারে। এটি শুষ্ক চোখের উপসর্গের কারণ হতে পারে।
ছানি অস্ত্রোপচারের পরে যা করবেন
চোখের জন্য নির্ধারিত ড্রপ ব্যবহার করুন: সংক্রমণ রোধে, প্রদাহ উপশম ও নিরাময়ে চিকিৎসক চোখের ড্রপ লিখে দেবেন। এরপর সেটির সময়সূচি ও ডোজের নির্দেশাবলি অনুসরণ করুন।
চোখ স্পর্শ করা কিংবা ঘষা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন: সংক্রমণ বা জ্বালা রোধ করতে অস্ত্রোপচারের পর কোনোভাবেই চোখ স্পর্শ করা বা ঘষা যাবে না। এ ছাড়া চোখের ড্রপ ব্যবহারের আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
চোখ রক্ষা করুন: উজ্জ্বল আলো ও রুক্ষ পরিবেশ থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এটি প্রাথমিক নিরাময়ের সময় গুরুত্বপূর্ণ।
ভারী কাজ করবেন না: অস্ত্রোপচারের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ হালকা কাজ করলেও ভারী ব্যায়াম বা ভারী কিছু তোলার মতো কোনো কাজ করবেন না।
গাড়ি চালানো যাবে না: ছানি অপারেশনের পর কয়েক সপ্তাহ গাড়ি চালানো এড়িয়ে চলুন। নিরাপদ ড্রাইভিংয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
সাঁতার কাটবেন না: অস্ত্রোপচারের পর চার থেকে ছয় সপ্তাহ সাঁতার কাটা যাবে না।
চোখে পানি লাগাবেন না: গোসল করা যাবে, কিন্তু চার থেকে ছয় সপ্তাহ চোখে পানি লাগানো যাবে না।
চোখের যেকোনো পরিবর্তন মনে হলে চিকিৎসককে জানান: যদি হঠাৎ ব্যথা, তীব্র দৃষ্টি পরিবর্তন, লাল ভাব কিংবা অন্য কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ যদি অনুভব করেন; তাহলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
সাধারণত ছানি অপারেশন নিরাপদ। এর সাফল্যের হার উঁচু। তবু এই অপারেশনের রয়েছে কিছু ঝুঁকি ও জটিলতা। যেমন—
প্রদাহ: ছানি অস্ত্রোপচারের পর চোখ সামান্য ফোলা ও লাল থাকা স্বাভাবিক। ফোলা ভাব স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সংক্রমণ: ছানি অস্ত্রোপচারের সময় চোখে যে জীবাণু আসে, তা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। অপারেশনের পর আলোর প্রতি চোখ সংবেদনশীল হতে পারে। তা ছাড়া ব্যথা ও দেখার সমস্যা হতে পারে।
ফোলা বা রেটিনাল বিচ্ছিন্নতা: অস্ত্রোপচারের পর চোখের পেছনে ফোলা, তরল জমা হওয়া বা টিস্যুর আলো সংবেদনশীল স্তরের বিচ্ছিন্নতা ঘটতে পারে। এসব জটিলতা সমাধানের জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
ইন্ট্রাওকুলার লেন্সের স্থানচ্যুতি: ছানি প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত কৃত্রিম ইন্ট্রাওকুলার লেন্স স্থানচ্যুত বা তার অবস্থান থেকে কখনো কখনো সরে যেতে পারে। এটির জন্য দৃষ্টি অস্পষ্ট হতে পারে এবং ইন্ট্রাওকুলার লেন্সের স্থান পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।
চোখের ভেতরে চাপ বৃদ্ধি: ছানি সার্জারি কখনো কখনো চোখের ভেতরের চাপ বাড়াতে পারে, যা গ্লুকোমা নামে পরিচিত। এটি অস্বস্তি, ঝাপসা দৃষ্টি বা অপটিক স্নায়ুর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ক্রমাগত শুষ্ক চোখ: কিছু রোগী ছানি অস্ত্রোপচারের পর চোখ শুষ্ক অনুভব করতে পারে। এটি শুষ্ক চোখের উপসর্গের কারণ হতে পারে।
ছানি অস্ত্রোপচারের পরে যা করবেন
চোখের জন্য নির্ধারিত ড্রপ ব্যবহার করুন: সংক্রমণ রোধে, প্রদাহ উপশম ও নিরাময়ে চিকিৎসক চোখের ড্রপ লিখে দেবেন। এরপর সেটির সময়সূচি ও ডোজের নির্দেশাবলি অনুসরণ করুন।
চোখ স্পর্শ করা কিংবা ঘষা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন: সংক্রমণ বা জ্বালা রোধ করতে অস্ত্রোপচারের পর কোনোভাবেই চোখ স্পর্শ করা বা ঘষা যাবে না। এ ছাড়া চোখের ড্রপ ব্যবহারের আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
চোখ রক্ষা করুন: উজ্জ্বল আলো ও রুক্ষ পরিবেশ থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এটি প্রাথমিক নিরাময়ের সময় গুরুত্বপূর্ণ।
ভারী কাজ করবেন না: অস্ত্রোপচারের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ হালকা কাজ করলেও ভারী ব্যায়াম বা ভারী কিছু তোলার মতো কোনো কাজ করবেন না।
গাড়ি চালানো যাবে না: ছানি অপারেশনের পর কয়েক সপ্তাহ গাড়ি চালানো এড়িয়ে চলুন। নিরাপদ ড্রাইভিংয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
সাঁতার কাটবেন না: অস্ত্রোপচারের পর চার থেকে ছয় সপ্তাহ সাঁতার কাটা যাবে না।
চোখে পানি লাগাবেন না: গোসল করা যাবে, কিন্তু চার থেকে ছয় সপ্তাহ চোখে পানি লাগানো যাবে না।
চোখের যেকোনো পরিবর্তন মনে হলে চিকিৎসককে জানান: যদি হঠাৎ ব্যথা, তীব্র দৃষ্টি পরিবর্তন, লাল ভাব কিংবা অন্য কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ যদি অনুভব করেন; তাহলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৩৪ মিনিট আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে