ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সৌদি আরবের বিদ্যালয়ে হিন্দুধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানো হবে—এমন দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছাপা পত্রিকার প্রতিবেদনের অংশ বিশেষসহ ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গত শনিবার (৪ মে) ‘The Sanatan–সনাতন ধর্ম’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি আজ সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩৪ হাজার বার দেখা হয়েছে, পোস্টটিতে রিঅ্যাকশন পড়েছে ৫০০-এর বেশি।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাচ্ছে সৌদি আরব। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, জ্ঞানকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আর সে কারণেই রামায়ণ-মহাভারতের পাঠ্য পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রতিবেদনটি কোন পত্রিকার এবং কখন প্রকাশিত হয়েছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য ভিডিওটিতে নেই।
২০২১ সালের এপ্রিলে একই তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন দৈনিক প্রথম আলো, ইত্তেফাক, যুগান্তর, আরটিভি, সময় টিভি, বাংলা ভিশন, সমকাল, মানবজমিন, বাংলা ট্রিবিউনসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলোতে হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া প্রতিবেদনটি থেকে দাবিটির পক্ষে কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্থান টাইমসের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর আর্কাইভ সংস্করণ পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনগুলো করা হয়েছিল ‘নউফ আল মারাভি’ নামের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি টুইটের বরাত দিয়ে। নউফ আল মারাভি সৌদি আরবের প্রথম স্বীকৃত যোগ ব্যায়াম প্রশিক্ষক এবং ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত।
নউফ আল মারাভি ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল তাঁর টুইটটিতে প্রশ্নপত্রের কিছু স্ক্রিনশট যুক্ত করে লেখেন, ‘সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এবং সিলেবাস এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে সাহায্য করবে যারা হবে সহাবস্থানে বিশ্বাসী, উদার এবং সহনশীল। আজ আমার ছেলের স্কুল পরীক্ষার সমাজ অধ্যয়ন বিষয়ের প্রশ্নপত্রটিতে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, রামায়ণ, মহাভারত, কর্ম ও ধর্ম বিষয়ে ধারণা এবং ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমার সন্তান এসব বিষয়ে পড়ানোটা আমি খুব উপভোগ করি।’
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর ওয়েবসাইটে খুঁজে সরকারি বিদ্যালয়ের সিলেবাসে রামায়ণ-মহাভারত অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে দাবিটি প্রসঙ্গে সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের পাকিস্তান সংস্করণের সাংবাদিক নাইমাত খানের ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিলে করা একটি টুইট পাওয়া যায়। টুইটটিতে তিনি লেখেন, ‘অনেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, সৌদি ভিশন-২০৩০-এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানো হবে। তথ্যটি সঠিক নয়।’
দাবিটির সত্যতা যাচাই করে ২০২১ সালের ৩ মে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান অল্ট নিউজ। সৌদি আরবের এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে অল্ট নিউজ জানায়, বিদ্যালয়ে রামায়ণ বা মহাভারত পড়ানোর বিষয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। সৌদি আরবের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের ভাষা আরবি। নউফ আল মারাভির টুইট করা প্রশ্নপত্রটি ইংরেজি ভাষায়। এ থেকে অনুমান করা যায়, এটি কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারিকুলামের অংশ।
নিজের করা টুইট প্রসঙ্গে নউফ আল মারাভি টেলিফোনে অল্ট নিউজকে বলেন, তাঁর টুইটটিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সংবাদমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘টুইটটিতে বলতে চেয়েছিলাম, আমার ছেলেকে ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কিত বিষয়গুলো পড়াতে আমি আনন্দ পাই। আমার ছেলে সৌদি আরবের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে এবং এই স্কুলের কারিকুলামও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত। আমার ছেলের স্কুলেও রামায়ণ, মহাভারত পড়ানো হয় না। পাঠ্যক্রমে সাউথ এশিয়ান আর্ট অধ্যায়ে লিটারেচার অংশে এই দুই গ্রন্থকে কেবল ভারতের ঐতিহাসিক মহাকাব্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
সংবাদমাধ্যমে তার টুইট ব্যবহার করা প্রসঙ্গে নউফ আল মারাভি বলেন, ‘আমি লক্ষ করেছি, বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ সম্পর্কিত একটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনে আমার টুইট ব্যবহার করেছে। টুইটের স্ক্রিনশটটি ছিল আমার ১০তম গ্রেড পড়ুয়া ছেলের সমাজ অধ্যয়ন ও বিশ্ব ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল। আমি এটি নিশ্চিত করতে চাই, এই সংবাদমাধ্যমগুলোর কোনোটিই বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কিছু জিজ্ঞেস করেনি।’
এ ছাড়া ভারতের আরেকটি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলি চলতি বছরের গত ১৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের বিদ্যালয়ে রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই সময় ভারতে ছড়িয়ে পড়ে, দেশটির সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সৌদি সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির অধীনে সৌদি আরব নিজেদের পাঠ্যক্রমে মহাভারত ও রামায়ণ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ফ্যাক্টলি জানায়, সৌদি আরব তাদের জাতীয় পাঠ্যক্রমে রামায়ণ, মহাভারত অন্তর্ভুক্ত করেনি। সৌদি আরবের সঙ্গে স্মৃতি ইরানির ২০২৪ সালের হজ-সম্পর্কিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি ব্যবহার করে দাবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।
সুতরাং, সৌদি আরবের জাতীয় পাঠ্যক্রমে মহাভারত, রামায়ণ অন্তর্ভুক্ত করার দাবিটি সঠিক নয়।
সৌদি আরবের বিদ্যালয়ে হিন্দুধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানো হবে—এমন দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছাপা পত্রিকার প্রতিবেদনের অংশ বিশেষসহ ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গত শনিবার (৪ মে) ‘The Sanatan–সনাতন ধর্ম’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি আজ সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩৪ হাজার বার দেখা হয়েছে, পোস্টটিতে রিঅ্যাকশন পড়েছে ৫০০-এর বেশি।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাচ্ছে সৌদি আরব। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, জ্ঞানকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আর সে কারণেই রামায়ণ-মহাভারতের পাঠ্য পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রতিবেদনটি কোন পত্রিকার এবং কখন প্রকাশিত হয়েছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য ভিডিওটিতে নেই।
২০২১ সালের এপ্রিলে একই তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন দৈনিক প্রথম আলো, ইত্তেফাক, যুগান্তর, আরটিভি, সময় টিভি, বাংলা ভিশন, সমকাল, মানবজমিন, বাংলা ট্রিবিউনসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলোতে হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া প্রতিবেদনটি থেকে দাবিটির পক্ষে কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্থান টাইমসের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর আর্কাইভ সংস্করণ পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনগুলো করা হয়েছিল ‘নউফ আল মারাভি’ নামের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি টুইটের বরাত দিয়ে। নউফ আল মারাভি সৌদি আরবের প্রথম স্বীকৃত যোগ ব্যায়াম প্রশিক্ষক এবং ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত।
নউফ আল মারাভি ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল তাঁর টুইটটিতে প্রশ্নপত্রের কিছু স্ক্রিনশট যুক্ত করে লেখেন, ‘সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এবং সিলেবাস এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে সাহায্য করবে যারা হবে সহাবস্থানে বিশ্বাসী, উদার এবং সহনশীল। আজ আমার ছেলের স্কুল পরীক্ষার সমাজ অধ্যয়ন বিষয়ের প্রশ্নপত্রটিতে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, রামায়ণ, মহাভারত, কর্ম ও ধর্ম বিষয়ে ধারণা এবং ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমার সন্তান এসব বিষয়ে পড়ানোটা আমি খুব উপভোগ করি।’
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর ওয়েবসাইটে খুঁজে সরকারি বিদ্যালয়ের সিলেবাসে রামায়ণ-মহাভারত অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে দাবিটি প্রসঙ্গে সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের পাকিস্তান সংস্করণের সাংবাদিক নাইমাত খানের ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিলে করা একটি টুইট পাওয়া যায়। টুইটটিতে তিনি লেখেন, ‘অনেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, সৌদি ভিশন-২০৩০-এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানো হবে। তথ্যটি সঠিক নয়।’
দাবিটির সত্যতা যাচাই করে ২০২১ সালের ৩ মে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান অল্ট নিউজ। সৌদি আরবের এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে অল্ট নিউজ জানায়, বিদ্যালয়ে রামায়ণ বা মহাভারত পড়ানোর বিষয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। সৌদি আরবের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের ভাষা আরবি। নউফ আল মারাভির টুইট করা প্রশ্নপত্রটি ইংরেজি ভাষায়। এ থেকে অনুমান করা যায়, এটি কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারিকুলামের অংশ।
নিজের করা টুইট প্রসঙ্গে নউফ আল মারাভি টেলিফোনে অল্ট নিউজকে বলেন, তাঁর টুইটটিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সংবাদমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘টুইটটিতে বলতে চেয়েছিলাম, আমার ছেলেকে ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কিত বিষয়গুলো পড়াতে আমি আনন্দ পাই। আমার ছেলে সৌদি আরবের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে এবং এই স্কুলের কারিকুলামও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত। আমার ছেলের স্কুলেও রামায়ণ, মহাভারত পড়ানো হয় না। পাঠ্যক্রমে সাউথ এশিয়ান আর্ট অধ্যায়ে লিটারেচার অংশে এই দুই গ্রন্থকে কেবল ভারতের ঐতিহাসিক মহাকাব্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
সংবাদমাধ্যমে তার টুইট ব্যবহার করা প্রসঙ্গে নউফ আল মারাভি বলেন, ‘আমি লক্ষ করেছি, বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ সম্পর্কিত একটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনে আমার টুইট ব্যবহার করেছে। টুইটের স্ক্রিনশটটি ছিল আমার ১০তম গ্রেড পড়ুয়া ছেলের সমাজ অধ্যয়ন ও বিশ্ব ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল। আমি এটি নিশ্চিত করতে চাই, এই সংবাদমাধ্যমগুলোর কোনোটিই বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কিছু জিজ্ঞেস করেনি।’
এ ছাড়া ভারতের আরেকটি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলি চলতি বছরের গত ১৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের বিদ্যালয়ে রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই সময় ভারতে ছড়িয়ে পড়ে, দেশটির সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সৌদি সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির অধীনে সৌদি আরব নিজেদের পাঠ্যক্রমে মহাভারত ও রামায়ণ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ফ্যাক্টলি জানায়, সৌদি আরব তাদের জাতীয় পাঠ্যক্রমে রামায়ণ, মহাভারত অন্তর্ভুক্ত করেনি। সৌদি আরবের সঙ্গে স্মৃতি ইরানির ২০২৪ সালের হজ-সম্পর্কিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি ব্যবহার করে দাবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।
সুতরাং, সৌদি আরবের জাতীয় পাঠ্যক্রমে মহাভারত, রামায়ণ অন্তর্ভুক্ত করার দাবিটি সঠিক নয়।
যুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১ দিন আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৫ দিন আগে