ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গুমের ঘটনা অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কমিশন কাজও শুরু করেছে। ইতিমধ্যে গুম সংক্রান্ত ৪০০ অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের চেয়ারম্যান হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নাকি বলেছেন, ‘আয়নাঘর ছিল গুজব। আয়নাঘরে কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রমাণিত হলো আয়নাঘর ছিল গুজব।’
‘তোমার অপেক্ষায়’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এমন একটি ভিডিও ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ক্যাপশনে পোস্ট করা হয়। এটি রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার বার দেখা হয়েছে। শেয়ার হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি, রিয়েকশন পড়েছে ৯ হাজারের বেশি। পোস্টটির কমেন্টবক্সে সাড়ে ৭০০–এর বেশি কমেন্ট পড়েছে। এসব কমেন্টে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবিটিকে সত্য ধরে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
গুম কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্যে কী ছিল?
যেই ভিডিওর শেয়ার করা হয়েছে সেটি দেশের বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম সময় টিভির। গত ৩ অক্টোবর ‘ডিবির গুম ঘরে গিয়ে কাউকে পায়নি কমিশন’ ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করে সংবাদমাধ্যমটি। মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অলরেডি ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছি ২৫ সেপ্টেম্বর। আমরা দুই-একদিন আগে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) ও সিটিটিসির ইন্টারোগেশন সেল পরিদর্শন করেছি সরেজমিনে। আমরা সেখানে কোনো ‘ভিকটিম অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপারেন্স’ (বলপূর্বক গুমের শিকার) পাইনি। কারণ ৫ আগস্টের যে চেঞ্জ ওভার, তারপর হয়তো কিছুদিন ছিল। এরপর আমরা গিয়ে পাই নাই। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি এবং মানুষের অনেক রেসপন্স পেয়েছি।’
ভিডিওটিতে কোথাও তিনি বলেননি যে, আয়নাঘরের অস্তিত্ব ছিল না। বরং তিনি বলেছেন, গুম কমিশনের পরিদর্শনে বর্তমানে আয়নাঘরগুলোতে বলপূর্বক গুমের শিকার হওয়া কাউকে পাওয়া যায়নি।
পরে আরও খুঁজে ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ইউটিউব চ্যানেলে গুম কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেনের আরেকটি বক্তব্য পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ৩ অক্টোবর চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়। সেখানে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আয়নাঘরের ভিকটিমের বক্তব্যের সঙ্গে আমাদের ভিজিট করা সেলগুলোর হুবহু মিল পেয়েছি। তবে ভিজিটের পর যেটা দেখেছি, সেলগুলো অনেকাংশে পরিবর্তন করা হয়েছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ দেয়ালে রং করে মুছে ফেলা হয়েছে, নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা, ৫ আগস্টের পর ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে।’
গুম কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিএফআইয়ের যেটা আয়নাঘর বা ইন্টারোগেশন সেল, সেখানে আমাদের পরিদর্শনের আগে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।’
সুতরাং এটি স্পষ্ট, গুম কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গুমের ঘটনা অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কমিশন কাজও শুরু করেছে। ইতিমধ্যে গুম সংক্রান্ত ৪০০ অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের চেয়ারম্যান হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নাকি বলেছেন, ‘আয়নাঘর ছিল গুজব। আয়নাঘরে কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রমাণিত হলো আয়নাঘর ছিল গুজব।’
‘তোমার অপেক্ষায়’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এমন একটি ভিডিও ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ক্যাপশনে পোস্ট করা হয়। এটি রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার বার দেখা হয়েছে। শেয়ার হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি, রিয়েকশন পড়েছে ৯ হাজারের বেশি। পোস্টটির কমেন্টবক্সে সাড়ে ৭০০–এর বেশি কমেন্ট পড়েছে। এসব কমেন্টে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবিটিকে সত্য ধরে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
গুম কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্যে কী ছিল?
যেই ভিডিওর শেয়ার করা হয়েছে সেটি দেশের বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম সময় টিভির। গত ৩ অক্টোবর ‘ডিবির গুম ঘরে গিয়ে কাউকে পায়নি কমিশন’ ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করে সংবাদমাধ্যমটি। মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অলরেডি ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছি ২৫ সেপ্টেম্বর। আমরা দুই-একদিন আগে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) ও সিটিটিসির ইন্টারোগেশন সেল পরিদর্শন করেছি সরেজমিনে। আমরা সেখানে কোনো ‘ভিকটিম অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপারেন্স’ (বলপূর্বক গুমের শিকার) পাইনি। কারণ ৫ আগস্টের যে চেঞ্জ ওভার, তারপর হয়তো কিছুদিন ছিল। এরপর আমরা গিয়ে পাই নাই। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি এবং মানুষের অনেক রেসপন্স পেয়েছি।’
ভিডিওটিতে কোথাও তিনি বলেননি যে, আয়নাঘরের অস্তিত্ব ছিল না। বরং তিনি বলেছেন, গুম কমিশনের পরিদর্শনে বর্তমানে আয়নাঘরগুলোতে বলপূর্বক গুমের শিকার হওয়া কাউকে পাওয়া যায়নি।
পরে আরও খুঁজে ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ইউটিউব চ্যানেলে গুম কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেনের আরেকটি বক্তব্য পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ৩ অক্টোবর চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়। সেখানে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আয়নাঘরের ভিকটিমের বক্তব্যের সঙ্গে আমাদের ভিজিট করা সেলগুলোর হুবহু মিল পেয়েছি। তবে ভিজিটের পর যেটা দেখেছি, সেলগুলো অনেকাংশে পরিবর্তন করা হয়েছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ দেয়ালে রং করে মুছে ফেলা হয়েছে, নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা, ৫ আগস্টের পর ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে।’
গুম কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিএফআইয়ের যেটা আয়নাঘর বা ইন্টারোগেশন সেল, সেখানে আমাদের পরিদর্শনের আগে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।’
সুতরাং এটি স্পষ্ট, গুম কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।
ভারতে তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে এর আগে একাধিক ভিডিও ছড়ালে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন—এমন দাবিতে আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
১ দিন আগেসামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
২ দিন আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি একটি তথ্য...
২ দিন আগেকক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওতে থাকা তরুণী পর্যটক ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই...
৩ দিন আগে