ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাসায় ঢুকে একজন নারী শিশু চুরি করেছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী ফরম সদৃশ কাগজ নিয়ে একটি বাসায় নক করলে বাসার ভেতর থেকে আরেক নারী শিশু কোলে নিয়ে দরজা খোলেন। ফরম নিয়ে আসা নারীকে ড্রইংরুমের সোফায় বসিয়ে দুজনে কথা বলেন। একটু পর বাসার ওই নারী উঠে ঘরে গিয়ে একটি কাগজ হাতে আবার ড্রইংরুমে ফিরে এসে দেখেন, নারীটি নেই, শিশুও নেই। পরে সেই বাসার লোকজনকে শিশুটিকে বাসা ও সিঁড়িতে খুঁজতে দেখা যায়।
‘শেষ পৃষ্ঠা ১০১’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘সকলে সাবধান থাকবেন প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা ঘটতে থাকে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ রোববার দুপুর দেড়াটা পর্যন্ত ভিডিওটি ২৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং রিঅ্যাকশন পড়েছে ৬৪। পোস্টটিতে ৯টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ৩২৩। ভিডিওটিতে Mis Ruma নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক।’ (বানান অপরিবর্তিত)
Aɭ-Mʌʜɱʋɗ Rʋɓɘɭ, অখিল–Akhil, Oindrila–ঐন্দ্রিলা নামে ফেসবুক পেজ থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
Abu Bakar নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ৯ মিনিটে ‘যেভাবে শহর বন্দর গ্রাম গঞ্জে অভিনব কায়দায় শিশু চুরি করতেছে সিসি ক্যামেরায় দেখুন’ —এমন ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
ভিডিওটি সাদা–কালো। আপাতত দৃষ্টিতে সিসিটিভি ফুটেজ বলে মনে হলেও, ভিডিওটি স্থির নয়। সিসিটিভি ফুটেজ সাধারণত শেকি (কম্পিত) হয় না।
ভিডিওটির কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘গৃহিনীর রান্নাঘর’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘সকলে সাবধান থাকবেন প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা ঘটতে থাকে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
গৃহিনীর রান্নাঘর নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এটির ক্যাটাগরিতে ‘ডিজিটাল ক্রিয়েটর’ উল্লেখ করা।
এই ভিডিওর কমেন্টে Popy Karmaker নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে’ লিখে কমেন্ট করতে দেখা যায়। একই কমেন্টের জবাবে গৃহিনীর রান্নাঘর লিখেছে, ‘Popy Karmaker আপনারা সাপোর্ট করলে এরকম আরো কিছু ভিডিও আমরা করতে পারি।’
গৃহিনীর রান্নাঘর নামে অ্যাকাউন্টটিতে একই ধরনের আরও কিছু (১, ২) ভিডিও পাওয়া যায়। এগুলোও সাদা–কালো ভিডিও, তবে শেকি। ভিডিও দুটি মূলত সচেতনতামূলক।
অ্যাকাউন্টটিতে আরও কিছু ভিডিও রয়েছে, এর মধ্যে অনেকগুলোই রান্নার।
সুতরাং, বাসায় ঢুকে শিশু চুরির দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, গৃহিনীর রান্নাঘর নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত সচেতনতামূলক ভিডিও বাস্তব দাবিতে ছড়ানো হয়েছে।
বাসায় ঢুকে একজন নারী শিশু চুরি করেছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী ফরম সদৃশ কাগজ নিয়ে একটি বাসায় নক করলে বাসার ভেতর থেকে আরেক নারী শিশু কোলে নিয়ে দরজা খোলেন। ফরম নিয়ে আসা নারীকে ড্রইংরুমের সোফায় বসিয়ে দুজনে কথা বলেন। একটু পর বাসার ওই নারী উঠে ঘরে গিয়ে একটি কাগজ হাতে আবার ড্রইংরুমে ফিরে এসে দেখেন, নারীটি নেই, শিশুও নেই। পরে সেই বাসার লোকজনকে শিশুটিকে বাসা ও সিঁড়িতে খুঁজতে দেখা যায়।
‘শেষ পৃষ্ঠা ১০১’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘সকলে সাবধান থাকবেন প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা ঘটতে থাকে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ রোববার দুপুর দেড়াটা পর্যন্ত ভিডিওটি ২৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং রিঅ্যাকশন পড়েছে ৬৪। পোস্টটিতে ৯টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ৩২৩। ভিডিওটিতে Mis Ruma নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক।’ (বানান অপরিবর্তিত)
Aɭ-Mʌʜɱʋɗ Rʋɓɘɭ, অখিল–Akhil, Oindrila–ঐন্দ্রিলা নামে ফেসবুক পেজ থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
Abu Bakar নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ৯ মিনিটে ‘যেভাবে শহর বন্দর গ্রাম গঞ্জে অভিনব কায়দায় শিশু চুরি করতেছে সিসি ক্যামেরায় দেখুন’ —এমন ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
ভিডিওটি সাদা–কালো। আপাতত দৃষ্টিতে সিসিটিভি ফুটেজ বলে মনে হলেও, ভিডিওটি স্থির নয়। সিসিটিভি ফুটেজ সাধারণত শেকি (কম্পিত) হয় না।
ভিডিওটির কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘গৃহিনীর রান্নাঘর’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘সকলে সাবধান থাকবেন প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা ঘটতে থাকে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
গৃহিনীর রান্নাঘর নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এটির ক্যাটাগরিতে ‘ডিজিটাল ক্রিয়েটর’ উল্লেখ করা।
এই ভিডিওর কমেন্টে Popy Karmaker নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে’ লিখে কমেন্ট করতে দেখা যায়। একই কমেন্টের জবাবে গৃহিনীর রান্নাঘর লিখেছে, ‘Popy Karmaker আপনারা সাপোর্ট করলে এরকম আরো কিছু ভিডিও আমরা করতে পারি।’
গৃহিনীর রান্নাঘর নামে অ্যাকাউন্টটিতে একই ধরনের আরও কিছু (১, ২) ভিডিও পাওয়া যায়। এগুলোও সাদা–কালো ভিডিও, তবে শেকি। ভিডিও দুটি মূলত সচেতনতামূলক।
অ্যাকাউন্টটিতে আরও কিছু ভিডিও রয়েছে, এর মধ্যে অনেকগুলোই রান্নার।
সুতরাং, বাসায় ঢুকে শিশু চুরির দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, গৃহিনীর রান্নাঘর নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত সচেতনতামূলক ভিডিও বাস্তব দাবিতে ছড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে